অধুনা বিশ্ব রাজনীতিকে ইসলামের সাথে মেলানো হয় না অথবা বলা যায় ইসলামকে রাজনীতির ভিতরে প্রবেশ করানো হয় না। অত্যন্ত চতুরতার সাথে পুরো সমাজ এবং বিশ্বকে বুঝানো হয়েছে যেন ধর্ম এবং রাজনৈতিক পরস্পর পৃথক জিনিস। রাজনীতি কি জীবনের বাইরের কোন জিনিস?
আমরা তো মুসলমানেরা বিশ্বাস করি ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। তাহলে ইসলাম রাজনীতিতে নেই কেন?
আর যারা ইসলামের নাম ভাঙিয়ে রাজনীতি করেন তারা ইসলামকে আসলে কতটুকু নিজেরাই মানেন? ইসলামকে সত্যিকারভাবে কায়েম করার চিন্তা-ভাবনা কি তাদের আছে? তাদের কাজকর্ম দেখলে সেরকম তো মনে হয় না!
বিস্তারিত বইয়ের ভেতরেই।
কাফের মুশরিকদের বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের শিকার থেকে ইতিহাসও রক্ষা পায়নি। আমরা ইতিহাস থেকে যা শিখি তার অধিকাংশই তাদের রচনা। যার ফলে ইসলামের সোনালী দিনের সঠিক তথ্য গুলো আমাদের কাছে ধরা দেয় না ।
আমরা ইহুদী নাসারাদের বানানো গল্প শুনে ভুল পথে চালিত হচ্ছি । এভাবে চললে কখনই আমরা এই দুষ্টচক্র থেকে বের হতে পারবো না। দিকনির্দেশনা পেতে এই বইটি আপনাকে সাহায্য করবে।
‘প্রোডাক্টিভ মুসলিম’ একটি আত্মোন্নয়নমূলক বই। বইটির পাতায় পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে—আত্ম-জাগরণ, আত্মনির্মাণ ও আত্মবিকাশের বিভিন্ন দিক নিয়ে জীবনঘনিষ্ট আলোচনার আসর।
এতে আছে স্রষ্টার দেওয়া অমূল্য উপহার—আমাদের মেধা সময় ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগঠন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন এবং সামাজসেবামূলক কর্মোদ্যোগের মধ্য দিয়ে নিজেকে এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্নদ্রষ্টা এবং একনিষ্ঠ কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তবধর্মী কর্মকৌশল।
লেখক কুরআনের রত্নভান্ডার, নবিজির সুন্নাহর মুক্তো-প্রবাল থেকে শুরু করে DR JOHN RATEY, GRAHAM ALLCOTT সহ আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান এবং ব্যবসায়িক কর্মকৌশলের অসাধারণ সব তথ
বর্তমান যুগ হলো প্রেজেন্টেশানের যুগ। একটা জিনিসকে আপনি কিভাবে, কতোটা সহজে, কতোটা সাবলীলভাবে, কতোটা মাধুর্যতায় প্রেজেন্টেশান করছেন তার উপর কিন্তু অনেক কিছুই নির্ভর করে। ন্যাচারালি, মানুষের একটা স্বভাব হচ্ছে – এরা তত্ত্বকথা খুব কম হজম করতে পারে। এরা চায় সহজবোধ্যতা।
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ এর লেখক আরিফ আজাদ ঠিক এই পদ্ধতিই বেছে নিয়েছেন। তিনি গতানুগতিক লেকচার বা তত্বকথার ধাঁচে না গিয়ে, বক্তব্যের বিষয়গুলোকে গল্পের ধাঁচে ফেলে সাজিয়েছেন। প্রতিটি গল্পের শুরুতেই আছে মজার, আগ্রহ উদ্দীপক একটি সূচনা। কোথাও বা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদের সাথে তাঁর বন্ধু আরিফে
জীবনে যারা বিশেষ কিছু হতে চান, এই বইটি তাদের জন্য। বইটির পরতে পরতে রাসূল সা. এর জীবনের এমন সব ঘটনা থাকবে, যেগুলো মানুষকে অনুপ্রেরণা দিবে দারুণভাবে। অবলীলায় তারা তাকে গ্রহণ করবেন অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে।
অনুবাদক: মাসুদ শরীফ
বিয়ে একটি ধর্মীয় চুক্তি, একটি সামাজিক সম্পর্ক। একে ঘিরে দুজন মানুষ, দুটি পরিবারে কত আকাক্কা, কত স্বপ্ন! সম্পর্কটিকে সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন এদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তাই এই বইটি কেবল বিবাহেঙ্ছু, নববিবাহিত বা বিবাহিতাদের জন্য নয়; বরং তাদের বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, আত্মীয়স্বসনদের জন্যও। এখানে বিয়ের স্বরূপ, দায়িতৃসমূহ, করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়াদি নিয়ে কিছু আলোচনা রয়েছে, যা হয়তো চিন্তার দিগন্তে নতুনত্ব আনতে পারে। রয়েছে কিছু গল্প-যা জীবনের বাস্তবতার প্রতিফলন।
মানুষ, জীবন এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কে ধারনাগুলো মানুষের মাঝে বিশ্বাসের ক্ষেত্র তৈরি করে। যার ভিত্তিতেই সে তার জীবনপদ্ধিতি পরিচালনা করে থাকে। মানব ইতিহাসে একটি গ্রেটেস্ট কোয়েশ্চেন নামে পরিচিত, আমি কোথা থেকে এসেছি? আমার গন্তব্য আসলে কোথায়? আর আমার কাজ কি এখানে? কেউ উত্তর খুঁজে পায়, আবার কেউবা এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয় সাধনে ব্যর্থ হয়ে সংশয়ের বীজ বুনে যায়, ধীরে ধীরে নাস্তিকতার দিকে ধাবিত হয়।
কিছু গ্রিক দার্শনিকের উক্তি রয়েছে,
পূর্বসূরিরা আমাদের যেভাবে নির্মাণ করেছেন, ঠিক সেভাবেই আমরা জাতির জন্য কাজ করছি। কেউ সমাজের জন্য ভালো কিছু করছি, কেউ আবার সমাজ ধ্বংসের কারিগর হিসেবে কাজ করছি। আজকের দিনে আমরা যেভাবে আমাদের উত্তরসূরিদের নির্মাণ করব, ঠিক সেভাবেই ভবিষ্যতে তারা ভূমিকা পালন করবে। পুরো দায়টা আমাদের। কিশোর-যুবাদের নিয়ে সত্যিকারার্থে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। ব্যক্তি ও পরিবার যতটা পারছে, নিজেদের মতো করে গাইডলাইন দিয়ে যাচ্ছে। জাতি হিসেবে আমরা কীভাবে আমাদের আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চাই দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজও তা নির্ধারিত হয়নি
প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স
বিষয় : ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য
পৃষ্ঠা : 184, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 2nd Edition, 2019
বিষয় : ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ইসলামী ব্যক্তিত্ব, বিবিধ বই, ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য
পৃষ্ঠা : 296, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published 2018
গল্প তো জীবনেরই প্রতিচ্ছবি, জীবনের নানা প্রেক্ষাপটে, নানা ভাজে ভাজে লুকায়িত অনুভুতির প্রকাশের এক অনন্য মাত্রা হচ্ছে গল্প। তবে গল্প শুধু কাল্পনিক কিছু চরিত্রের সমন্বয় নয়, কিছু গল্প থাকে জাগরণের, কিছু থাকে বিনির্মাণের। যার ধারাবাহিকতা প্রকাশিত হয়েছে 'কয়েকটি গল্প' বইয়ের পাতায় পাতায়।
মাতা-পিতার সবচেয়ে বড়ো প্রজেক্ট সন্তান। সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে সন্তানের কুসুমাস্তীর্ণ পথ নির্মাণে বাবা-মা ক্লান্তিহীন। বিশ্বায়নের এই সময়টা বেশ বড়ো ধরনের অস্থিরতা ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একুশ শতকের এই সময়ে এসে সন্তান প্রতিপালনের ধারণা অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি আর সামষ্টিক নৈতিকতার অভাববোধের
দুআ কি কোনো জাদুমন্ত্র?
সব দুআই কি কবুল হয়?
কী করলে দুআ কবুলের সম্ভাবনা বাড়ে?
কী করলে দুআ বিফল হয়?
দুআর মাধ্যমে কি তাকদির বদলানো যায়?
তা হলে আগে থেকে সব লিখে রাখার মানে কী?
দুআ করতেও কি কিছু আদবকেতা মানা লাগে? হামেশাই
দ্যা রিভার্টস বা ফিরে আসার গল্প। বইটিতে আমরা জানবো পশ্চিমা দুনিয়ায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে বেড়ে উঠেও কি করে মানুষ শান্তির আশায় হন্যে হয়ে ঘুরছে। আমরা জানবো, কি করে তারা খুঁজে পেলেন জীবনের আসল উদ্দেশ্য, আলোর পথ। জেনে নিবো অতীত মুছে ফেলে নতুন জীবন গড়তে কোন জিনিস তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
ফিলিস্তিন থেকে কাশ্মীর-আফগানিস্তান-ইরাক-লিবিয়া-সুদান-বসনিয়া-চেচনিয়া-ইয়েমেন থেকে আরাকানে ধ্বনিত হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হাহাকার। কিন্তু কেনো এই মানুষগুলোর ওপর এত নিপীড়ন-নির্যাতন? রোহিঙ্গাদের ওপর কেনো নেমে এলো এই নির্মম নির্যাতন? এই প্রশ্নের উত্তর এবং ব্যাখ্যা নিয়ে লেখক আসাদ পারভেজ রচনা করেছেন ‘নাফ নদীর ওপারে’ বইটি।
আঁধার রাতের মুসাফির অনুসন্ধিৎসু চোখে শুধুই আলো খুঁজে ফিরে। কাফেলাকে মঞ্জিলে পৌঁছাতে আলোক মশাল তখন অনিবার্য দিশা। নিকষ আঁধারের দুনিয়া এখন বড্ড দিশেহারা। মুক্তি কোথায়? টলোমলো জাহাজকে কে তীরে ভিড়াবে? আজ বড় প্রয়োজন একঝাঁক দক্ষ নাবিকের। প্রত্যাশিত নাবিকদের উদ্দ্যেশ্যে ‘নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া’।
‘প্রশ্ন’ হলো কৌতূহলের বহিঃপ্রকাশ। আর ‘উত্তর’ হলো উদ্ভূত কৌতূহলের নিবৃত্তি। প্রশ্ন ও তার উত্তর খুঁজে বের করার মাধ্যমে মূলত টেকসই জ্ঞান অর্জিত হয়। নবিজির পুরো জীবনকে এই গ্রন্থে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থাপন করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব মানবতার মহান শিক্ষক, ‘উসওয়ায়ে হাসানাহ’, সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ সা.-এর পবিত্র সিরাত নিয়ে বাংলা ভাষায় প্রচুর কাজ হয়েছে। আমাদের সম্মানিত ওলামায়ে কিরাম ও শাইখবৃন্দ তাদের মেধা ও যোগ্যতার সর্বোচ্চাটুকু ঢেলে দিয়ে সিরাতুন্নবি সা. লিখেছেন। ‘প্রশ্নোত্তরে সিরাতুন্নবি সা.’ স
কী আমাদের পরিচয়? আমি কারও সন্তান, কারও আবার জীবনসঙ্গি, আবার কেউ আমাদেরই সন্তান। পারিবারিক, সামাজিত এমনকি আধ্যাত্নিক পরিমন্ডলে এই বন্ধনগুলোই আমাদের নানান পরিচয়ে পরিচিত করে। এই বন্ধনগুলোই আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের পরিচয়। এই বন্ধনগুলোই আমাদের প্রত্যেকের জীবনকে সংজ্ঞায়িত করে। জীবনভর এই বন্ধনগুলো নিয়েই তো আসলে এই আমরা। জীবনের রঙে রঙিন, পার্থিব অথচ অপাংক্তেয়, একই সাথে অপার্থিব কিন্তু মায়াবি- এই অদ্ভুত বন্ধনগুলোর নিবিড় খুঁটিনাটি নিয়ে উস্তাদ নোমান আলী খান-এর মূল্যবান কথাগুলোই রূপরেখা পেয়েছে ‘বন্ধন’ বইটিতে। নিজেদের আপন সম্পর্কের মিষ্টতা-তি
ছোট ছোট আবেগ, অভিমান, অভিযোগ, খুনশুটি আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসার সমষ্টি হলো পরিবার? যা মানবসভ্যতাকে বহমান রেখেছে সৃষ্টির শুরু থেকে আজতক। পরিবার-কাঠামো দাড়িয়ে থাকে ছোট কিছু ত্যাগ আর সমঝোতার ভিত্তির ওপরে। সম্পর্ক মধুর হয় পারস্পরিক বোকাপড়া এবং দায়িতৃশীল উদার মনোভাবের গুণে। একটি সুস্থ-সাজানো পরিবার উপহার
দেয় একটি সুজনশীল ও নান্দনিক জাতি? সার্থক করে পৃর্ঘিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে। অন্যদিকে বিশৃঙ্খলা ও ঘৃণার চাদরে মোড়ানো পরিবার উপহার দেয় একটি বদ্ধ ও জড় মস্তিষ্কসম্পন্ন জাতি; কলুষিত করে জীবনের সঙ্গত বৈষয়িক
মায়ের কোল থেকে পৃথিবী নামক গ্রহে পা ফেলে নবজাতক শিশু। গর্ভাবস্থা থেকে জন্ম, জন্মের দিনের শিহরণ জাগানো ঘটনাপ্রবাহ, জন্মের পরে আদর-স্নেহ-মমতায় বেড়ে ওঠা, হাঁটতে শেখা, কথা বলতে শেখা-এভাবেই শৈশবের গল্পগাঁথা তৈরি হয়। পৃথিবীর প্রত্যেকজন বনি আদমের জীবনের শুরুর ঘটনাপ্রবাহ আমাদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক শিশুর শুরুর গল্পটা আমরা ভবিষ্যতের তথ্য দুনিয়ার জন্য সংরক্ষণ করতে চাই। বড় হয়ে একজন শিশু যেন জানতে পারে, কীভাবে সে আজ এখানে এসে পৌঁছেছে। আমাদের এবারের আয়োজন ‘বেবিজ ডায়েরি’। মুজাহিদ শুভ’র সম্পাদনায় এই ডায়ের
মুক্তিযুদ্ধের নির্মাণ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ইসলাম যে ডিসকোর্স হিসেবে হাজির ছিল, তার অনুপুঙ্খ অনুসন্ধানের একটা প্রয়াস ‘মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম’৷ ইতিহাসের হাত ধরে এতিহ্য নির্মিত হয়; ইতিহাসের পাঠ তাই নির্মোহ হওয়া সময়ের দাবি। চিন্তাশীল লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য মহান মুক্তিযুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠের যাপিত ধর্ম আল ইসলামের অবস্থান ও বয়ানকে উপস্থাপন করতে তথ্য ও প্রমাণের সাগর পাড়ি দিয়েছেন। অবগুষ্ঠন উন্মোচনের এক এঁতিহাসিক সফরে আপনাকে স্বাগত।
আপনি কয়জন সিরিয়াল কিলারকে চেনেন? এই জগতের ইতিহাসে ভয়ংকরতম খুনীর সাথে কি আপনার দেখা হয়েছে?
‘সানজাক-ই উসমান: অটোমানদের দুনিয়ায়’ আপনাকে তার সাথে দেখা করিয়ে দিতে চলেছে। তাকে দেখতে হলে আমাদের উঁকি দিতে হবে আট শ বছর আগের পৃথিবীতে।ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতেই মঙ্গোলিয়ান স্তেপ থেকে যেন স্বয়ং আজরাইল হয়ে নেমে এলেন চেঙ্গিজ খান এবং তার মোঙ্গল বাহিনী। মাত্র কুড়ি বছরের ভেতর যেন নরকে পরিণত হলো সারা পৃথিবী। প্রথমে চীন, তারপর তুর্কিস্থান আর খোরাসান হয়ে মোঙ্গল ঝড় ধেয়ে এল ককেশাস, আনা
অর্ধগ্লাস পানি দেখে দুই ধরনের অনুসিদ্ধান্ত সামনে চলে আসতে পারে। গ্লাসের অর্ধেক পানি পূর্ণ বলে কেউ পরিতৃপ্ত, আবার কেউ অর্ধগ্লাস পানি শূন্য ভেবে অপূর্ণতার সন্ধান পেতে পারে সহজে। এটা নির্ভর করে ব্যক্তির চিন্তা ও দর্শনের ওপর। বর্তমান সময়ে পরিপূর্ণ জীবনবিধান ইসলামকে একটি বিশেষ চোখ দিয়ে মূল্যায়ন করার প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইসলামকে বিভিন্ন না-বোধক অধ্যাদেশের জীবন-দর্শন হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। ইসলামবিরোধী শক্তি তো বটেই; দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেক দাঈ ইলাল্লাহ ও ওলামায়ে কেরামও অসচেতনভাবে ইসলামের না-বোধক উপস্থাপনাতে বেশি তৎপর। মুষ্টিম
মহান আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত ইবলিস চায়—বনি আদম আল্লাহর দেখানো সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ুক। তাই সে ডান-বাম, সম্মুখ ও পশ্চাৎ থেকে বিভিন্নভাবে তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। সরল পথ থেকে বিচ্যুত করতে তাদের সামনে সুশোভিত করে তোলে জাহেলিয়াতের নানা মত, পথ ও উপকরণসমূহ। কিন্তু আল্লাহর একনিষ্ঠ অনুসারীগণ ভালো করেই জানেন, জাহেলিয়াতমাত্রই অজ্ঞতার নিরালোক অন্ধকার।
আদমের অন্তরকে জুলুমাত আর গোমরাহিতে বিষিয়ে দিতে শয়তান কখনো ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে জাহ
দয়াময় রব গোটা সৃষ্টিজগৎকে সাজিয়েছেন অপরূপ নৈপুণ্যে, সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন অনুপম কারুকার্যের হাজারো নিদর্শন। কত বদল আর বৈচিত্র্যে ঠাসা এ চরাচর! যেন প্রভুর পরম আসমানি স্পর্শ লেগে আছে প্রতিটি কোণে। একেক সৃষ্টিকে তৈরি করেছেন একেক ব্যঞ্জনায়। এজন্যই তো অহংকার তাঁর আপন চাদর। আমাদের যত প্রার্থনা ও স্তুতি—সকলই কেবল তাঁকে ঘিরে। তিনিই মানুষকে পাঠিয়
আতাতুর্ক এবং এরদোয়ান- দুটি বিপরীত আদর্শের মানুষ। দুই কিংবদন্তি। এই দুজন মানুষ তুরস্কের একশো বছর সময়কালের দুই প্রান্তে বসে ইতিহাস গড়েছেন। দুটি ভিন্ন ধারার, ভিন্ন চিন্তার ইতিহাস। একজন ছিলেন খিলাফত পরবর্তী তুরস্ককে চরম জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মহীন সমাজব্যবস্থা গড়ার কারিগর। আর অপরজন উদারপন্থী জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামি মুল্যবোধ ফিরিয়ে আনার রূপকার। এই দুই কিংবদন্তির মধ্যখানে রয়েছে বহু উত্থান-পতনের গল্প। রয়েছে আদনান মেন্দেরেস এবং মিল্লিগুরুশের জনক নাজিমুদ্দিন আরবাকানের সংগ্রামী জীবনের গল্প। একশত বছর আগে যে বিশ্বাসী মানুষদের আশা ভঙ্গের সূচনা হয়ে
ইতিহাস বদলে যায় যুদ্ধ-সংগ্রাম, বিদ্রোহ আর বিপ্লবে। উত্থান হয় ক্ষমতার নতুন ভরকেন্দ্র ও পরাশক্তির। যুগে যুগে এভাবেই ক্ষমতা ও সাম্রাজ্যবাদের রূপান্তর ঘটেছে। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দুনিয়া দেখল জ্বালানি তেলের অভূতপূর্ব দাপট! বিংশ শতাব্দী থেকে দুনিয়ার ক্ষমতা- কাঠামোই উলটপালট করে দিলো এই তেল অস্ত্র। তেলের পরশে বদলে গেল মরুর দেশ সৌদি আরব, উপসাগরীয় ক্ষুদ্র রাষ্ট্র কাতার, কুয়েত, আমিরাত, ওমান ও বাহরাইন।
পশ্চিমা অয়েলম্যানদের কারসাজিতে