পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব শেষ নবি মুহাম্মাদে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী আমাদের সকলের জানা উচিত। যদিও মহানবির জীবনী নিয়ে হাজারো বই বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে, তদুপি “সিরাতুর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাঁর পদচারণায় ধন্য পৃথিবী ” বইটি পাঠকের জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করবে। একটি প্রবাদ বাক্য আছে প্রতিটি ফুলের আলাদা আলাদা ঘ্রাণ। তেমনি প্রতিটি সিরাতের বইয়ে আলাদা আলাদা সুবাস(জ্ঞান) রয়েছে।
By সাইফুদ্দীন আহমেদ, আল্লামা সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ.)
আর রাহীকুল মাখতূম: একটি অনবদ্য সীরাত-গ্রন্থ। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সীরাত পর্যালোচনায়, সীরাতের ঘটনামালার সুসংহত ও মনোজ্ঞ উপস্থাপনায় বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সত্যিই এক নজিরবিহীন রচনা।
আল কুরআনুল কারীম, হাদীসে নববী ও বিশুদ্ধ আছার এবং ঐতিহাসিক বর্ণনার নির্যাস বের করে প্রাজ্ঞ লেখক তাঁর এ বইটি সুবিন্যস্ত করেছেন।
উসওয়াতুল লিল আলামিন গ্রন্থটিতে রয়েছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিচয়, সমগ্র মানবজাতির হেদায়েতের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের মূল্যায়ন এবং বিশ্ববাসীর প্রতি তাঁর নির্দেশনা ও দীপ্তি প্রসারের অভিপ্রায়। পৃথিবীতে আগত শ্রেষ্ঠ মানব রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যঙ্গবিদ্রুপে নিমজ্জিত পাশ্চাত্য জাতির মুক্তির অভিপ্রায়ে, মিশরের ‘আল মারকাজুল ইসলামি আল-আম লিদুআতিত-তাওহিদ ওয়াসসুন্নাহ’-এর অধীনে আন্তর্জাতিক এক (সিরাত) প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিচয়দান-বিষয়ক সেই প্রতিযোগিতার শিরোনাম দেও
আমরা আমাদের পেয়ারা নবী হুজুরে আকরাম (সাঃ) কে আসলে কতটা চিনি? তাকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি বটে কিন্তু উনার জীবনচরিত সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল? প্রিয় নবীজির জীবন যেন আল্লাহর নাযিলকৃত আল-কোরানের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। হুজুরের জীবন কাহিনী বিশ্লেষণ করলে সব যুক্তি বুদ্ধি যেন থমকে দাঁড়ায়। নবীজিকে জানা তাই মানার পূর্বশর্ত ।
রাসূলের সা. এ কোমলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত বিভিন্ন প্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রসঙ্গে তার অন্তর বিগলিত করা কান্নার মাধ্যমে। আলােচ্য ‘রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কান্না’ বইটিতে সেসব ঘটনাই চমৎকারভাবে সংকলন করেছেন ড. আবদুল মান্নান ও ড. রাশীদাহ। এতে লেখকদ্বয় আল্লাহর রাসূল সা. এর বিভিন্ন প্রসঙ্গে কান্নার ঘটনা উল্লেখ করে মুমিন জীবনে কান্নার প্রয়ােজনীয়তা তুলে ধরেছেন। এ ছাড়া কান্না বিষয়ে প্রাসঙ্গিক অনেক তত্ত্ব ও তথ্যের সমাহার ঘটিয়ে বইটিকে আরাে সমৃদ্ধ করেছেন।
প্রিয় নবীজির সকল মানব এবং জিন জাতির জন্য রাহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তাইতো আজ দেড় হাজার বছর হাজার বছর পরেও দেখা যায় বিধর্মীরাও তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং অন্যান্য গুণাবলীতে সমভাবে মুগ্ধ।
বিধর্মী পন্ডিতের লেখা যিনি ভিন্ন দৃষ্টিতে নবীজিকে দেখেছেন। অনুধাবন করার চেষ্টা করেছেন কিভাবে তিনি পরিবর্তন করেছিলেন একটি জাহিলিয়াতপূর্ণ জাতিকে।
কিভাবে জন্ম দিয়েছিলেন এক নতুন সভ্যতা সৃষ্টিকারী কিছুসংখ্যক নক্ষত্রসম মানুষদের যাদেরকে আমরা সাহাবী হিসাবে জানি এবং মানি।
মানুষ ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নবী-রাসূলগণ ভুলের উর্ধ্বে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হুযুর সাল্লাল্লাহু সাল্লাম মানবিক দুর্বলতার প্রতি কেমন আচরণ করেছেন তা স্টাডি করলে বিস্মিত হতে হয়। তিনি ছিলেন ধৈর্যর পাহাড়। মানুষের সমস্ত ইচ্ছাকৃত,অনিচ্ছাকৃত সবধরনের ভুলের জন্য ক্ষমা করে দিতেন। শুধু আল্লাহ বিরোধী কিছু করলে তিনি তা আল্লাহর পক্ষ হতে প্রতিশোধ নিতেন তাও পরিবর্তন হয়ে গেলে তাকে ক্ষমা করে দিতেন।
এই কিতাব পড়লে তার জীবনের অত্যাশ্চর্য দয়ার দিকটি বিশদভাবে জানা যাবে।
প্রিয় নবীজিকে দুনিয়া এবং আখেরাতে পেতে হলে নবীজির প্রতি থাকতে হবে নিখাদ ভালোবাসা।
আর তার প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ মেলে তাঁর নির্দেশিত পথে নিজের জীবনকে চালানোর মাধ্যমে। হুজুরের জামানায় সাহাবীরা যে পরিমান ভালোবাসা দেখিয়েছেন এবং যে পরিমাণ আত্নত্যাগ করেছেন তাই আমাদের চলার পথের পাথেয়। তাদের দেখানো রাস্তা মোতাবেক চললেই পাওয়া যাবে হুজুরের শাফায়াত ওপারে।
এপারের মিলবে শান্তি সমৃদ্ধি এবং নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা ইনশাল্লাহ।
আমাদের প্রিয় নবীজি হুজুর (সাঃ) জীবন পাঠ করা আমাদের জন্য একান্তই আবশ্যক। আমরা যদি নবীজির জীবনধারণ পদ্ধতি নাই মানি, নাই বুঝি তাহলে আমরা আবার কিসের অনুসারী? একটি ২৪ ঘন্টার দিনকে তিনি কীভাবে ভাগ করে কতো সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করেছেন মুসলমানদের জন্য তা অনুসরণ এবং অনুকরণ করা খুবই প্রয়োজন।
যে জিনিসটি আমাদের করার কথা ছিল নবীর সত্যিকারের আশেক হলে- তা করতে আমাদের আসলে সমস্যা কোথায়? তাই সময় এসেছে নবীর সহী উম্মত হতে হলে নিজেকে প্রশ্ন করি নবীজিকে কতটুকু আসলে সত্যিকার অর্থে কতটা ভালোবাসি?
নবীকে জানতে, নবীকে মানতে কিতাবটি অবশ্যই সহায়ক হবে বলে বিশ্বাস করি।
‘প্রশ্ন’ হলো কৌতূহলের বহিঃপ্রকাশ। আর ‘উত্তর’ হলো উদ্ভূত কৌতূহলের নিবৃত্তি। প্রশ্ন ও তার উত্তর খুঁজে বের করার মাধ্যমে মূলত টেকসই জ্ঞান অর্জিত হয়। নবিজির পুরো জীবনকে এই গ্রন্থে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থাপন করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব মানবতার মহান শিক্ষক, ‘উসওয়ায়ে হাসানাহ’, সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ সা.-এর পবিত্র সিরাত নিয়ে বাংলা ভাষায় প্রচুর কাজ হয়েছে। আমাদের সম্মানিত ওলামায়ে কিরাম ও শাইখবৃন্দ তাদের মেধা ও যোগ্যতার সর্বোচ্চাটুকু ঢেলে দিয়ে সিরাতুন্নবি সা. লিখেছেন। ‘প্রশ্নোত্তরে সিরাতুন্নবি সা.’ স
ঊষর মরুর বুকে বেড়ে উঠা একজন ব্যক্তির পক্ষে কি গোটা বিশ্ব খোলনলচে বদলে দেওয়া সম্ভব? তাও আবার মাত্র তেইশ বছরের সংক্ষিপ্ত মিশনে? হ্যাঁ, অসামান্য যোগ্যতা আর ধীশক্তির গুণে এই অসাধ্যকেই সাধন করেছিলেন বিশ্বমানবতার নবি মুহাম্মাদ ﷺ। একাধারে তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল, তুখোড় রাজনীতিবিদ, বীর যোদ্ধা, অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং অনুপম ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
আমরা দুর্ভাগ্যবশত সঠিকভাবে না জানলেও এটাই সত্যি আমাদের নবীজি (সাঃ) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক!
নবীজি (সাঃ) তিনি যে সকল বিচার ফায়সালা করেছেন তা কেয়ামতের আগ পর্যন্ত সকল বিচারকদের জন্য একটি রোল মডেল স্বরূপ। চুরি, যেনা করা, রাহাজানি, মিথ্যা বলা ইত্যাদি বিষয়ে তিনি যেভাবে বিচার ফয়সালা করেছেন তা আজও বিশ্বের তাবড় তাবড় আইন প্রণেতাদের জন্য বিস্ময়সূচক।
চলুন, নবীজির জীবনের এই অনবদ্য দিকটি সম্পর্কে একটু পড়ে নেয়া যাক।
মহাগ্রন্থ আল কুরআন এর পরতে পরতে লুকিয়ে আছে রহস্যর মায়াজাল এবং পরাবাস্তবতার হাতছানি!
কুরআনের প্রতিটি আয়াতের সাতটি জাহেরী বা প্রকাশ্য এবং সাতটি বাতিনী অর্থাৎ অপ্রকাশ্য অর্থ আছে। আমরা তার কয়টি জানি? আসলে কয়টি জানা সম্ভব?
কুরআনে সংখ্যাতত্ত্বের জাল বিশ্বসেরা বিশ্লেষকদেরও মাথা নষ্ট হতে বাধ্য। বিজ্ঞান স্বীকার করেছেন কুরআন কোন মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না। এটি অবশ্যই একটি ঐশী শক্তি হতে নাযিলকৃত যাকে আমরা আসমানী কিতাবে হিসাবেই জেনে থাকি।
নবীজি (সাঃ) এর আবির্ভাব এই ধরাধামে ধূমকেতুর মতো! উনার আগমন সারা পৃথিবী উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল আলোয় কিন্তু তিনি জন্মেছিলেন এক ভয়ঙ্কর সমাজে যা আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে পরিচিত ছিলো। তাঁর মেহেনতে সে নিকষ কালো অন্ধকার কাটতে থাকে। তার স্পর্শে পৃথিবীর বর্বর এক সভ্যতার নারী পুরুষদের সোনার মানুষে পরিবর্তন করেন তিনি।
কী এক আশ্চর্য পরশপাথর ছিলো তার কাছে! জানতে চান আরো?
তাহলে চলুন বইটি পড়ি।
নবী রাসুল্ রা আল্লাহর পাঠানো সবচেয়ে মকবুল বান্দা। অথচ এমন কোন নবী বা রাসুল নেই যার উপর তার উম্মতেরা অত্যাচার করেনি। আমাদের প্রিয় নবীজি হুজুর (সাঃ) এর উপর চালানো হয়েছে নির্যাতনের স্টীম রোলার।
কিন্ত পেয়ারা নবী সর্বদা তার উম্মতের কথা চিন্তা করে চোখের পানি ফেলেছেন আর উম্মতের হিদাআহ চেয়েছেন। কি দিন, কি রাত, কি তাহাজ্জুদের সময় এমন কোন সময় নেই যখন তার চোখের মোবারক পানি ঝরেনি।
উম্মতের জন্য এমন রোনেওয়ালা, মুহব্বতওয়ালা প্রিয় নবীজি ছাড়া আর কে থাকতে পারে?
আমরা আমাদের পেয়ারা নবী হুজুরে আকরাম (সাঃ) কে আসলে কতটা চিনি? তাকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি বটে কিন্তু উনার জীবনচরিত সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল?
প্রিয় নবীজির জীবন যেন আল্লাহর নাযিলকৃত আল-কোরানের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। হুজুরের জীবন কাহিনী বিশ্লেষণ করলে সব যুক্তি বুদ্ধি যেন থমকে দাঁড়ায়।
নবীজিকে জানা তাই মানার পূর্বশর্ত ।
প্রশ্ন করি নিজেকে আমরা কি সত্যিকারের মুমিন বান্দা বা রাসুলের প্রকৃত আশেক? সত্তিকারের মুমিন হওয়ার কিছু পরিমাপক আছে। আল্লাহ এবং তার রাসুল কেই সবচেয়ে বেশি ভালবাসতে হবে।
জি ঠিকই শুনেছেন!
নিজের জান-মাল এবং পরিবার সন্তান সন্ততি থেকেও অনেক অনেক বেশি… তাহলেই আপনি সত্তিকারের মুমিন বলে আল্লাহর কাছে বিবেচিত হবেন। নবীজিকে এবং তার আদর্শকে সর্বাগ্রে স্থান দিতে হবে। নিজেকে নবীজি (সাঃ) এর নির্দেশের সামনে বিলিয়ে দিতে হবে। মুমিনের আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সামনে নিজের কোনো ইচ্ছা থাকতে পারে না।
এই মনোভাব যদি দিলে সেট করতে পারি তবেই কেবলমাত্র আমি নবীর প্রকৃত আশেক নতুব
নবীজির আদর্শ নিয়ে কিতাব লিখতে যাওয়া একটি দুঃসাহসিক ব্যাপার নিঃসন্দেহে। এতো বিশাল একটি বিষয় ক্ষুদ্র কলেবরে প্রকাশ করতে গেলে অনেক জটিল বিষয়ের অবতারনা করতে হয় কিন্তু একই সময়ে পাঠকদের কথা মাথায় রাখতে হয়। সর্বসাধারণের কাছে গ্রহনযোগ্যতার একটি আবেদন সব সময়ই থেকে যায়।
এই আলোকে লেখকের এই প্রয়াস এক কথায় অসাধারন। নবীজির আদর্শকে সর্বমহলে পরিচিতকরনে তিনি যে মুন্সীয়ানা তার লেখনীর মাধ্যমে প্রমান করেছেন তা এক কথায় অসাধারন। নবীজিকে আমরা আবিষ্কার করবো সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রায়।
তাহলে আর অপেক্ষা কিসের…
আমাদের নবীজি (সাঃ) একদল সোনার মানুষ তৈরি করে রেখে গিয়েছিলেন। তারা আর কেউ নন আমাদের মহা সম্মানিত সাহাবা (রাঃ) আজমাইন। কিন্তু কেন তারা এতো সম্মানিত? কিসের বলে তারা অন্ধকারছন্ন যুগে জন্মানোর পরেও পৃথিবীর সমস্ত মানুষের নিকট চিরদিনের জন্য আদর্শরূপে গণ্য হলেন?
আসুন দেরী না করে আমরা জানি সেই সোনার মানুষদের সোনালী ইতিহাস।
By ড. আলী মুহাম্মদ আস সাল্লাবী
ইসলামকে বুঝতে হলে সবার আগে বুঝতে হবে নবীজি (সাঃ) এর জীবনীকে। কারন ইসলামকে মানুষের জীবনে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হয় তার রোলমডেল হলো আমাদের প্রিয় নবীজি।
কিন্তু আমরা কি জানি নবীজি (সাঃ) কিভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? সীরাতুন্নবী সম্পর্কে আমাদের ধারনা কতটুকু পরিষ্কার? আমাদের নবী পারিবারিক ও সামাইক জীবনে কেমন ছিলেন, কেমন ছিলো তাঁর জীবনচরিত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে?
নবীজির কথা এবং কাজ কি শুধু মিলাদ কিয়াম আর টকশোর ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি আমাদের জীবনে তাঁর বাস্তবিক প্রয়োগ ঘটাবো সেই সিদ্ধান্ত আমাদেরকেই নিতে হবে।
আমাদের প্রিয় নবিজি (সাঃ) যেন এক তীব্র সুঘ্রাণপূর্ণ এক মহামূল্যবান ফুলের মতো যার সুরভি যেই পেয়েছে সেই আমুল বদলে গেছে। তাঁর আবির্ভাবে সারা জাহানে সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছিলো। তাঁর আগে পৃথিবী ছিলো ঘোর অন্ধকারাছন্ন এবং পাপ পঙ্কিলতায় ভরা।
কি অদ্ভুত কায়দায় তিনি বদলে দিয়েছিলেন সমগ্র জাহান! আসুন সেই কাহিনী জানি, নবীজি (সাঃ) কে আরোও বেশী করে জানি।
আসলে আমরা মুসলমান শুধু নামে হতে পেরেছি, কাজে নয়। নবীজি (সাঃ) কে আমরা শুধু ক্ষেত্র বিশেষে অনুসরন করতে পেরেছি, সমগ্র জীবনব্যাপী নয়। তাই যদি হতো তাহলে রাষ্ট্রনীতি, সমরনীতি, কুটনীতি এসব জায়গায় নবীজির আদর্শ অনুপস্থিত কেন?
নবীজি(সাঃ) শুধু দয়ার নবী নন, তিনি যোদ্ধা নবীও বটে। তাঁর এই অনন্যসাধারণ গুনগুলো আমরা দেখতে পাই নবীর যোদ্ধা জীবন পর্যালোচনা করলে। তাঁর কূটনীতিক চিন্তাভাবনাগুলো আজও পৃথিবীর যাবতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলোর অবশ্যপাঠ্য।
আফসোস, এগুলো বিধর্মীরা বুঝলেও আমরা উম্মতেরা কেন সেগুলো ভুলতে বসেছি?
By মাওলানা কাজি জায়নুল আবিদিন মিরাঠি রাহ, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান রাহ.
নবীজি (সা:) কে খালি নামে পরিচিত হলেই হবেনা। নবীজির সীরাতুন্নবী অধ্যায়ন করতে হবে নবীজিকে পরিপূর্ণভাবে জানতে হলে।
কেমন ছিলেন আমাদের নবী, কেমন ছিলো তার জীবন পদ্ধতি, কিভাবে তিনি এনেছিলেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন- সবকিছু এক মলাটের ভেতরে পাবেন। মনে রাখতে হবে নবীজিকে মানার ভিতরই সবচেয়ে বড় সার্থকতা।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর পবিত্র জীবনচরিত পর্যালোচনা করলে এর দু’টি বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে বেশি প্রতিভাত হয়ে উঠে। প্রথমত, তাঁর জীবনধারার অন্ত-র্নিহিত বৈপ্লবিক আদর্শ – যার ছোঁয়ায় মানব জাতির সমাজ ও সভ্যতায় এসেছে বৈপ্লবিক রূপান্তর।
দ্বিতীয়ত, সে আদর্শের সু্ষ্ঠু রূপায়নের জন্যে তাঁর নির্দেশিত বৈপ্লবিক কর্মনীতি – যার সফল অনুস্মৃতির মাধ্যমে একটি অসভ্য ও উচ্ছৃঙ্খল জনগোষ্ঠী পেয়েছিল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সভ্যতা ও সংস্কৃতির শিরোপা।