ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত এক চরিত্রের নাম আব্বাসি খলিফা খলিফা হারুনুর রশিদ। এ নামের সঙ্গে পরিচিত নয় এমন মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য। কারণ তার শাসনামল ছিল ইসলামি সভ্যতা-সংস্কৃতির চরম উৎকর্ষের যুগ। জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি তখন উন্নতি-অগ্রগতির শিখরে পৌঁছে ছিল বলে এ সময়টিকে ইসলামের স্বর্ণযুগ বলা হয়। সে সময়ে বাগদাদ হয়ে উঠেছিল জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের সূতিকাগার। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন জ্ঞান আহরণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সেখানে ছুটে যেত। আরোও জানুন -
আল-কুরআনকে নিয়ে যুগ যুগ ধরে গবেষণার পর গবেষণা, বইয়ের পর বই রচিত হয়ে এসেছে - তবুও যেন বারবার তার অমৃতরস পান করতেই ইচ্ছে করে। এই আস্বাদনকে আরও মধুরতম করতেই হাত বাড়িয়েছে সন্দীপন প্রকাশন।
ড. ইয়াদ কুনাইবীর রচিত 'কুরআন জীবনের গাইড লাইন' বইটিকে প্রাঞ্জল ভাষাশৈলীর আদলে অনুবাদ করেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল জলিল।
তেত্রিশটি কৌতূহলপূর্ণ, আকর্ষণীয় শিরোনামে সজ্জিত বইটির পাতায় পাতায় ঠিকরে পড়ছে কুরআনের নূর, জ্বলজ্বল করে উঠছে আত্মিক পরিশুদ্ধির প্রতিকার, ভেসে উঠেছে আদমসন্তানের নানাবিধ জাগতিক-আত্মিক সমস্যার রিমেডি। অধ্যয়নের মুহূর্তরা নতুন করে হৃদয়ঙ্
তাতার আমাদের মুসলমানদের জন্য সবসময়ই প্রাসঙ্গিক। বর্তমান সময়ে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক। দোয়া করি এটি আমাদের তরুণদের হাতে হাতে উঠে আসুক। ‘ওয়া ইসলা..মা….হ’ বলে আইনে জালুতের মাঠে কুতযের সেই পাষাণ নিনাদ আমাদের রক্তে কাঁপন ধরাক। মাওলানা আবদুল আলীম অনূদিত এই গ্রন্থ তার বিষয় তথ্যশক্তি টার্গেট এবং ভাষার সৌকর্যে আমাদের বাঙলা সাহিত্যে একটি উত্তম সংযোজন বলে বিবেচিত হবে। ইনশাআল্লাহ
তিউনিসিয়ায় পঞ্চাশ বছর ধরে মাত্র দু জন প্রেসিডেন্ট শাসন করার নামে শোষণ করেছে। জনগণের নিজিস্ব সত্ত্বাকে ধ্বংস করতে, জনগণের ধর্ম, তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন যুদ্ধ চালিয়েছেন।
অবশেষে ২০১১ সালের অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। লেখক তিউনিসিয়ার ইতিহাস বইতে এসব ঘটনার চমকপ্রদ এবং লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।
এতোই করুণ সময় পার করছে জাতিটা যে, মাঝেমধ্যে প্রায় চোখে পানি আসার উপক্রম হয়েছিল।
তারপরও বলতে হবে মুসলমান রা তাদের বিপ্লবের ফসল ঘরে তুলতে পারে নি।
হালাল উপায়ে কীভাবে সম্পদ উপার্জনের দারুণ টিপস
ওউমার সৌল এর 'সম্পদ গড়ার কৌশল' বইটি এককথায় অনবদ্য। ভিন্ন আঙ্গিকে রচিত। সেরা ঊনিশ মুসলিম উদ্যোক্তার সাফল্যগাঁথাই বইটির মূল বিষয়বস্তু। তাঁরা হালাল উপায়ে কীভাবে সম্পদ উপার্জন করেছেন সেইসব দিককে পর্যায়ক্রমে দশটি মূলনীতিতে সাজানো হয়েছে। সম্পদ বৃদ্ধির দারুণ দারুণ টিপস ব্যক্ত করার পাশাপাশি সম্পদ বৃদ্ধির পথে সম্মুখীন হওয়া বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা এবং তা মুকাবিলা করার উপায়ও বর্ণিত আছে। যারা রিজিকের পেরেশানিতে ভুগছেন, হালাল রিজিকে বারাকাহ চান কিংবা একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান - এই
কেন পড়বেন তোমাকেই বলছি বইটি?
সবাই তো আল্লাহর প্রিয় হতে চায়, জান্নাত পেতে চায়। কিন্তু জান্নাত পাওয়ার জন্যে যে পথে চলা দরকার, সে পথ খুঁজে না। সে পথে চলে না।
আসলে জীবনকে নিয়ে আমরা ভাবি না। হেলায়-ফেলায় নিজেদের সময়গুলো নষ্ট করি। আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতকে ভুলে যাই আমরা। গাফিলতিতে ডুবে থাকি। তাই সত্যের পথ আর খোঁজা হয়ে ওঠে না।
কিছু বই আছে, যেগুলো পড়তে গেলে পাঠক একটা ধাক্কা খায়। সেই ধাক্কায় জীবনটা মোড় নেয় সীরাতে মুসতাকীমের পথে। জীবনকে তখন নতুনভাবে আবিষ্কার করা যায়। আল্লাহর রঙে নিজেকে সাজিয়ে নেওয়া যায়। ঠিক তেমনি একটি বই “তোমাকেই বলছি”।
তাকওয়া: মুমিনের সম্বল
তাকওয়া হচ্ছে মুমিনের সম্বল, আখিরাতের সফরের গুরুত্বপূর্ণ পাথেয়। যার মাঝে তাকওয়া নেই, সে ভালো-মন্দের পার্থক্য করতে পারে না। কারণ, তাকওয়ার বদৌলতেই মানুষ ফুরকান (ভালো-মন্দের পার্থক্যকারী গুণ) লাভ করে। তাকওয়া বা আল্লাহভীতিই মানুষকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, আর ভালো কাজে উৎসাহী করে।
তাকওয়া মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্য, পাথেয় লাভের পথ। তাকওয়া মানুষকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করে, জাহান্নামের পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। তাকওয়ার মাধ্যমেই অর্জিত হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি।
আলিমদের প্রতি আল্লাহর ওয়াদা বইটি তাকওয়ার মাহাত্ম নিয়েই। এই বইতে তাকওয়া নিয়ে
খুশুখুযুর সহিত সালাতের মাধ্যমেই একজন মুমিনের সফলতা। সালাতের নিগুঢ় রহস্য, সুগভীর মর্ম, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, রুকুতে নতশির, উদাসীনতার চক্রব্যূহ ভেদ করে সালাতকে কীভাবে প্রাণবন্ত করা যায়, কীভাবে কিরাতে কালামুল্লাহ'র মায়ায় নিজেকে আবিষ্ট করতে হয়, কীভাবে দেহমন একত্রিত করে সিজদায় নিজেকে সঁপে দিতে হয় ইত্যাদি সালাত সম্পর্কিত বিষয় নিয়েই সন্দীপন প্রকাশনীর নতুন উপহার 'মনের মতো সালাত'। 'মনের মতো সালাত' বইটি পাঠকের হৃদয়কে করবে জাগ্রত, মোহাবিষ্ট। অনুপ্রাণিত করবে সেই সালাতের প্রতি যে সালাতে আল্লাহর সঙ্গে নিবিড় আলাপে মেতে ওঠা যায়, মুক্বররবিনদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায়।
বইটি মূলত ❝শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল - মুনাজ্জিদ❞ হাফিজাহুল্লাহ - এর পরিচালিত ওয়েবসাইট islamqa.info এর একটি প্রশ্ন ❝কীভাবে বরকত লাভ করা যায়?❞ তার অনুদিত রূপ; এরপর বইটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে পৌঁছাতে কিছু সংযোজন, বিয়োজন করা হয়েছে।
পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব শেষ নবি মুহাম্মাদে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী আমাদের সকলের জানা উচিত। যদিও মহানবির জীবনী নিয়ে হাজারো বই বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে, তদুপি “সিরাতুর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাঁর পদচারণায় ধন্য পৃথিবী ” বইটি পাঠকের জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করবে। একটি প্রবাদ বাক্য আছে প্রতিটি ফুলের আলাদা আলাদা ঘ্রাণ। তেমনি প্রতিটি সিরাতের বইয়ে আলাদা আলাদা সুবাস(জ্ঞান) রয়েছে।
আপনি যদি পাশ্চাত্য সভ্যতা ও ইসলামি সভ্যতার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সভ্যতার এপিঠ ওপিঠ বইটি আপনার জন্যই। এছাড়াও বইতে পাবেন পাশ্চাত্য সভ্যতা কিভাবে মুসলমানদের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তরান্বিত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আরো জানতে পারবেন ইসলামি সংস্কৃতি সম্পর্কে যা এমন এক সংস্কৃতি যা কোন দেশ, ভাষা কিংবা বর্ণে সীমাবদ্ধ নয়।
আন্দালুস, শব্দটিও হয়তো অনেকের কাছে অচেনা। অথচ যিনি এর ইতিহাস জানেন, এই ছোট্ট শব্দটিই তার হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট। কিভাবে মুসলিম বীর সেনা তারিক বিন যিয়াদ মাত্র ৭ হাজার সৈন্য নিয়ে এক লক্ষের অধিক সদস্য নিয়ে গঠিত জালিম শাসক রডারিকের বাহিনীকে পরাজিত করলেন তা আজও সবাইকে অবাক করে দেয়। লোভের তাড়নাই সে মুসলিম বাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় ইউরোপ দখল করতে গিয়ে।
আন্দালুস ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভয়ারণ্য। দীর্ঘ ৮০০ বছর মুসলিমরা কিভাবে ইনসাফের সাথে এ অঞ্চল শাসন করেছেন তা জানা যাবে এ বইয়ে।বিজয়ী দলের রণকৌশল সম্পর্কে এ বইয়ে ধারণা দেয়া আ
বইটিতে লেখক শুধু ইতিহাস বর্ণনা করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং এ থেকে অর্জিত শিক্ষা তুলে ধরেছেন। সাথে সাথে ইতিহাস সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি বর্গের পরিচিতি নিয়ে আলোচনা রয়েছে। বইটির দ্বিতীয় খন্ডের শেষে মুসলিম, খ্রিষ্টান উভয় শিবিরের ব্যাক্তিবর্গের পরিচয় রয়েছে। এতে পাঠক কোন ব্যাক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে সেখান থেকে দেখে নিতে পারবেন। এছাড়াও পরিশেষে নির্ঘন্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে পাঠক কোন স্থান সম্পর্কে ভুলে গেছে টীকা দেখে নিতে পারবেন।
পুরো ইতিহাস যেহেতু মোট ছয় খন্ডে হবে তাই প্রকাশনীর সম্পাদনা পর্ষদ কর্তৃক বাকি ইতিহাসগুলো পরিশেষে সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে যেন পাঠক অল্প হলেও প
ইসলামি ইতিহাস গ্রন্থটি মিশরের দুই প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও ইসলামি স্কলার কাসিম আবদুল্লাহ ইবরাহিম ও মুম্মাদ আবদুল্লাহ সালিহ-এর তত্ত্বাবধানে মিশরকেন্দ্রিক ফরিকুল বুহুস ওয়াদ দিরাসাতিল ইসলামিয়া (ইসলামি গবেষণা ও অধ্যয়ন পরিষদ) হতে প্রকাশিত ইতিমধ্যে যা চল্লিশবারের অধিক পুনঃমুদ্রিত হয়েছে।
By সাইফুদ্দীন আহমেদ, আল্লামা সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ.)
আর রাহীকুল মাখতূম: একটি অনবদ্য সীরাত-গ্রন্থ। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সীরাত পর্যালোচনায়, সীরাতের ঘটনামালার সুসংহত ও মনোজ্ঞ উপস্থাপনায় বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সত্যিই এক নজিরবিহীন রচনা।
আল কুরআনুল কারীম, হাদীসে নববী ও বিশুদ্ধ আছার এবং ঐতিহাসিক বর্ণনার নির্যাস বের করে প্রাজ্ঞ লেখক তাঁর এ বইটি সুবিন্যস্ত করেছেন।
By মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, আবুল ফিদা হাফিজ ইব্ন কাসীর আদ-দামেশ্কী রহ.
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া মুফাসসির ও ইতিহাসবিদ আবুল ফিদা হাফিজ ইবনে কাসির আদ দামেশ্কী (রহ.) কর্তৃক আরবি ভাষা রচিত একটি ইতিহাস গ্রন্থ। আল্লাহ তায়ালার বিশাল সৃষ্টিজগতের সৃষ্টিতত্ত্ব ও রহস্য, মানব সৃষ্টিতত্ত্ব তথা মানব ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা, নবী-রাসুলদের আগমন ও তাঁদের কর্মব্যস্ত জীবনের ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে এ গ্রন্থে।
কেউ যদি ফিতনা সম্পর্কেই না জানে, তবে সে কীভাবে নিজেকে বাঁচাবে ফিতনা থেকে?
কীভাবে বাঁচাবে পরিবার-পরিজন ও সমাজকে?
আর শেষ যামানার ফিতনাগুলো এতোই ভয়াবহ যে– একজন লোক দিনের প্রারম্ভে মুসলিম থাকবে, কিন্তু দিন শেষে সে পরিণত হবে কাফিরে।আমাদেরকে রাসূলে কারীম ﷺ ১৪শ বছর আগে ফিতনা সম্পর্কে সচেতন করেছেন; আর আমরা এখনো ঘুমিয়ে আছি গাফলতের চাদর মুড়িয়ে। আমরা এখনো স্বপ্ন দেখছি দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে! অথচ ফিতনা আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে।ফিতনা সম্পর্কে রাসূল সা. এর ভবিষ্যতবাণী জানতে ও ফিতনার যুগে করণীয় সম্পর্কে জানতে নুআইম বিন হাম্মাদ রচিত কিতাবুল ফিত
রিয়াদুস সালেহীন (বাংলায় সৎকর্মশীলদের চারণভূমি) হল ইয়াহিয়া নববী রচিত আর কুরআনের আয়াতের সমর্থনে নির্বাচিত হাদিস সংকলন গ্রন্থ। এ সংকলনে ইসলামী নৈতিকতা এবং ইবাদত ও বিনয়ী কাজের কথা বলা হয়েছে, যা মুসলিম পন্ডিতদের দ্বারা স্বীকৃত এবং কুরআন ও মোহাম্মাদ (সাঃ) এর সংগ্রহের অন্তভূক্ত।
‘প্রোডাক্টিভ মুসলিম’ একটি আত্মোন্নয়নমূলক বই। বইটির পাতায় পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে—আত্ম-জাগরণ, আত্মনির্মাণ ও আত্মবিকাশের বিভিন্ন দিক নিয়ে জীবনঘনিষ্ট আলোচনার আসর।
এতে আছে স্রষ্টার দেওয়া অমূল্য উপহার—আমাদের মেধা সময় ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগঠন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন এবং সামাজসেবামূলক কর্মোদ্যোগের মধ্য দিয়ে নিজেকে এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্নদ্রষ্টা এবং একনিষ্ঠ কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তবধর্মী কর্মকৌশল।
লেখক কুরআনের রত্নভান্ডার, নবিজির সুন্নাহর মুক্তো-প্রবাল থেকে শুরু করে DR JOHN RATEY, GRAHAM ALLCOTT সহ আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান এবং ব্যবসায়িক কর্মকৌশলের অসাধারণ সব তথ
উসওয়াতুল লিল আলামিন গ্রন্থটিতে রয়েছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিচয়, সমগ্র মানবজাতির হেদায়েতের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের মূল্যায়ন এবং বিশ্ববাসীর প্রতি তাঁর নির্দেশনা ও দীপ্তি প্রসারের অভিপ্রায়। পৃথিবীতে আগত শ্রেষ্ঠ মানব রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যঙ্গবিদ্রুপে নিমজ্জিত পাশ্চাত্য জাতির মুক্তির অভিপ্রায়ে, মিশরের ‘আল মারকাজুল ইসলামি আল-আম লিদুআতিত-তাওহিদ ওয়াসসুন্নাহ’-এর অধীনে আন্তর্জাতিক এক (সিরাত) প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিচয়দান-বিষয়ক সেই প্রতিযোগিতার শিরোনাম দেও
দীর্ঘ দুই শতাব্দী ধরে চলা তীব্র রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এ সম্পর্কে কমবেশি সকলেই জানা থাকার কথা ক্রুসেড আর হযরত সালাউদ্দিন আইয়ুবী (র:) একে অপরের পরিপূরক। মুসলমানদের দুনিয়া কাঁপানো এই বিজয় আমরা আজোও গর্বভরে স্মরন করি।
নুয়ে পড়া আত্মবিশ্বাসের একটি উম্মাহকে এখনো আশার আলো জাগিয়ে রেখেছে এই মহান বিজয়। ভবিষ্যতে আমরা আবার সেই সোনালী দিন পাব এই প্রত্যাশা আজও আমরা করি।
এই মোবারক জিহাদ আমাদের শেখায় আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল আর শত্রুর বিরুদ্ধে হার না মানার মানসিকতা।
ডা. রাগেব সারজানী ছোট এ বইয়ের অল্প কয়েকটি পৃষ্ঠায় চলমান সমাজকে কেটে ছিঁড়ে বর্তমান যুব সমাজের একটি ভয়াবহ বাস্তবতাকে তাদের সামনে তুলে ধরেছেন। ইতিহাসের সোনালী যুবকদের গল্প শুনিয়েছেন আর তুমুল আঘাতে তাদেরকে লজ্জিত করেছেন। অনুশোচনা বোধ জাগ্রত করেছেন। গভীর পর্যবেক্ষক দৃষ্টিতে বের করেছেন অধগামিতার কারণগুলো। এরপর তিনি তাঁর উজ্জল তর্জনীর লক্ষভেদী ইশারায় এমন কিছু দিক দেখিয়েছেন যেগুলো আপনাকে পরিবর্তন করে দিবেনা; তবে বলে দিবে আপনার কেন পরিবর্তন হওয়া দরকার এবং কীভাবে।
মানুষের পৃথিবীতে আসার একটি ক্রমধারা আছে কিন্তু যাওয়ার কোন সিরিয়াল নেই । কে কখন পরপারে চলে যাবে এক আল্লাহ ছাড়া কেউ তা জানে না । আমরা রমজানে রোজা রাখি নিজেকে পরিবর্তনের চেষ্টা করি কিন্তু ভবিষ্যতে রমজান পাব কিনা তার কোন গ্যারান্টি নাই। তাই যে রমজানকে আমার সামনে উপস্থিত পাবো তাকে সর্বতোভাবে গ্রহণ করে রমজানের হক আদায় করাই হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
রমজান আসে, রমজান আবার চলেও যায়… কিন্তু আমরা কি রমজান পালনের মধ্যে থেকে নিজেদেরকে সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন করতে পারছি ? নিজের জীবনের ইসলামিক অনুশাসন কতটুকু জারী করতে পেরেছি আসলে? সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ব্যাপার তো অনেক দূরের কথা । রমজানের শিক্ষাগুলো জীবনের সঠিক তরীকায় বাস্তবায়ন করতে না পারলে ওপারে মুক্তি মিলবে না এটা নিশ্চিত ।
আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র আসমানী কিতাব হলো আল-কোরআন। বর্তমান জমানায় এ ছাড়া অন্য সব কিছুই বাতিল বলে গণ্য। কিন্তু বিধর্মীরা তাদের মনগড়া মতবাদ প্রচারে সবসময়ই সচেষ্ট। তারা বিভিন্নভাবে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তার জন্য তারা এখন টার্গেট করেছে আমাদের আসমানী গ্রন্থ আল-কোরআন কে। এখন সময় এসছে তাদের এই নীলনকশা চুরমার করে দেয়ার। মেধার এই বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে আমরা পিছিয়ে পড়লে সমগ্র উম্মাহ মহাবিপদে পড়ে যাবে। অতএব, সময় থাকতে সাবধান হতেই হবে।
মুসলমানদের মন শরীর সব যেন নির্বিষ হয়ে গেছে…।
কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা তো বহু দূরের কথা, সামান্য প্রতিবাদ করার সামর্থ্য টুকু যেন অবশিষ্ট নেই। এক ঘোর অমানিশার অন্ধকারের ভিতর দিয়ে পার হচ্ছি আমরা। কাফের মুশরিকরা সবাই এক জোট হয়ে খাবলে খাচ্ছে মুসলমানদের অস্থি মজ্জা।
এমন পরিস্থিতিতে একটি অস্ত্র সাফল্যজনকভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা সম্ভব। তা হচ্ছে অর্থনৈতিক সক্ষমতা। এর মাধ্যমে আমরা করতে পারি তাদের বয়কট করতে, পারি এক আছাড়ে ছুঁড়ে ফেলতে ।
জেগে উঠতে হবে আরেকবার । তাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে বয়কটের মাধ্যমে আমাদেরকে ঘুরে দাড়াতে হবে।
আসুন বইটি পড়ি, নত
নামায নিয়ে যে আমরা আসলে কতটা সিরিয়াস তা বোঝা যায় ফজরের জামাতে মুসুল্লীর সংখ্যা দেখলে।
দিনের শুরুটা যদি হয় নামায কাযার মাধ্যমে তাহলে বাকী দিনেটি ইভাবে যাবে তা সহজে অনুমেয়। ফজর নামায নিয়ে আমাদের অজুহাতের কোন শেষ নেই। এই সমস্যা, অই সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি…। 'ফজর আর করব না কাজা' বইটি সেই চিন্তা থেকেই লেখা। এখানে অনেকগুলো ভালো দিকনির্দেশনা দেয়া আছে যেন ফজরের নামায মিস না হয়। এখন শুধু কাজ করার পালা। চলুন সময় থাকতে নামাযের ব্যাপারে যত্নবান হই।
আচ্ছা আমরা হজ্ব করতে কেন যাই? উত্তর -খুব সহজ- যিনি গিয়েছেন তাকে জিজ্ঞাসা করুন, জানতে পারবেন হজ্ব এর সাথে কেমন আবেগ জড়িয়ে থাকে । এটি শরিয়তের অন্যতম হুকুম-আহকাম তবে সামর্থ্যবানদের জন্য বিশেষভাবে বরাদ্দ। হজ্ব এর অনেকগুলো বাতিনী ফায়দা আছে যে সাদা চোখে আমরা বুঝিনা। হজ্ব করতে যাওয়া মানে আল্লাহর ঘরে যাওয়া যেখানে গেলে কেউ খালি হাতে ফেরেনা কিন্তু শর্ত হলো খাস দিলে তওবা করতে হবে। 'হজ—যে শিক্ষা সবার জন্য' বইটি পড়লে হজ্ব এর ব্যাপারে অনেক অজানা তথ্য জানা সহজতর হবে।
বিজ্ঞান কখনোই কোরআনের সমকক্ষ হতে পারে না। বিজ্ঞান কখনোই পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে না। বিজ্ঞানের একটি সীমারেখা আছে কিন্তু আল্লাহ্পাকের জ্ঞানের কোন সীমা নেই । এই বিশ্বাসকে আমরা যদি ধারণ করি তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। অন্যদিকে, যারা অপবিজ্ঞানের খপ্পরে পড়েছেন তাদের জন্য অপেক্ষা করছে মর্মান্তিক শাস্তি। দুর্মুখেরা বলে ধর্ম বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক। কিন্তু আমাদের ধর্ম অর্থাৎ ইসলাম বিজ্ঞান থেকে কয়েক কোটি আলোকবর্ষ অগ্রগামী। বইটি পড়লেই জানতে পারবেন কিনা ইসলাম সবকিছু থেকে শ্রেষ্ঠ…।
By আল্লামা হাফিয ইবনুল কায়্যিম আল জাওযী
বর্তমান বিশ্বে চিকিৎসা ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে ইহুদিদের হাতের পুতুল. তাদের ইচ্ছার দাস হয়ে গেছে সমগ্র মানবজাতি . প্রাকৃতিক এবং অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিকে ঝেটিয়ে বিদায় করে তার বদলে জায়গা করে নিয়েছে এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা যেখানে ডাক্তার , ওষুধ, ডায়গোনোসিস ইত্যাদি অন্যান্য পরিপূরক বিষয়গুলো একে অপরের সাথে মনোপলি মার্কেট তৈরি করে ফেলেছে। আর এই দুষ্টচক্রের লোভের বলী হচ্ছেন ভুক্তভোগী হচ্ছে বেচারা রোগীরা। আমাদের যদি প্রিয়নবী রাসুল (সাঃ) রোগ প্রতিরোধ এবং প্রতিকার এর জন্য যেসব পথ বাতলে দিয়েছেন তা যদি আমার ঠিকমত অনুসরণ করতাম আমরা অনেক অনেক রোগ থেকে বেঁচে যেতাম। বেঁচ
করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে মাতামাতির বুঝি শেষ নেই-
আচ্ছা বলুনতো করোনা ভ্যাকসিন কি হালাল নাকি হারাম অথবা শরীয়তের দৃষ্টিতে কি জায়েজ কিনা? বস্তুত এই ধরনের জরুরী মাসআলা নিয়ে আমাদের কোনো ধারণা আসলে খুব একটা নেই, থাকার কথাও না ।
তাছাড়া এই ভ্যাকসিনের বিভিন্ন মেডিকেল দিকসমূহ আমরা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নই। সঙ্গত কারণেই এই দুই এর মধ্যে সমন্বয় হওয়া প্রয়োজন ।
সে লক্ষ্যেই গবেষণাধর্মী লেখাটি বই আকারে প্রস্তুত করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হল। আশা করি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের তা কাজে আসবে ইনশা আল্লাহ।
আমরা আমাদের পেয়ারা নবী হুজুরে আকরাম (সাঃ) কে আসলে কতটা চিনি? তাকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি বটে কিন্তু উনার জীবনচরিত সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল? প্রিয় নবীজির জীবন যেন আল্লাহর নাযিলকৃত আল-কোরানের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। হুজুরের জীবন কাহিনী বিশ্লেষণ করলে সব যুক্তি বুদ্ধি যেন থমকে দাঁড়ায়। নবীজিকে জানা তাই মানার পূর্বশর্ত ।
মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ তার ঈমান। আমরা মুসলিমরা তাই বিশ্বাস করি। আর অভিশপ্ত শয়তান মানুযের ঈমান হরনের জন্য হেন চেষ্টা নাই যে করে না। সে সর্বাধিক চেষ্টা করে বুদ্ধিবৃত্তিক ফেতনা সৃষ্টি করে মানুষকে বিপথগামী করার। তাই ঈমান বাঁচাতে আমাদের ইসলামের মূল বিষয় আকাইদ সম্পর্কে সুগভীর ধারনা রাখতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পড়াশোনা এবং নিরন্তর আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে সাহায্য প্রার্থনা করা।
By মাওলানা আব্দুল্লাহ মাসুম, প্রফেসর ড. এম. কবীর হাসান
সুদ নির্ভর দুনিয়াতে শান্তির আশা করা বাতুলতা মাত্র। আল্লাহ আমাদের বলেছেন যে সুদ খায় সে যেন আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে নেয়। অথচ, আশ্চর্য আমরা সুদ কে হালাল বানিয়ে নিয়েছি। সুদ ভিত্তিক অর্থনীতির এক বিরাট কুফল হচ্ছে খেলাপী ঋণ। এর ফলে সীমিত আয়ের মানুষ দিন দিন গরিব হয়ে পড়ছে অন্যদিকে এক শ্রেনীর শোষক আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাচ্ছে। অধঃপতনের এই গাড়ি কে রুখার প্রচেষ্টা থেকেই এই বইটি রচনা।
মনে রাখতে হবে ঈমান ছাড়া আমল অর্থহীন। আবার আমল বিহীন ঈমানের কোনো দাম আল্লাহর কাছে নেই। আমরা নিজেরা কোন ধর্মীয় মজলিসে অনেক বড় বড় গালভরা কথা বলি। কিন্তু নিজেরা শরীয়তের কতটুকু ধারনা রাখি। ব্যক্তিগতভাবে কিছু আহকাম পালন করা বাদে ইসলাম আমাদের জীবনে কোথায়? এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? আমরা কি আমাদের প্রচেষ্টাকে শুধুমাত্র খালি আলাপ আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবো নাকি বিশ্বময় ছড়িয়ে দেব? জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।
যখন কোন সমাজ থেকে ইসলামের নূর নিভে যেতে থাকে তখন সেখানে অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনা এসে জায়গা দখল করে নেয়। আমাদের সমাজকে কালরোগে পেয়ে বসেছে । আমরা ভালো-মন্দের বোধ হারিয়ে ফেলছি। নীতি-নৈতিকতা ছুঁয়ে ফেলে দিয়েছি অনেক আগেই। ফলশ্রুতিতে সমাজে বেড়ে যাচ্ছে খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ । পারিবারিক মূল্যবোধ গুলো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। পরিত্রাণের উপায়? একমাত্র ইসলামই দিতে পারে শান্তির সুবাতাস। তাই সর্বাবস্থায় ইসলামকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। বাঁচার আর যে কোনো পথ খোলা নেই।
কিছু মানুষ অভাবের তাড়নায় সুখ খুঁজে বেড়ায় আর কিছু মানুষ অনেক পেয়েও অসুখী। প্রকৃতপক্ষে সুখী কে? বইটিতে লেখক চেষ্টা করেছেন ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি ঘটনা উপস্থাপনের মাধ্যমে আমাদের সমাজের একটি বাস্তব চিত্র তুলে আনতে। তিনি আমাদের সমাজের মানুষের মনোজগতের অভ্যন্তরের পরিবেশ কে বিশ্লেষণ করেছেন এবং তা উপস্থাপন করেছেন পাঠকের সামনে। প্রশ্ন রেখেছেন আসলে সুখ কি, কিভাবে সুখী হওয়া যায়?
আপনি কি আল্লাহ কে পেতে চান? তাহলে দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করুন। দুনিয়া আর আল্লাহ এই দুইটি একসাথে চলতে পারেনা। আমাদের পূর্বপুরুষ যারা আল্লাহ ওয়ালা ছিলেন তাদের জীবন পর্যালোচনা করুন- উত্তর পেয়ে যাবেন। তাদের জীবন ও কর্ম হওয়া উচিত আমাদের জন্য আদর্শ। সেসব মহামানবদের নিয়েই এই রচনা। নিজের জীবনের সাথে একটু মিলিয়ে দেখি, কোথায় আছি আমরা ।
ইসলাম কি শুধুই কিছু হুকুম আহকাম পালনের নাম ? ইসলাম কি শুধু ব্যাক্তিগত কিছু ধর্মীয় চর্চার নাম? না বরঞ্চ তা নয়, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান । জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলাম কায়েম করতে না পারলে যে অংশে ইসলাম কায়েম হবে না সে অংশ ধ্বংস অনিবার্য। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কিভাবে চলতে হবে ইসলামে তার সবই বর্ণনা করা আছে । এখন শুধু অপেক্ষা পালন করার।
রাসূলের সা. এ কোমলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত বিভিন্ন প্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রসঙ্গে তার অন্তর বিগলিত করা কান্নার মাধ্যমে। আলােচ্য ‘রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কান্না’ বইটিতে সেসব ঘটনাই চমৎকারভাবে সংকলন করেছেন ড. আবদুল মান্নান ও ড. রাশীদাহ। এতে লেখকদ্বয় আল্লাহর রাসূল সা. এর বিভিন্ন প্রসঙ্গে কান্নার ঘটনা উল্লেখ করে মুমিন জীবনে কান্নার প্রয়ােজনীয়তা তুলে ধরেছেন। এ ছাড়া কান্না বিষয়ে প্রাসঙ্গিক অনেক তত্ত্ব ও তথ্যের সমাহার ঘটিয়ে বইটিকে আরাে সমৃদ্ধ করেছেন।
জ্ঞান নুর স্বরূপ। জ্ঞানই প্রকৃত শক্তি। যিনি জ্ঞান আহরনের মাধ্যমে আল্লাহকে চিনতে পারেন তিনিই প্রকৃত জ্ঞানী । আমরা কি পেরেছি সৃষ্টিকর্তাকে চিনতে নাকি আমাদের জ্ঞান দুনিয়া কামাই করার জন্য? যে জ্ঞান মানুষকে আল্লাহমুখী করে না তা শয়তানের প্ররোচনায় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তাই সবাইকে সতর্ক হতে হবে। সঠিক জ্ঞান অর্জনে আমাদের সর্বদা প্রচেষ্টা করতে হবে।
ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য এটি একটি অনবদ্য উপহার । যারা ইসলাম নিয়ে ভাবেন, ইসলাম পড়তে ভালোবাসেন এবং ইসলামের ইতিহাস নিয়ে যাদের দুর্বলতা আছে তাদের ভাবনার জগতে এটি অনেক বেশি নাড়া দেবে। কারণ এখানে লেখক তুরস্কে গিয়েছিলেন যে একসময় উসমানীয় সালতানাতের রাজধানী ছিল। লেখক বিভিন্ন ঘটনার সাথে তার এই ভ্রমণকে একাত্ম করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। নিঃসন্দেহে পাঠক অনেক কিছু জানার পাশাপাশি নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যাবে।
ইসলামী অনুশাসন এবং মূল্যবোধই সাফল্যের চাবিকাঠি। ইসলাম ছাড়া সমাজ একটি ভাগাড় মাত্র যেখানে শয়তান এসে বাসা বাঁধে। সমাজের ভিতরে বিভিন্ন নৈতিক অবক্ষয় ছড়িয়ে পড়ে। সমাজ হয়ে পড়ে কলুষিত এবং বিপদসংকুল একটি পরিবেশ। তাই ইসলামকেই সর্বাগ্রে রাখতে হবে এবং ইসলামের নিয়ম-নীতি মেনে জীবনকে গড়ে তুলতে হবে। নসিহত এবং দাওয়াহ এর কাজ চলতে হবে পুরোদমে।
পাপিষ্ঠ খ্রিস্টানদের কাছে এবং মুশরিক জনগোষ্ঠীর কাছে সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি ছিলেন এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম । বাতিলের বিরুদ্ধে কঠোর হস্ত ছিলেন এই বিশ্ব কাঁপানো সুলতান। ন্যায়ের পক্ষে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য উনি যে উদাহরণ রেখে গেছেন তা বিশ্ববাসী কখনোই ভুলতে পারবে না। আমরা ওনার উত্তরসূরি হিসেবে কতটুকু যোগ্য ? আমরা কি পেরেছি উনার আদর্শকে আমাদের মধ্যে ধারণ করতে ? আমরা কি পেরেছি হারানো বাইতুল মাকদিস পুনরুদ্ধার করতে? আজ আমাদের মধ্যে আরেকটি সালাউদ্দিন আইয়ুবীর বড্ড প্রয়োজন।
এক সমাজ, এক দেশ, এক জাতি কিন্তু শতধা বিভক্ত। হাজারো অসার তত্ত্বকথায় পথহারা। কিন্ত পথ প্রদর্শনের জন্য নেই পর্যাপ্ত আলোর মশাল্ধারী শিক্ষক। আর বই পত্রের কথা আর কিইবা বলার আছে? মওদুদী চিন্তাধারা এক সূক্ষ্ম বুদ্ধিবৃত্তিক ফেতনা যার সংস্পর্শে এসে যুব সমাজ গোলকধাঁধার ভিতরে পড়ে গেছে। কোনটা সহী ইসলাম আরে কোনটি বাতিল তা নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে। পরিত্রানের উপায়? এই প্রশ্নের উত্তর এই কিতাব।
প্রিয় নবীজি হুযুর (সাঃ) বলেছেন, “আমার উম্মতেরা একটি দেহের মতো, দেহের কোন এক জায়গায় আহত হলে সারা দেহে ব্যথা অনুভুত হয়”- অর্থাৎ নবীজি এখানে উম্মতের সংহতির বিষয়ে জোর তাকিদ দিয়েছেন। মুলত, উম্মাহের ভিতরে এই বোঝাপড়া থাকলে উম্মতকে কখনোই বিভক্ত করা যাবে না। আর একে অপরের সহযোগিতা করলে, অভাবে পাশে এসে দাঁড়ালে বন্ধন দৃঢ় হয়ে যা সমাজের স্থিতাবস্থা বজায় রাখে। আর সুখ শান্তির পূর্বশর্ত হচ্ছে সমাজের ভালোবাসার বন্ধন।