Books for Children - শিশু-কিশোরদের বই by Ilannoor Publication Bangladesh.
আল্লাহ প্রেরিত মহাগ্রন্থ আল-কোরআন যেন এক জীবন্ত ইতিহাস। কোন সন্দেহ নেই , এইসব ঘটনা যেমন মনকাড়া তেমনি শিক্ষামূলক। কোরআনের এইসকল ঘটনার রেফারেন্স টেনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের কে যেন সতর্ক করছেন। কোরআনে উল্লিখিত এইসকল ঘটনাসমুহ আমাদেরকে ভুল সংশোধন করতে সাহায্য করে। নতুন করা পথ চলতে শেখায়। জগতে আল-কোরাআনের থেকে বড় শিক্ষক আর নেই।
যারা আমরা সন্তানের পিতা মাতা হয়েছি , কখনো নিজেদের প্রশ্ন করেছি, সন্তান লালন পালনে আসলে কোন জিনিস্ টি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ? শুধু সন্তানের পিছনে পয়সা খরচ করাই কি সন্তান কে মানুষ হবার নিশ্চয়তা দেয়? আমাদের ইসলামের বিধিবিধান কি এই ব্যাপারে? সন্তান কে কতটুকু দ্বীন শিখাচ্ছি আমরা? মানুষ তৈরি করছি নাকি পাশ্চাত্যর অন্ধ অনুকরন করে একটি জাহেলী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরবে কাজ করে যাচ্ছি?
আমাদের বর্তমান জমানায় রোল মডেল কারা? সিনেমার নায়ক আর বাজারের নর্তকী!!!
আমাদের সুপথে আনতে আল্লাহ জাল্লা শানুহু হাজার হাজার আলোকিত রোল মডেল আল্লাহতালা যুগে যুগে পাঠিয়েছেন অনেক অনেক বার তারা হচ্ছে “নবী-রাসূল”। তারা আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকেন, সমাজকে সংস্কার করেন এবং এই পৃথিবী কে ইসলামের আলোয় আলোকিত করেন। তাদের ফেলে আমরা শুনে কাদের ছুটছি? আমাদের গন্তব্যর শেষ কোথায়? আমরা কি গজব নাজিল হওয়ার আগেই সতর্ক হব না ? চলুন, আল্লাহ প্রেরিত সেই সকল মহান রোল মডেলদের কতকের বরকতময় জীবনকাহিনী বই 'নবীগণের গল্প শুনি' পড়ে দেখি।
ফেতনাময় এই দুনিয়ায় সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করা সম্ভবত কঠিনতম কাজ। উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে সহজেই ভুল পথে ধাবিত হয়ে নানবিধ অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। সময়মত তাদেরকে রোখা না গেলে তার ভবিষ্যৎ তো নষ্ট হবেই, দেশ ও জাতির ভাগ্যাকাশে নামে আসবে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। তাই সন্তানকে ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাদের ভিতরে ইসলামের প্রয়োজনীয়তা প্রবেশ করাতে হবে । তবেই তারা ভালো মন্দের পার্থক্য বুঝতে শিখবে।
শিশু-কিশোরদের জন্য রচিত এই বইটি ছোটদের উপযোগী বিজ্ঞান ভিত্তিক সচিত্র রঙিন বই। এ বইয়ে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেয়া বিজ্ঞান ভিত্তিক উপদেশমূলক শিক্ষার পাশাপাশি চরিত্র গঠনমূলক অনেক বিষয় ফুটে উঠেছে।
জীবনে যারা বিশেষ কিছু হতে চান, এই বইটি তাদের জন্য। বইটির পরতে পরতে রাসূল সা. এর জীবনের এমন সব ঘটনা থাকবে, যেগুলো মানুষকে অনুপ্রেরণা দিবে দারুণভাবে। অবলীলায় তারা তাকে গ্রহণ করবেন অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে।
অনুবাদক: মাসুদ শরীফ
পূর্বসূরিরা আমাদের যেভাবে নির্মাণ করেছেন, ঠিক সেভাবেই আমরা জাতির জন্য কাজ করছি। কেউ সমাজের জন্য ভালো কিছু করছি, কেউ আবার সমাজ ধ্বংসের কারিগর হিসেবে কাজ করছি। আজকের দিনে আমরা যেভাবে আমাদের উত্তরসূরিদের নির্মাণ করব, ঠিক সেভাবেই ভবিষ্যতে তারা ভূমিকা পালন করবে। পুরো দায়টা আমাদের। কিশোর-যুবাদের নিয়ে সত্যিকারার্থে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। ব্যক্তি ও পরিবার যতটা পারছে, নিজেদের মতো করে গাইডলাইন দিয়ে যাচ্ছে। জাতি হিসেবে আমরা কীভাবে আমাদের আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চাই দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজও তা নির্ধারিত হয়নি
মাতা-পিতার সবচেয়ে বড়ো প্রজেক্ট সন্তান। সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে সন্তানের কুসুমাস্তীর্ণ পথ নির্মাণে বাবা-মা ক্লান্তিহীন। বিশ্বায়নের এই সময়টা বেশ বড়ো ধরনের অস্থিরতা ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একুশ শতকের এই সময়ে এসে সন্তান প্রতিপালনের ধারণা অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি আর সামষ্টিক নৈতিকতার অভাববোধের
শিশুরা গল্প শুনতে বা পড়তে ভালোবাসে। কিন্তু সব গল্পই কি শিশুদের ভালো লাগে? না। শিশুরা তাদের মতো গল্প পছন্দ করে। কখনো রূপকথা, কখনো বীরত্ব, কখনো বা শিক্ষণীয় গল্প প্রভাবিত করে তাদের। কখনো শুনতে চায় নিজের জীবনের গল্প।
গল্প শিশুদের কল্পনাশক্তিতে প্রখর করে। তাদের ভবিষ্যত চিন্তাকে প্রভাবিত করে। তাদের জীবন বদলে দেয় অনেক গল্প।
কিন্তু রূপকথার গল্পগুলো তো মিথ্যা। অনেক গল্প আছে যেগুলো অবাস্তব কাহিনিতে ভরা। আবার অনেক গল্প এমনও আছে যেগুলো ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক। তাহলে কোন গল্প শোনাবো তাদের?
পবিত্র কালামে পাকের পরেই হাদিস-ই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কিতাব যা প্রত্যেকটি মুসলমান কে অনুসরণ করতে হয়।
কিন্তু ছোটবেলা থেকে আমরা কি হাদিস পড়ে বড় হই নাকি বড় হই ঠাকুরমার ঝুলি পড়ে? আমরা সময় কাটাই বিভিন্ন কল্পকাহিনী, রূপকথার আবোল-তাবোল গল্প পড়ে ও শিখে।
আসলে আমাদের মগজ পচে গেছে। সুতরাং এ ধরনের ড্যামেজ ব্রেন থেকে উন্নত কিছু আশা করা যায় না।
শিশু-কিশোরদের বাঁচাতে হলে এসব কল্পকাহিনীর বাদ দিয়ে হাদীস নির্ভর জীবন গড়ে তুলতে হবে। তার শিক্ষা দিতে হবে প্রারম্ভিক কাল থেকে। তাই আর দেরি নয়, চলুন হাদিস দিয়ে শিশুদের জীবন থেকে গড়ে তুলি।
বাবা মার উপর সন্তানের হক কি জানেন?
জি, সেটি অবশ্যই জানতে হবে। তা হচ্ছে সন্তানকে দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেয়া। বেশিরভাগ অভিভাবক সেটি করতে ভুলে যান অধুনাকালে। বস্তুবাদী এবং ভোগবাদী সমাজের নানাবিধ শিক্ষা ও কুশিক্ষা আমরা বাচ্চাদের মাথার উপর অবিরত ঢালতে থাকি কিন্তু যে জিনিস তার চিরদিনের জন্য কাজে লাগবে অর্থাৎ আখিরাত সংক্রান্ত বিদ্যা তথা ইসলাম সম্পর্কিত জ্ঞান- তা জানাতে আমাদের রাজ্যের অনীহা!
অনেকের তো মনেই পড়ে না!!!
এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আপনার সন্তান সুসন্তান হিসাবে গড়ে উঠবে না।
যে সন্তানকে আপনি কোলে পিঠে মানুষ করছেন দুদিন বাদে সেই আপনার সবচেয়ে
আপনি যদি আপনার সন্তানকে এসকল আবাস্তব ও কাল্পনিক চরিত্রের অনুকরণ থেকে দূরে সরিয়ে—বাস্তব দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মানুষের অনুকরণে গড়ে তুলতে চান, তাহলে ‘ছোটদের নাবি সিরিজ’ বইটি আপনার সন্তানদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। এই বইয়ে নাবি-রাসূলদের জীবনী ছোটদের উপযোগী করে চমৎকার ভাবে গল্পে গল্পে ফুটে উঠেছে।
মায়ের কোল থেকে পৃথিবী নামক গ্রহে পা ফেলে নবজাতক শিশু। গর্ভাবস্থা থেকে জন্ম, জন্মের দিনের শিহরণ জাগানো ঘটনাপ্রবাহ, জন্মের পরে আদর-স্নেহ-মমতায় বেড়ে ওঠা, হাঁটতে শেখা, কথা বলতে শেখা-এভাবেই শৈশবের গল্পগাঁথা তৈরি হয়। পৃথিবীর প্রত্যেকজন বনি আদমের জীবনের শুরুর ঘটনাপ্রবাহ আমাদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক শিশুর শুরুর গল্পটা আমরা ভবিষ্যতের তথ্য দুনিয়ার জন্য সংরক্ষণ করতে চাই। বড় হয়ে একজন শিশু যেন জানতে পারে, কীভাবে সে আজ এখানে এসে পৌঁছেছে। আমাদের এবারের আয়োজন ‘বেবিজ ডায়েরি’। মুজাহিদ শুভ’র সম্পাদনায় এই ডায়ের
সন্তান প্রতিপালন করা কোন সহজসাধ্য বিষয় নয়। আমরা যে তরীকায় হাল জমানায় সন্তানে শিক্ষা দিচ্ছি সে সুসন্তান হয়ে, প্রকৃত মুমিন হয়ে বড় হবে কিনা তাতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সন্তান পালনের নিয়ম নীতির মধ্যে ইসলামী অনুশাসন না থাকলে সে সন্তান ভবিষ্যতে আপনার জন্য মাথাব্যথা কারন হবে। ইসলামী তরিকায় সন্তানকে বড় করলে তাঁর দুনিয়াবী উন্নতির সাথে সাথে আত্নিক উন্নতিও ঘটবে।
তাই সন্তান প্রতিপালনে ইসলামের সাহায্য নিন, নবীজির গাইডলাইন মেনে চলুন ।
ছোটবেলা থেকেই আপনার বাচ্চাকে ইসলামমুখী করে গড়ে তুলতে হবে। ছোটবেলা থেকে শিশু ইসলাম মানতে শিখলে বড় হয়ে ইসলামী মতাদর্শের উপর চলতে কোনপ্রকার গড়িমসি করবেনা। আর তাঁর ব্যাতয় ঘটলে আর ইসলাম মানতে মন চাবে না!
মানুষের আচরন হয়ে পড়বে পশুসুলভ। দ্বীনি শিক্ষার কোন বিকল্প তৈরি হয় নি এবং কখনোও হবেও না। সুতরাং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করুন দেরী হয়ে যাওয়ার আগেই।
প্রিয় নবীজির সিরাতুন্নবী যেন এক মহাকাব্যের মতো… যেন বিশাল এক মহাসমুদ্র! জ্ঞানের এই সমুদ্রে সাঁতার কাটা সহজ নয়, বিশেষত আপনি যদি জেনারেল লাইনের মানুষ হয়ে থাকেন। কিন্তু গল্পচ্ছলে যদি নবীর সীরাতকে আপনার সামনে উপস্থাপন করা হয়, বাচ্চাদের শেখানো হয় তবে কেমন হবে?
লেখকের খুবই ভাল একটি প্রয়াস বলতে হবে যেখানে নবীজি সিরাতুন্নবী গল্পচ্ছলে সর্ব সাধারণের কাছে পরিচিত করার একটি দারুণ চেষ্টা করেছেন, এই জন্য সাধুবাদ তার প্রাপ্য।
আর আমরাও নবীজি (সাঃ) কে আরোও ভালো করে চেনার এবং বোঝার সুযোগ পাবো।
ইমাম হোসেন রাদিয়াল্লাহ সম্পর্কে আমরা যতটুকু জানি উনার বড় ভাই হুজুরের প্রিয় নাতি ইমাম হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহুর সম্পর্কে ততটাই কম জানি। উনার জীবন, কর্মপদ্ধতি আমাদের কাছে অনেকটাই ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা।
অথচ মুসলমান হিসেবে এটা জানা আমাদের অতীব জরুরি ছিল। সে লক্ষ্যেই এই বইটি লেখা যেখানে আমরা আমাদের প্রিয় সাহাবী এবং হুজুরের নাতি সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পারবো ইনশা আল্লাহ।