কুরআন বুঝে না পড়ার মতো হতভাগা মনে হয় আর হতে পারে না।
কোরআন বুঝে পড়লে দ্বিগুণ সওয়াব। জীবন চলার পথে কুরআন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথপ্রদর্শক।
তাই চলুন কুরআনকে বুঝে পড়ি। নেকী হাসিলের পাশাপাশি জীবনে চলার পাথেয় সংগ্রহ করি।
৩০ মজলিশে কুরানের সারনির্যাস আমাদেরকে কুরআনের ব্যাখ্যা শেখানোর পাশাপাশি চলতে শেখাবে সরল পথে।
সব ভাষার মতোই আরবী ব্যাকরণ জানা অনস্বীকার্য।
ব্যাকরণ না বুঝলে ভাষা কোনভাবেই করায়ত্ত করা যায় না ঠিক সেভাবেই কোরআনের নিজস্ব একটি ব্যাকরন রয়েছে।
আরবি ব্যাকরন জানলে, চর্চা করলে কোরআন শিক্ষা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। খুলে যাবে জ্ঞানের মহাসমুদ্র।
তাই চলুন দেরী না করে কোরআনের ব্যাকরণ শেখা শুরু করে দিই।
পবিত্র কালামে পাক যেহেতু আরবী ভাষায় নাযিল হয়েছে সুতরাং আরবি ভাষায় কোরআন শিক্ষা করাটা সর্বাধিক বুদ্ধিমানের কাজ। আরবী সবচেয়ে আধুনিক এবং সুন্দরতম ভাষা স্বয়ং আল্লাহ তাঁর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবীজির ভাষাযও ছিল আরবি।
কিন্তু আরবি শিখতে গিয়ে আমাদের মানুষেরা বিশেষত বাংলাদেশের যারা আছি তারা প্রায়ই হোঁচট খাই। আরবি কিতাবগুলো দুর্বোধ্য মনে হয়। সে আলোকে একটি কিতাবের প্রয়োজন সব সময় ছিল যা হবে অনুশীলন নির্ভর এবং সহজে বোধগম্য।
এই আলোকে কিতাবটি রচনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কিতাবটি বিভিন্ন জায়গায় পড়ানো হচ্ছে তন্মধ্যে আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ)
মহাগ্রন্থ আল-কুরআন সর্বশেষ আসমানী কিতাব যা সরাসরি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হতে মানব জাতির উপর নাযিলকৃত।
এটি কোন মানব রচিত বিধান নয় এটি সমস্ত ত্রুটি বিচ্যুতি হতে সম্পূর্ণ পাক। কিভাবে মানুষ পৃথিবীর বুকেচলবে তার একটি সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল এই কালামে পাক। অথচ এটা নিয়ে চিন্তা করার কোনো সময়ই আমাদের কাছে নেই।
আমরা আছি দুনিয়ার ঠাট্টা মশকারি, হাসি-তামাশা এগুলো নিয়েই। চোখ বন্ধ করলেই কিন্তু সব শেষ! মুসলিম জাতির অধঃপতনের অন্যতম কারণ হচ্ছে কুরাআন নিয়ে চিন্তাভাবনা না করা, গবেষণা না করা। যেখানে বিধর্মীরা কুরআন নিয়ে বছরের পর বছর বিস্তর গবেষণা করেন আমরা সেখানে যোজন-যোজ
কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বস্তু কোনটি? একেকজন একেকরকম উত্তর দেবে। কিন্তু আমাকে জিজ্ঞাসা করলে আমি বলব পৃথিবীর সবচেয়ে অবাক করা যে জিনিসটি আছে মুসলমান হিসেবে আমার কাছে মনে হয় সেটি হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। যা আসমানী কিতাবও বটে।
পৃথিবীতে এর থেকে বড় আর মুজিযা অন্য কিছু আছে বলে মনে হয় না!!!
পৃথিবীতে এমন কোন গ্রন্থ নেই যা কোটি কোটি লোক পুরোপুরি দাড়ি কমাশুদ্ধ মুখস্থ করতে পারে। আল কুরআন এর সমতুল্য পৃথিবীতে এমন জটিল গাণিতিক বৈচিত্র সমৃদ্ধ কিতাব আর একটিও নেই। এমন কোন কিতাব পৃথিবীতে নেই যা প্রতিমুহূর্তে প্রতি ঘন্টায় উচ্চারণ করা হয়
মহাগ্রন্থ আল কুরআন কে আমরা জানি আল্লাহর পক্ষ হতে নাযিলকৃত আসমানী কিতাব হিসাবে। কিন্তু আমরা কি জানি যে কালামে পাকের আরো অনেক পরিচয় রয়েছে এর বাইরেও। যেমন কুরআন কে বলা হয় সত্য-মিথ্যার প্রভেদকারী, সরল পথ প্রদর্শনকারী, মুত্তাকীদের জন্য সুসংবাদ প্রদানকারী এবং আরো বহুবিধ।
কালামে পাক কে নিয়ে যতোই লেখা হোক তা কখনোই পর্যাপ্ত হবেনা। মনে রাখতে হবে হাশরের ময়দানে সবচেয়ে বেশি কুরআন এর সুপারিশ ই কার্যকর হবে। তাই আসুন কুরআন কে আরো বেশি বেশি জানার এবং মানার চেষ্টা করি।
যে যত বেশি কুরআনওয়ালা সে তত বেশি আল্লাহর নিকটবর্তী। যে আল্লাহর নাযিলকৃত কুরআন কে ভালোবেসেছে এবং তদনুযায়ী আমল করেছে কালামে পাক তাকে হাশরের ময়দানে মাফ করিয়েই ছাড়বে!
আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি মর্যাদা সম্পন্ন সেই লোক যিনি নিজে কুরআন পড়েল এবং অন্যকে কুরআনের শিক্ষা দেন। কোরআনের সাথে তাই সম্পর্ক তৈরি করতে হবে নচেৎ হাশরের ভয়ংকর ময়দানে আমাদেরকে কেউ বাচাতে পারবেনা।
চলুন দিনে অন্তত একটি করে আয়াত পড়ে হলেও আমরা কালামে পাকের সাথে সম্পর্কে তৈরির চেষ্টা করি।
মুসলমান হয়ে জন্মেছি সত্য, কিন্তু কুরআন শরীফ হাতে কয়দিন নিয়ে দেখেছি?
কালামে পাকের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমরা আসলে কতটুকু ওয়াকিবহাল? মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলেদের কথা বাদ দিলে অধিকাংশ আমজনতারই কুরআনের মর্মকথার ব্যাপারে একদমই অন্ধকারে আছে।
শুধুমাত্র আরবি পড়তে পারার নামই কুরআন জানা নয়। কালামে পাক এক মহাসমুদ্রের নাম! আপনি আমি সেই মহা সমুদ্রের ভিতর থেকে কয়টি নূড়ি, পাথর, রত্নরাজি কুড়োতে পেরেছি?
কুরআনকে যদি বুঝতে না পারি আল্লাহকে কিভাবে জানবো, তার সৃষ্টি জগত, তাঁর বিশালতার কথা কিভাবে জানবো?
জ্ঞানের এই দীনতা থেকে মুক্তিলাভ করা আমাদের জন্য জরুরী নয়?
মহাগ্রন্থ আল কুরআন এর পরতে পরতে লুকিয়ে আছে রহস্যর মায়াজাল এবং পরাবাস্তবতার হাতছানি!
কুরআনের প্রতিটি আয়াতের সাতটি জাহেরী বা প্রকাশ্য এবং সাতটি বাতিনী অর্থাৎ অপ্রকাশ্য অর্থ আছে। আমরা তার কয়টি জানি? আসলে কয়টি জানা সম্ভব?
কুরআনে সংখ্যাতত্ত্বের জাল বিশ্বসেরা বিশ্লেষকদেরও মাথা নষ্ট হতে বাধ্য। বিজ্ঞান স্বীকার করেছেন কুরআন কোন মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না। এটি অবশ্যই একটি ঐশী শক্তি হতে নাযিলকৃত যাকে আমরা আসমানী কিতাবে হিসাবেই জেনে থাকি।
পবিত্র কালামে পাক ঠিকমতো অধ্যায়ন করতে হলে তাজউইদ জানা একান্ত প্রয়োজন। তাজউইদ অধ্যয়ন করলে আপনি কালামে পাকের পাঠোদ্ধার করতে সক্ষম হবেন সহজেই। নচেৎ উল্টা এবং ভুল উচ্চারনে কুরআন পাঠে গুনাহগার হবেন।
এ বিষয়ে বই-পুস্তক খুব একটা সহজলভ্য নয়। এই নিরিখে বইটি যারা কুরআন জানতে, বুঝতে এবং কুরআনের ভাষায় করায়ত্ত করতে চান তাদের সংগ্রহে কিতাবটি রাখা একান্ত জরুরি।
তাই দেরি না করে আপনার কপিটির জন্য অর্ডার দিয়ে দিন।
কুরআন পড়ুন সহজ পদ্ধতিতে আরবী বর্ণের, শব্দের অর্থ যেনে কায়দা পড়ুন একটি ব্যতিক্রমী কুরআন শিখার কায়দা। বইটি ৫০টি পাঠে তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত।
১. মাখরাজ (১-১২)
২. হারাকাত (১৩-৩৭)
৩. তাজউইদ (৩৮-৫০)