পূর্বসূরিরা আমাদের যেভাবে নির্মাণ করেছেন, ঠিক সেভাবেই আমরা জাতির জন্য কাজ করছি। কেউ সমাজের জন্য ভালো কিছু করছি, কেউ আবার সমাজ ধ্বংসের কারিগর হিসেবে কাজ করছি। আজকের দিনে আমরা যেভাবে আমাদের উত্তরসূরিদের নির্মাণ করব, ঠিক সেভাবেই ভবিষ্যতে তারা ভূমিকা পালন করবে। পুরো দায়টা আমাদের। কিশোর-যুবাদের নিয়ে সত্যিকারার্থে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। ব্যক্তি ও পরিবার যতটা পারছে, নিজেদের মতো করে গাইডলাইন দিয়ে যাচ্ছে। জাতি হিসেবে আমরা কীভাবে আমাদের আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চাই দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজও তা নির্ধারিত হয়নি
মাতা-পিতার সবচেয়ে বড়ো প্রজেক্ট সন্তান। সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে সন্তানের কুসুমাস্তীর্ণ পথ নির্মাণে বাবা-মা ক্লান্তিহীন। বিশ্বায়নের এই সময়টা বেশ বড়ো ধরনের অস্থিরতা ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একুশ শতকের এই সময়ে এসে সন্তান প্রতিপালনের ধারণা অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি আর সামষ্টিক নৈতিকতার অভাববোধের
শিশুরা গল্প শুনতে বা পড়তে ভালোবাসে। কিন্তু সব গল্পই কি শিশুদের ভালো লাগে? না। শিশুরা তাদের মতো গল্প পছন্দ করে। কখনো রূপকথা, কখনো বীরত্ব, কখনো বা শিক্ষণীয় গল্প প্রভাবিত করে তাদের। কখনো শুনতে চায় নিজের জীবনের গল্প।
গল্প শিশুদের কল্পনাশক্তিতে প্রখর করে। তাদের ভবিষ্যত চিন্তাকে প্রভাবিত করে। তাদের জীবন বদলে দেয় অনেক গল্প।
কিন্তু রূপকথার গল্পগুলো তো মিথ্যা। অনেক গল্প আছে যেগুলো অবাস্তব কাহিনিতে ভরা। আবার অনেক গল্প এমনও আছে যেগুলো ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক। তাহলে কোন গল্প শোনাবো তাদের?
বাবা মার উপর সন্তানের হক কি জানেন?
জি, সেটি অবশ্যই জানতে হবে। তা হচ্ছে সন্তানকে দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেয়া। বেশিরভাগ অভিভাবক সেটি করতে ভুলে যান অধুনাকালে। বস্তুবাদী এবং ভোগবাদী সমাজের নানাবিধ শিক্ষা ও কুশিক্ষা আমরা বাচ্চাদের মাথার উপর অবিরত ঢালতে থাকি কিন্তু যে জিনিস তার চিরদিনের জন্য কাজে লাগবে অর্থাৎ আখিরাত সংক্রান্ত বিদ্যা তথা ইসলাম সম্পর্কিত জ্ঞান- তা জানাতে আমাদের রাজ্যের অনীহা!
অনেকের তো মনেই পড়ে না!!!
এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আপনার সন্তান সুসন্তান হিসাবে গড়ে উঠবে না।
যে সন্তানকে আপনি কোলে পিঠে মানুষ করছেন দুদিন বাদে সেই আপনার সবচেয়ে
আপনি যদি আপনার সন্তানকে এসকল আবাস্তব ও কাল্পনিক চরিত্রের অনুকরণ থেকে দূরে সরিয়ে—বাস্তব দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মানুষের অনুকরণে গড়ে তুলতে চান, তাহলে ‘ছোটদের নাবি সিরিজ’ বইটি আপনার সন্তানদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। এই বইয়ে নাবি-রাসূলদের জীবনী ছোটদের উপযোগী করে চমৎকার ভাবে গল্পে গল্পে ফুটে উঠেছে।