আল-কুরআনকে নিয়ে যুগ যুগ ধরে গবেষণার পর গবেষণা, বইয়ের পর বই রচিত হয়ে এসেছে - তবুও যেন বারবার তার অমৃতরস পান করতেই ইচ্ছে করে। এই আস্বাদনকে আরও মধুরতম করতেই হাত বাড়িয়েছে সন্দীপন প্রকাশন।
ড. ইয়াদ কুনাইবীর রচিত 'কুরআন জীবনের গাইড লাইন' বইটিকে প্রাঞ্জল ভাষাশৈলীর আদলে অনুবাদ করেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল জলিল।
তেত্রিশটি কৌতূহলপূর্ণ, আকর্ষণীয় শিরোনামে সজ্জিত বইটির পাতায় পাতায় ঠিকরে পড়ছে কুরআনের নূর, জ্বলজ্বল করে উঠছে আত্মিক পরিশুদ্ধির প্রতিকার, ভেসে উঠেছে আদমসন্তানের নানাবিধ জাগতিক-আত্মিক সমস্যার রিমেডি। অধ্যয়নের মুহূর্তরা নতুন করে হৃদয়ঙ্
হালাল উপায়ে কীভাবে সম্পদ উপার্জনের দারুণ টিপস
ওউমার সৌল এর 'সম্পদ গড়ার কৌশল' বইটি এককথায় অনবদ্য। ভিন্ন আঙ্গিকে রচিত। সেরা ঊনিশ মুসলিম উদ্যোক্তার সাফল্যগাঁথাই বইটির মূল বিষয়বস্তু। তাঁরা হালাল উপায়ে কীভাবে সম্পদ উপার্জন করেছেন সেইসব দিককে পর্যায়ক্রমে দশটি মূলনীতিতে সাজানো হয়েছে। সম্পদ বৃদ্ধির দারুণ দারুণ টিপস ব্যক্ত করার পাশাপাশি সম্পদ বৃদ্ধির পথে সম্মুখীন হওয়া বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা এবং তা মুকাবিলা করার উপায়ও বর্ণিত আছে। যারা রিজিকের পেরেশানিতে ভুগছেন, হালাল রিজিকে বারাকাহ চান কিংবা একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান - এই
কেন পড়বেন তোমাকেই বলছি বইটি?
সবাই তো আল্লাহর প্রিয় হতে চায়, জান্নাত পেতে চায়। কিন্তু জান্নাত পাওয়ার জন্যে যে পথে চলা দরকার, সে পথ খুঁজে না। সে পথে চলে না।
আসলে জীবনকে নিয়ে আমরা ভাবি না। হেলায়-ফেলায় নিজেদের সময়গুলো নষ্ট করি। আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতকে ভুলে যাই আমরা। গাফিলতিতে ডুবে থাকি। তাই সত্যের পথ আর খোঁজা হয়ে ওঠে না।
কিছু বই আছে, যেগুলো পড়তে গেলে পাঠক একটা ধাক্কা খায়। সেই ধাক্কায় জীবনটা মোড় নেয় সীরাতে মুসতাকীমের পথে। জীবনকে তখন নতুনভাবে আবিষ্কার করা যায়। আল্লাহর রঙে নিজেকে সাজিয়ে নেওয়া যায়। ঠিক তেমনি একটি বই “তোমাকেই বলছি”।
তাকওয়া: মুমিনের সম্বল
তাকওয়া হচ্ছে মুমিনের সম্বল, আখিরাতের সফরের গুরুত্বপূর্ণ পাথেয়। যার মাঝে তাকওয়া নেই, সে ভালো-মন্দের পার্থক্য করতে পারে না। কারণ, তাকওয়ার বদৌলতেই মানুষ ফুরকান (ভালো-মন্দের পার্থক্যকারী গুণ) লাভ করে। তাকওয়া বা আল্লাহভীতিই মানুষকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, আর ভালো কাজে উৎসাহী করে।
তাকওয়া মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্য, পাথেয় লাভের পথ। তাকওয়া মানুষকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করে, জাহান্নামের পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। তাকওয়ার মাধ্যমেই অর্জিত হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি।
আলিমদের প্রতি আল্লাহর ওয়াদা বইটি তাকওয়ার মাহাত্ম নিয়েই। এই বইতে তাকওয়া নিয়ে
খুশুখুযুর সহিত সালাতের মাধ্যমেই একজন মুমিনের সফলতা। সালাতের নিগুঢ় রহস্য, সুগভীর মর্ম, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, রুকুতে নতশির, উদাসীনতার চক্রব্যূহ ভেদ করে সালাতকে কীভাবে প্রাণবন্ত করা যায়, কীভাবে কিরাতে কালামুল্লাহ'র মায়ায় নিজেকে আবিষ্ট করতে হয়, কীভাবে দেহমন একত্রিত করে সিজদায় নিজেকে সঁপে দিতে হয় ইত্যাদি সালাত সম্পর্কিত বিষয় নিয়েই সন্দীপন প্রকাশনীর নতুন উপহার 'মনের মতো সালাত'। 'মনের মতো সালাত' বইটি পাঠকের হৃদয়কে করবে জাগ্রত, মোহাবিষ্ট। অনুপ্রাণিত করবে সেই সালাতের প্রতি যে সালাতে আল্লাহর সঙ্গে নিবিড় আলাপে মেতে ওঠা যায়, মুক্বররবিনদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায়।
কেউ যদি ফিতনা সম্পর্কেই না জানে, তবে সে কীভাবে নিজেকে বাঁচাবে ফিতনা থেকে?
কীভাবে বাঁচাবে পরিবার-পরিজন ও সমাজকে?
আর শেষ যামানার ফিতনাগুলো এতোই ভয়াবহ যে– একজন লোক দিনের প্রারম্ভে মুসলিম থাকবে, কিন্তু দিন শেষে সে পরিণত হবে কাফিরে।আমাদেরকে রাসূলে কারীম ﷺ ১৪শ বছর আগে ফিতনা সম্পর্কে সচেতন করেছেন; আর আমরা এখনো ঘুমিয়ে আছি গাফলতের চাদর মুড়িয়ে। আমরা এখনো স্বপ্ন দেখছি দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে! অথচ ফিতনা আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে।ফিতনা সম্পর্কে রাসূল সা. এর ভবিষ্যতবাণী জানতে ও ফিতনার যুগে করণীয় সম্পর্কে জানতে নুআইম বিন হাম্মাদ রচিত কিতাবুল ফিত
‘প্রোডাক্টিভ মুসলিম’ একটি আত্মোন্নয়নমূলক বই। বইটির পাতায় পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে—আত্ম-জাগরণ, আত্মনির্মাণ ও আত্মবিকাশের বিভিন্ন দিক নিয়ে জীবনঘনিষ্ট আলোচনার আসর।
এতে আছে স্রষ্টার দেওয়া অমূল্য উপহার—আমাদের মেধা সময় ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগঠন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন এবং সামাজসেবামূলক কর্মোদ্যোগের মধ্য দিয়ে নিজেকে এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্নদ্রষ্টা এবং একনিষ্ঠ কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তবধর্মী কর্মকৌশল।
লেখক কুরআনের রত্নভান্ডার, নবিজির সুন্নাহর মুক্তো-প্রবাল থেকে শুরু করে DR JOHN RATEY, GRAHAM ALLCOTT সহ আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান এবং ব্যবসায়িক কর্মকৌশলের অসাধারণ সব তথ
ডা. রাগেব সারজানী ছোট এ বইয়ের অল্প কয়েকটি পৃষ্ঠায় চলমান সমাজকে কেটে ছিঁড়ে বর্তমান যুব সমাজের একটি ভয়াবহ বাস্তবতাকে তাদের সামনে তুলে ধরেছেন। ইতিহাসের সোনালী যুবকদের গল্প শুনিয়েছেন আর তুমুল আঘাতে তাদেরকে লজ্জিত করেছেন। অনুশোচনা বোধ জাগ্রত করেছেন। গভীর পর্যবেক্ষক দৃষ্টিতে বের করেছেন অধগামিতার কারণগুলো। এরপর তিনি তাঁর উজ্জল তর্জনীর লক্ষভেদী ইশারায় এমন কিছু দিক দেখিয়েছেন যেগুলো আপনাকে পরিবর্তন করে দিবেনা; তবে বলে দিবে আপনার কেন পরিবর্তন হওয়া দরকার এবং কীভাবে।
মানুষের পৃথিবীতে আসার একটি ক্রমধারা আছে কিন্তু যাওয়ার কোন সিরিয়াল নেই । কে কখন পরপারে চলে যাবে এক আল্লাহ ছাড়া কেউ তা জানে না । আমরা রমজানে রোজা রাখি নিজেকে পরিবর্তনের চেষ্টা করি কিন্তু ভবিষ্যতে রমজান পাব কিনা তার কোন গ্যারান্টি নাই। তাই যে রমজানকে আমার সামনে উপস্থিত পাবো তাকে সর্বতোভাবে গ্রহণ করে রমজানের হক আদায় করাই হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
রমজান আসে, রমজান আবার চলেও যায়… কিন্তু আমরা কি রমজান পালনের মধ্যে থেকে নিজেদেরকে সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন করতে পারছি ? নিজের জীবনের ইসলামিক অনুশাসন কতটুকু জারী করতে পেরেছি আসলে? সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ব্যাপার তো অনেক দূরের কথা । রমজানের শিক্ষাগুলো জীবনের সঠিক তরীকায় বাস্তবায়ন করতে না পারলে ওপারে মুক্তি মিলবে না এটা নিশ্চিত ।
আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র আসমানী কিতাব হলো আল-কোরআন। বর্তমান জমানায় এ ছাড়া অন্য সব কিছুই বাতিল বলে গণ্য। কিন্তু বিধর্মীরা তাদের মনগড়া মতবাদ প্রচারে সবসময়ই সচেষ্ট। তারা বিভিন্নভাবে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তার জন্য তারা এখন টার্গেট করেছে আমাদের আসমানী গ্রন্থ আল-কোরআন কে। এখন সময় এসছে তাদের এই নীলনকশা চুরমার করে দেয়ার। মেধার এই বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে আমরা পিছিয়ে পড়লে সমগ্র উম্মাহ মহাবিপদে পড়ে যাবে। অতএব, সময় থাকতে সাবধান হতেই হবে।
মুসলমানদের মন শরীর সব যেন নির্বিষ হয়ে গেছে…।
কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা তো বহু দূরের কথা, সামান্য প্রতিবাদ করার সামর্থ্য টুকু যেন অবশিষ্ট নেই। এক ঘোর অমানিশার অন্ধকারের ভিতর দিয়ে পার হচ্ছি আমরা। কাফের মুশরিকরা সবাই এক জোট হয়ে খাবলে খাচ্ছে মুসলমানদের অস্থি মজ্জা।
এমন পরিস্থিতিতে একটি অস্ত্র সাফল্যজনকভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা সম্ভব। তা হচ্ছে অর্থনৈতিক সক্ষমতা। এর মাধ্যমে আমরা করতে পারি তাদের বয়কট করতে, পারি এক আছাড়ে ছুঁড়ে ফেলতে ।
জেগে উঠতে হবে আরেকবার । তাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে বয়কটের মাধ্যমে আমাদেরকে ঘুরে দাড়াতে হবে।
আসুন বইটি পড়ি, নত
নামায নিয়ে যে আমরা আসলে কতটা সিরিয়াস তা বোঝা যায় ফজরের জামাতে মুসুল্লীর সংখ্যা দেখলে।
দিনের শুরুটা যদি হয় নামায কাযার মাধ্যমে তাহলে বাকী দিনেটি ইভাবে যাবে তা সহজে অনুমেয়। ফজর নামায নিয়ে আমাদের অজুহাতের কোন শেষ নেই। এই সমস্যা, অই সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি…। 'ফজর আর করব না কাজা' বইটি সেই চিন্তা থেকেই লেখা। এখানে অনেকগুলো ভালো দিকনির্দেশনা দেয়া আছে যেন ফজরের নামায মিস না হয়। এখন শুধু কাজ করার পালা। চলুন সময় থাকতে নামাযের ব্যাপারে যত্নবান হই।
আচ্ছা আমরা হজ্ব করতে কেন যাই? উত্তর -খুব সহজ- যিনি গিয়েছেন তাকে জিজ্ঞাসা করুন, জানতে পারবেন হজ্ব এর সাথে কেমন আবেগ জড়িয়ে থাকে । এটি শরিয়তের অন্যতম হুকুম-আহকাম তবে সামর্থ্যবানদের জন্য বিশেষভাবে বরাদ্দ। হজ্ব এর অনেকগুলো বাতিনী ফায়দা আছে যে সাদা চোখে আমরা বুঝিনা। হজ্ব করতে যাওয়া মানে আল্লাহর ঘরে যাওয়া যেখানে গেলে কেউ খালি হাতে ফেরেনা কিন্তু শর্ত হলো খাস দিলে তওবা করতে হবে। 'হজ—যে শিক্ষা সবার জন্য' বইটি পড়লে হজ্ব এর ব্যাপারে অনেক অজানা তথ্য জানা সহজতর হবে।
বিজ্ঞান কখনোই কোরআনের সমকক্ষ হতে পারে না। বিজ্ঞান কখনোই পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে না। বিজ্ঞানের একটি সীমারেখা আছে কিন্তু আল্লাহ্পাকের জ্ঞানের কোন সীমা নেই । এই বিশ্বাসকে আমরা যদি ধারণ করি তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। অন্যদিকে, যারা অপবিজ্ঞানের খপ্পরে পড়েছেন তাদের জন্য অপেক্ষা করছে মর্মান্তিক শাস্তি। দুর্মুখেরা বলে ধর্ম বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক। কিন্তু আমাদের ধর্ম অর্থাৎ ইসলাম বিজ্ঞান থেকে কয়েক কোটি আলোকবর্ষ অগ্রগামী। বইটি পড়লেই জানতে পারবেন কিনা ইসলাম সবকিছু থেকে শ্রেষ্ঠ…।
By আল্লামা হাফিয ইবনুল কায়্যিম আল জাওযী
বর্তমান বিশ্বে চিকিৎসা ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে ইহুদিদের হাতের পুতুল. তাদের ইচ্ছার দাস হয়ে গেছে সমগ্র মানবজাতি . প্রাকৃতিক এবং অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিকে ঝেটিয়ে বিদায় করে তার বদলে জায়গা করে নিয়েছে এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা যেখানে ডাক্তার , ওষুধ, ডায়গোনোসিস ইত্যাদি অন্যান্য পরিপূরক বিষয়গুলো একে অপরের সাথে মনোপলি মার্কেট তৈরি করে ফেলেছে। আর এই দুষ্টচক্রের লোভের বলী হচ্ছেন ভুক্তভোগী হচ্ছে বেচারা রোগীরা। আমাদের যদি প্রিয়নবী রাসুল (সাঃ) রোগ প্রতিরোধ এবং প্রতিকার এর জন্য যেসব পথ বাতলে দিয়েছেন তা যদি আমার ঠিকমত অনুসরণ করতাম আমরা অনেক অনেক রোগ থেকে বেঁচে যেতাম। বেঁচ
করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে মাতামাতির বুঝি শেষ নেই-
আচ্ছা বলুনতো করোনা ভ্যাকসিন কি হালাল নাকি হারাম অথবা শরীয়তের দৃষ্টিতে কি জায়েজ কিনা? বস্তুত এই ধরনের জরুরী মাসআলা নিয়ে আমাদের কোনো ধারণা আসলে খুব একটা নেই, থাকার কথাও না ।
তাছাড়া এই ভ্যাকসিনের বিভিন্ন মেডিকেল দিকসমূহ আমরা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নই। সঙ্গত কারণেই এই দুই এর মধ্যে সমন্বয় হওয়া প্রয়োজন ।
সে লক্ষ্যেই গবেষণাধর্মী লেখাটি বই আকারে প্রস্তুত করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হল। আশা করি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের তা কাজে আসবে ইনশা আল্লাহ।
মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ তার ঈমান। আমরা মুসলিমরা তাই বিশ্বাস করি। আর অভিশপ্ত শয়তান মানুযের ঈমান হরনের জন্য হেন চেষ্টা নাই যে করে না। সে সর্বাধিক চেষ্টা করে বুদ্ধিবৃত্তিক ফেতনা সৃষ্টি করে মানুষকে বিপথগামী করার। তাই ঈমান বাঁচাতে আমাদের ইসলামের মূল বিষয় আকাইদ সম্পর্কে সুগভীর ধারনা রাখতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পড়াশোনা এবং নিরন্তর আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে সাহায্য প্রার্থনা করা।
By মাওলানা আব্দুল্লাহ মাসুম, প্রফেসর ড. এম. কবীর হাসান
সুদ নির্ভর দুনিয়াতে শান্তির আশা করা বাতুলতা মাত্র। আল্লাহ আমাদের বলেছেন যে সুদ খায় সে যেন আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে নেয়। অথচ, আশ্চর্য আমরা সুদ কে হালাল বানিয়ে নিয়েছি। সুদ ভিত্তিক অর্থনীতির এক বিরাট কুফল হচ্ছে খেলাপী ঋণ। এর ফলে সীমিত আয়ের মানুষ দিন দিন গরিব হয়ে পড়ছে অন্যদিকে এক শ্রেনীর শোষক আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাচ্ছে। অধঃপতনের এই গাড়ি কে রুখার প্রচেষ্টা থেকেই এই বইটি রচনা।
মনে রাখতে হবে ঈমান ছাড়া আমল অর্থহীন। আবার আমল বিহীন ঈমানের কোনো দাম আল্লাহর কাছে নেই। আমরা নিজেরা কোন ধর্মীয় মজলিসে অনেক বড় বড় গালভরা কথা বলি। কিন্তু নিজেরা শরীয়তের কতটুকু ধারনা রাখি। ব্যক্তিগতভাবে কিছু আহকাম পালন করা বাদে ইসলাম আমাদের জীবনে কোথায়? এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? আমরা কি আমাদের প্রচেষ্টাকে শুধুমাত্র খালি আলাপ আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবো নাকি বিশ্বময় ছড়িয়ে দেব? জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।
যখন কোন সমাজ থেকে ইসলামের নূর নিভে যেতে থাকে তখন সেখানে অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনা এসে জায়গা দখল করে নেয়। আমাদের সমাজকে কালরোগে পেয়ে বসেছে । আমরা ভালো-মন্দের বোধ হারিয়ে ফেলছি। নীতি-নৈতিকতা ছুঁয়ে ফেলে দিয়েছি অনেক আগেই। ফলশ্রুতিতে সমাজে বেড়ে যাচ্ছে খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ । পারিবারিক মূল্যবোধ গুলো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। পরিত্রাণের উপায়? একমাত্র ইসলামই দিতে পারে শান্তির সুবাতাস। তাই সর্বাবস্থায় ইসলামকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। বাঁচার আর যে কোনো পথ খোলা নেই।
কিছু মানুষ অভাবের তাড়নায় সুখ খুঁজে বেড়ায় আর কিছু মানুষ অনেক পেয়েও অসুখী। প্রকৃতপক্ষে সুখী কে? বইটিতে লেখক চেষ্টা করেছেন ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি ঘটনা উপস্থাপনের মাধ্যমে আমাদের সমাজের একটি বাস্তব চিত্র তুলে আনতে। তিনি আমাদের সমাজের মানুষের মনোজগতের অভ্যন্তরের পরিবেশ কে বিশ্লেষণ করেছেন এবং তা উপস্থাপন করেছেন পাঠকের সামনে। প্রশ্ন রেখেছেন আসলে সুখ কি, কিভাবে সুখী হওয়া যায়?
আপনি কি আল্লাহ কে পেতে চান? তাহলে দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করুন। দুনিয়া আর আল্লাহ এই দুইটি একসাথে চলতে পারেনা। আমাদের পূর্বপুরুষ যারা আল্লাহ ওয়ালা ছিলেন তাদের জীবন পর্যালোচনা করুন- উত্তর পেয়ে যাবেন। তাদের জীবন ও কর্ম হওয়া উচিত আমাদের জন্য আদর্শ। সেসব মহামানবদের নিয়েই এই রচনা। নিজের জীবনের সাথে একটু মিলিয়ে দেখি, কোথায় আছি আমরা ।
ইসলাম কি শুধুই কিছু হুকুম আহকাম পালনের নাম ? ইসলাম কি শুধু ব্যাক্তিগত কিছু ধর্মীয় চর্চার নাম? না বরঞ্চ তা নয়, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান । জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলাম কায়েম করতে না পারলে যে অংশে ইসলাম কায়েম হবে না সে অংশ ধ্বংস অনিবার্য। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কিভাবে চলতে হবে ইসলামে তার সবই বর্ণনা করা আছে । এখন শুধু অপেক্ষা পালন করার।
ইসলামী অনুশাসন এবং মূল্যবোধই সাফল্যের চাবিকাঠি। ইসলাম ছাড়া সমাজ একটি ভাগাড় মাত্র যেখানে শয়তান এসে বাসা বাঁধে। সমাজের ভিতরে বিভিন্ন নৈতিক অবক্ষয় ছড়িয়ে পড়ে। সমাজ হয়ে পড়ে কলুষিত এবং বিপদসংকুল একটি পরিবেশ। তাই ইসলামকেই সর্বাগ্রে রাখতে হবে এবং ইসলামের নিয়ম-নীতি মেনে জীবনকে গড়ে তুলতে হবে। নসিহত এবং দাওয়াহ এর কাজ চলতে হবে পুরোদমে।
এক সমাজ, এক দেশ, এক জাতি কিন্তু শতধা বিভক্ত। হাজারো অসার তত্ত্বকথায় পথহারা। কিন্ত পথ প্রদর্শনের জন্য নেই পর্যাপ্ত আলোর মশাল্ধারী শিক্ষক। আর বই পত্রের কথা আর কিইবা বলার আছে? মওদুদী চিন্তাধারা এক সূক্ষ্ম বুদ্ধিবৃত্তিক ফেতনা যার সংস্পর্শে এসে যুব সমাজ গোলকধাঁধার ভিতরে পড়ে গেছে। কোনটা সহী ইসলাম আরে কোনটি বাতিল তা নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে। পরিত্রানের উপায়? এই প্রশ্নের উত্তর এই কিতাব।
আমরা মুসলমানরা এক গভীর ঘুমে ঘুমে আছি । আমরা ধরে নিয়েছি বিধর্মীরা কখনোই আমাদের কোনো ক্ষতি করবে না বা ক্ষতি করলেই বা কি বা যায় আসে ?
আমি তো ভালোই আছি।
লেখক আমরা দেখাতে চেয়েছেন কিভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দুই শতাধিক কালব্যাপী ক্রুসেড নামক মহাযুদ্ধ হয়েছিল। যে নীলনকশাগুলো মুসলমানদের বিরদ্ধে বাস্তবায়ন করা হয়েছিল তা এখনো বর্তমান আছে বরং বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে ।
তাহলে আমরা কিসের ভরসায় নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছি? আমরা কি ধেয়ে আসা রক্তসুনামির ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন হব না ?
By মাওলানা সফিউল্লাহ ফুয়াদ ., মাওলানা ক্বারী সিদ্দিক আহমদ বান্দবী রহ
শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। এই পেশায় টিকে থাকতে হলে চাই ধৈর্য ও সাহস এবং আত্মত্যাগ করার মানসিকতা। ছাত্রদের প্রতি দায়িত্ব যেন পালন করতে হয় তেমনি নিজের ইলমী যোগ্যতা সমানতালে বাড়াতে হয়। অতীতকালের শিক্ষকরা ছিলেন দেবতুল্য। তাদেরকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সম্মান করা হতো অধুনাকালে শিক্ষকতার সেই সুনাম হারিয়ে যাচ্ছে। সমাজে শিক্ষকরা অবহেলিত অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতিত হন। কিন্তু কেন এই অবক্ষয়…!!??
By ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ শামসুল হক (জহির)
মহাপবিত্র আল-কুরআন এক অপার বিস্ময়ের নাম। পৃথিবীর বাঘা বাঘা বৈজ্ঞানিকরা এই মহাগ্রন্থ নিয়ে গবেষণা করতে করতে হয়রান হয়ে গেছেন। শেষ অবধি হার মেনেছেন এবং স্বীকার করেছেন এটি কোন মানুষের পক্ষে রচনা করা সম্ভব নয়। আর এই মহাগ্রন্থ নাযিল হয়েছিল কার উপর? আমাদের প্রিয় রাসুল (সাঃ) এর উপর! মক্কার মুশরিক সব পন্ডিতরা একাট্টা হয়েও পবিত্র আল-কুরাআনের সবচেয়ে ছোট সুরার সমকক্ষ কোন সূরা রচনা করতে পারেনি আর কেউ পারবেও না। আরোও হাজার হাজার কোরআনের বিস্ময়কর বিষয় আছে যা বোধগম্যতার অনেক উপরে। সঙ্গত কারণেই, এই আসমানী কিতাব হুযুর (সাঃ) এর সবচেয়ে বড় মুজিযা।
কোরআন বুঝে পড়লে দ্বিগুণ সওয়াব না বুঝে পড়বে সেও সওয়াব হাসিল করবে। এই আসমানী গ্রন্থ তেলওয়াত করার যে মর্তবা তা অন্য কিছুতে তা সম্ভব নয়। এমনকি রমযান মাস সেরা মাস হয়েছে এই কোরআনের ফযীলতেই। ইসলামকে বুঝতে হলে কোরান বুঝতে হবে । তাই আসুন সবসময় বিশেষত রমযানে কোরআন চর্চা করি, কুরআন বুঝে পড়ার চেষ্টা করি কুরআনের আলো ছড়িয়ে দেই বিশ্বময়।
ফিকহ নিয়ে যারা সমকালীন বিশ্বে চিন্তা ভাবনা করেন তাদের জন্য এটি দারুন একটি সংগ্রহ হতে পারে। আমাদের ইলম কম কিন্তু বলার সময় আমরা অনেক কিছুই বলে থাকি যার অধিকাংশ ভুলে ভরা। ফিকহ অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। সুতরাং, এই বিষয় নিয়ে কথা বলার আগে সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
মোঘল সাম্রাজ্য এক সময় ছিলো দোর্দণ্ড প্রতাপশালী। কিন্তু সবকিছুর যেমন শেষ আছে তেমনি মোঘল সাম্রাজ্য একসময় কালের বিবর্তনে নুইয়ে পড়ে। প্রবল প্রতাপশালী মোঘল সম্রাট হয়ে যান কাগুজে বাঘ এ। আসলে রাষ্ট্র পরিচালনায় অদক্ষতা, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, বিদেশী শক্তির আবির্ভাব, স্ম্রাটদের আয়েশি জীবন সর্বোপরি প্রজাদের উপর জুলুম নির্যাতন সব মিলিয়ে মোঘল সাম্রাজ্যর পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। শেষ দিকের মোঘল সম্রাটদের ইতিহাস তাই মর্মান্তিক এবং নিদারুন বেদনা বিধুর।
খ্যাতির লোভ মানুষকে কত নিকৃষ্ট করতে পারে তার প্রমাণ বর্তমান জামানার কিছু দরবারী আলেম। হাদিস-কোরআনের ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে তারা বোঝাতে চাচ্ছে যে আগের জমানার সালাফিরা সহী তরিকায় উপর অধিষ্ঠিত ছিলেন না। এর ফলে মানুষদের মনে সন্দেহের দানা বাঁধছে। মানুষ উল্টাপাল্টা কথা শুনে বিভ্রান্ত হয়ে ভুলের পথে ধাবিত হয়ে যাচ্ছে। অতি দ্রুত এই আপদ সমাজ থেকে নির্মূল করতে না পারলে মুমিনদের বুদ্ধিবৃত্তিক পরাজয় ঘটবে তা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় । সময় থাকতে জ্ঞান আহরণ করতে হবে, হক্কানী আলেমের কাছে বায়াত নিতে হব্ হক এবং বাকি চিনতে হবে। নচেৎ মহাবিপদ।
আল্লাহ সাথে মোলাকাত এর আগেই আমাদের সমস্ত গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে হবে। না হলে ওপারে আমাদের মুক্তির কোনো আশা নেই। তাই সর্বদা সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন যেন আমাকে দিয়ে গুনাহ না হয় আর হয়ে গেলেও সাথে সাথে তওবা করে নিতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন মাসনুন দোয়ার আমল থাকতে হবে যেন কোন কারনে গুনাহ সংঘটিত হয়ে গেলেও সেগুলো মাফ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এগুলোর আমল করা অপরিহার্য । আমল শিখার জন্য আমাদের জন্য এই কিতাবটি একান্ত অপরিহার্য।
হুজুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন মানুষ তার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে দুয়া দিয়ে। দুয়া হচ্ছে ইবাদতের মগজস্বরূপ । কায়মনোবাক্যে বেশি বেশি আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করলে তিনি খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। দোয়া করার কিছু পদ্ধতি আছে যা আমাদের পূর্বপুরুষগন নিয়মিত অনুসরণ করতেন এবং চর্চা করতেন। আমরাও সেই পথে অগ্রসর হয়ে নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করব এবং আখেরাতের কল্যাণ লাভের জন্য সচেষ্ট থাকব।
প্রিয় নবীজির জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ যেন এক একটি বিরাট শিক্ষণীয় বিষয়..
কিভাবে তিনি কথা বলতেন , তাঁর উপদেশের মধ্যে কি ধরনের জাদুকরী মহিমা ছিল, কিভাবে তিনি আচরণ করতেন সর্বস্তরের মানুষের সাথে তা চিরকালের জন্য আমাদের জন্য শিক্ষনীয়।
আমাদের সমাজে সুন্দরভাবে বাঁচতে এবং চলতে ফিরতে নবীজির দেখানো রাস্তা অনুসরণ করতে হবে । আর সেজন্য পড়তে হবে বইটি।
ইসলাম সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারনা না থাকলে পদে পদে হোঁচট খেতে হয়। আমাদের সমাজের দিকে তাকালে তার উৎকৃষ্ট প্রমান মেলে। কিছু আলেমধারী শয়তান, বিদেশী কুচক্রী মহল আর আমাদের হক্কানী আলেমদের একাংশের নির্লিপ্ততায় কিছু কিছু ফেতনা মাথার উপরে উঠে গিয়েছে।
আর যুব সমাজ বুঝে না বুঝে পতেঙ্গের মত আহলে হাদীস নামক ফেতনার মধ্য ঝাঁপ দিচ্ছে। এই ঝড়কে থামাতে হবেই।
তারই একটি শক্ত প্রয়াস এই কিতাবটি।
আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা একবিংশ শতাব্দীতে বসবাস করছি, সাড়ে চোদ্দশ বছর আগে কোন একটা সময়ে নয়…।
আমরা সাহায্যের জন্য হাত তুলে শুধু আসমান পানে চেয়ে থাকি তবে কাজের কাজ কিছুই হবেনা। আমাদের করতে হবে হাড়ভাঙ্গা মেহেনত।
লক্ষ্য ঠিক রেখে রাসূলের সুন্নাহ মোতাবেক কাজ করলে তবেই আসবে আসমানী সাহায্য - নচেৎ নয়।
এ বিষয়টি আমাদের সকলের মনে রাখা একান্ত কর্তব্য যদি আমরা আসলেই আল্লাহ সাহায্য প্রার্থী হয়ে থাকি ।
আমাদের ধর্ম পালন বাড়াবাড়ি আর ছাড়াছাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে!!!
আমরা তাসাউফ নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করি, অন্যদিকে শরীয়াহ এর ব্যাপারে আমাদের কোন মাথাব্যাথাই নেই । শরীয়ত এবং তাসাউফ সাংঘর্ষিক নয় বরং একে অপরের পরিপূরক- অনেকটা এক ক্লাস থেকে আর ক্লাসে ওঠার মতো।
শরীয়ত যেখানে হুকুম-আহকাম নিয়ে জোর দেয়, সেখানে তাসাউফ কলব পরিষ্কার করা নিয়ে কাজ করে ।
কিছু না বুঝেই লাফালাফি করলে আসলে লাভের থেকে ক্ষতিই বেশী হবে আমাদের।
আমরা হাশরের ময়দানে হাউজে কাউসার থেকে পানি খাওয়ার আশা করি যেখানে আমাদের নবীজি স্বয়ং নিজ হাতে পরিবেশন করবেন ।
কিন্তু আমরা কি তার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিতে পেরেছি?
মুসলমান হয়ে জন্মেছি সেটা ঠিক, কিন্তু ইসলামের উপরে কতটা উঠতে পেরেছি ? আমরা কতটুকু করছি আমাদের জীবনে সুন্নাহের পাবন্দি? কয়জন আছি সুন্নাতি তরীকায় দাড়ি রাখছি, টাখনুর উপর কাপড় পরিধান করছি নাকি শুধু মিষ্টি খাওয়ার সুন্নাহের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখছি?
জানতে প্রশ্ন করি নিজেকে । আরো জানতে বইটি পড়ি।
জান্নাতে তো সবাই যেতে চাই , তাই না?
কিন্তু তার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিচ্ছি নাকি অলীক স্বপ্ন দেখায় জীবন বরবাদ করে যাচ্ছি? আমরা কি জানি দান খয়রাত আল্লাহর রাগকে প্রশমিত করে ? এই বিষয়টি কেন জানি আমাদের কাছে খুব উপেক্ষিত। দান-খয়রাত আপনারা আমলকে বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ এমনকি মৃত্যুর পরও সদকায়ে জারিয়া হিসাবে পেতে থাকবেন কবরে।
এতো বড় নেয়ামতকে আমরা কেন তাহলে দুহাত ভরে গ্রহণ করছি না!!! দানের ফযীলত এবং পদ্ধতি বিস্তারিত জানতে চলুন বইটি পড়ি।
By মাওলানা সফিউল্লাহ ফুয়াদ ., মাওলানা ক্বারী সিদ্দিক আহমদ বান্দবী রহ.
শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর একথা আমরা সকলেই জানি ।
কিন্তু একথা কি কখনো ভেবে করে ভেবে দেখেছি কারিগর হতে গেলে নিজেরও কারিগরি বিদ্যা শিক্ষা অত্যন্ত জরুরী। আদর্শ শিক্ষক হওয়া বোধকরি পৃথিবীর কঠিনতম কাজ । হাজার হাজার ছাত্রের আলোকবর্তিকা যিনি তাকে হতে হবে সূর্য এর মতো আলোকোজ্জ্বল। তাই নিজেকে গড়তে হবে উপযুক্ত শিক্ষক হিসেবে। উপযুক্ত শিক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মানবীয় গুণাবলীর পাশাপাশি একাডেমিক নলেজ থাকাও জরুরী এবং সেই সাথে থাকতে হবে আত্মত্যাগের মানসিকতা ।
নচেৎ আদর্শ শিক্ষক হওয়া সম্ভব নয়।
মুসলিম বিশ্ব আজ পথহারা, হতাশ এবং দিকভ্রান্ত। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর কোন রাস্তাই যেন আমরা পাচ্ছিনা। বিধর্মীরা আমাদের তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে। যেমন হুজুর(সাঃ) বলেছিলেন খেতে বসে দস্তরখানে যেমন একে অপরকে ডাকে তেমনিভাবে সকল বিধর্মী এক হয়ে মুসলিমদেরকে নিধনের জন্য একে অপরকে ডাকবে।
ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।আজ এখনই …।।
বইটিতে দারুন কিছু বৈশ্বিক ভাবনা শেয়ার করা হয়েছে কিভাবে মুসলমানরা তাদের সোনালী দিনের ইতিহাস ফিরিয়ে আনতে পারে।
দ্বীনের পথে চলা পৃথিবীর মধ্যে প্রথম সবচেয়ে কঠিন কাজ অনেকটা জ্বলন্ত কয়লা হাতে নিয়ে রাখার মত।
একজন মানুষ আমাদের সমাজে দ্বীনদার হয়ে গেলে চতুষ্পার্শ্বে নানারকম সমস্যা তাকে জর্জরিত করে তোলে- এরকম একটি টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এই উপন্যাসটি যেখানে মূল উপজীব্য দ্বীন পালনে কতটুকু সংগ্রাম করে মানুষকে এগিয়ে যেতে হয়।
জীবনধর্মী এই রচনাটি সবার ভালো লাগবে আশা করি।
কাফির মুশরিকরা যেসব বিষয় নিয়ে ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করে বা তীর্যক মন্তব্য করে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বোধকরি বহুবিবাহ এর বিষয়টি। কিন্তু চরিত্র নিষ্কলুষ রাখা এবং সামাজিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য এটির আসলে কোন বাস্তবসম্মত বিকল্প আছে কিনা এগুলো নিয়ে আমরা মাথা না ঘামিয়ে বরং ইসলামের ছিদ্রান্বেষণ করতে অধিকতর মনোযোগী।
কিতাবটিতে বহুবিবাহের বিপক্ষে যারা থাকেন তাদের কে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হয়েছে দেখানো হয়েছে কেন কোন পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ কেনই বা এই সিস্টেম থাকা জরুরী।
সবাইকে বইটি পড়ার বিনীত আমন্ত্রণ রইল।
বিষয় : ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ইসলামী ব্যক্তিত্ব, বিবিধ বই, ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য
পৃষ্ঠা : 296, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published 2018