পৃথিবীতে সাম্রাজ্যবাদ ছড়িয়েছে একেক সময় একেক বিষয়কে উপজীব্য করে। কখনো ধর্ম, কখনো মসলা বাণিজ্য, আবার কখনো-বা খনিজ সম্পদ দখলের নেশায় এশিয়া, আফিকা ও লাতিন আমেরিকায় হানা দিয়েছে ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গের দল। লুটপাটের পথ মসৃণ করতে পৃথিবীর বহু দেশে স্বৈরশাসনকে প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে দশকের পর দশক ধরে। লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার কিছু দেশে স্বৈরশাসকদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল আমেরিকা, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম। এর অন্যতম উদাহরণ কঙ্গোর মবুতু সেলসে এবং চিলির সামরিক শাসক অগাস্টা পিনোশে। আবার জাতীয়তাবাদের ঐক্য গড়ে যারা এই সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের মোকাবিলায় আত্মনির্ভরশীল হওয়ার উপায় খুজেছেন, তাদের কপালে জুটেছে বন্দিত্ব, নির্বাসন, মৃত্যুদণ্ড কিংবা গুপ্তহত্যা। পাশ্চাত্য দুনিয়া কখনো সিভিলিয়ানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সন্ত্রাসের পথ রচনা করেছে, আবার কখনো স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে অস্ত্র ধরেছে সেই অস্ত্রধারী সিভিলিয়ানদেরই বিরুদ্ধে। তেল সম্পদ লুট করতে না পারার অভিমান থেকে ৫০-এর দশকে ইরানের জাতীয়তাবাদী সরকারকে হটিয়ে স্বৈরাচারি হাতকে শক্তিশালী করেছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। আবার আশির দশকে রোনান্ড রিগ্যানের আমলে মধ্য আমেরিকায় বামপন্থি শাসনের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল প্রক্সি যুদ্ধের মাধ্যমে।
কমিউনিস্ট স্বৈরশাসন পোক্ত করতে আফগানিস্তানে ঢুকে পড়েছিল সোভিয়েত সেনারা। তাদের ঠেকাতে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামপন্থি আফগানদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় জিমি কার্টার প্রশাসন। ২২ বছর বাদে সেই আফগান মুজাহিদিন গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসা “তালেবান'কে কাবুল থেকে উৎখাত করে পুরোনো মিত্র আমেরিকাই। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! দুই দশক আগে এত আয়োজন করে যাদের সরানো হলো, সেই তালেবানের সাথে শান্তিচুক্তি করে কাবুলের ভাগ্য ছেড়ে দিয়ে অবশেষে বাড়ি ফিরে গেছে আমেরিকা। ক্ষমতার এই দ্বন্দের নানা উত্থানপতন নিয়ে আলোচিত হয়েছে ‘ব্যাটল ফর পাওয়ার’ বইটিতে।
Book |
ব্যাটল ফর পাওয়ার |
Author |
সোহেল রানা ২ |
Publisher |
গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস |
ISBN |
9789849658481 |
Edition |
1st Published, 2022 |
Number of Pages |
304 |
Country |
বাংলাদেশ |
Language |
বাংলা |