অ্যা লেটার টু আথিইস্ট বইটি কেন পড়বেন?
হিরোশিমায় বিস্ফোরিত 'লিটল বয়'-এর মতোই নাস্তিকপাড়া বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ। একের পর এক তাদের অভিযোগের দাঁতভাঙা উত্তর পেয়েও যখন ১৮০ ডিগ্রিতে বেঁকে বসেছে, তাতে আমরা একটুও অবাক হইনি। একটু মুচকি হেসে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম তাদের ডাবল স্ট্যাভার্ড কত হাস্যকর। বিশ্বাসের যৌক্তিকতা সম্পর্কে যে তাদের কোনো ধারণাই নেই, তা বুঝিয়ে আমরা উত্তর পাঠিয়েছিলাম ‘আরজ আলী সমীপে’। কিন্তু হায়! আরজ
আলির গুটি কয়েক ভক্ত সংবিৎ ফিরে পেলেও, কিছুই বুঝতে পারেনি তার অন্ধ ভক্তকুল। নাস্তিকতার স্বরূপ সন্ধানে নামলেই বুঝতে পারবেন যে, নাস্তিকমহল ধার ধারে না সত্য কথন-এর। বিশ্বাসের বয়ান ছাড়তে ছাড়তে আমাদের শনি সাহেব অসুস্থ হয়ে গেলেও তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি নিজেদের উল্টো নির্ণয় করা। শনি সাহেবের অসুস্থতা নিয়ে কিছুদিন আনন্দে ছিল বটে, কিন্ত সব আনন্দ মাটি করে দিতে ঝড়ের বেগে এলো অ্যান্টিডোট। সে কয়দিনেই নাকের পানি চোখের পানির বন্যায় ভেসে গেছে নাস্তিকপাড়া। আরজুর সবগুলো আর্গুমেন্ট তো আর্গুমেন্টস অব আরজুতে দেখেছে, তাতে যদি তাদের একটু লজ্জা হতো, তাহলে অন্তত আর লাফালাফি করত না। অতএব, দেখতেই পেলেন যে, ইসলামের সত্যতা কষ্টিপাথর দিয়ে যাচাই করে দেওয়ার পরও তারা অজ্ঞতাপূর্ণ বদ্ধমনা থেকে বাক্সের বাইরে এসে মুক্তমনা হতে পারল না। তবুও আমরা দু’আ করি, তারা যেন ফিরে আসতে পারে অঙ্ধকার থেকে আলোতে।
এ বইটিতে ইসলামের প্রতি নাস্তিক এবং খ্রিষ্টান মিশনারিদের প্রধান কয়েকটি অভিযোগের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মূলত এসব প্রশ্নগুলোর টোপে পড়ে একটা পর্যায়ে আমি নিজেই একজন সংশয়বাদী হয়ে পড়েছিলাম। এক পা-দু পা এ ছাড়াও প্রকাশ্যে অথবা অপ্রকাশ্যে যারা আমার মতো ‘এত ধর্মের মধ্যে কোন ধর্ম ঠিক’ প্রশ্নের ঘূর্ণিপাকে পড়েছেন, তাদের জন্য একটি ছোট্ট সমাধান হতে পারে।