'বিয়ে' ছোট্ট একটি শন্দ। কিন্ত্ত ওজন অনেক ভারী। বিয়ের সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক আশা আর স্বপ্নের রংধনু। বিয়ে কেবল দুজন ব্যক্তির একত্রে বসবাস নয়; বরং এটি দুটি পরিবার এবং কখনো দুটি গোষ্ঠীর সম্পর্কের নির্ণায়ক। বিয়ের পরে একজন মেয়ের কাধে শুধু একজন পুরুষের নয়; বরং পরিবারের সকলের হৃদয় জয় করার দায়িত্ব এসে যায়। এ দায়িতু পালন করা কতটা সহজ বা কঠিন হবে--তা মেয়েটির নিজের সদিচ্ছার ওপর যতটা নির্ভর করে, ঠিক ততটাই নির্ভর করে নতুন পরিবারের মানুষগুলোর মন-মানসিকতার ওপর। অনেক ক্ষেত্রেই নবাগতার ওপরে নতুন পরিবারের আশা-আকাজ্ফার এক বিরাট চাহিদা ও চাপ সৃষ্টি হয়। সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে এসে এই চাহিদা ও চাপের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া মেয়েটির পক্ষে অনেক কঠিন তো বটেই, ক্ষেত্রবিশেষে অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। শাশুড়ির ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটতে পারে। শাশুড়ি হিসেবে অধিকাংশেরই পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে না। মেয়ে বিয়ে দিলে তবু কালেভদ্রে বেয়াইগোষ্ঠীকে দাওয়াত করে খাওয়ানো কিংবা খোজখবর নিয়েই দায়িত্ব সম্পাদন করা যায়। কিন্ত ছেলেকে বিয়ে করালে ঘরে এমন এক আগন্তকের অনুপ্রবেশ ঘটে, যে কিনা স্নেহের সন্তানকে তার সাথে ভাগ করে নেবে, যার সাথে উঠাবসা হবে প্রতিনিয়ত। এত বছরের একচ্ছত্র অধিকার ও নিয়ন্ত্রণ কি একদিনে ছেড়ে দেওয়া যায়? আধিপত্যবাদী চিন্তা ও হারানোর ভয় থেকে শুরু হতে পারে নানাবিধ পারিবারিক সমস্যা।
শাশুড়ি মুরব্বি হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই আশা করা হয় তিনি বেশি দায়িতৃশীলতার পরিচয় দেবেন। কিন্তু জন্মের পর থেকে তিল তিল করে অনুভূতিপ্রবণ করে তোলে, যা তার দায়িত্বশীলতার অনুভূতিকে ছাপিয়ে যেতে পারে । অনেক ক্ষেত্রে তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়ার সুবাদে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকেন এবং এর ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তাই বউদের কষ্ট পাওয়ার কাহিনি যত শোনা যায়, শাশুড়িদের তত না। এরকমই বিয়ে পরবর্তী পারিবারিক বিষয়গুলোকে সামনে রেখেই সাজানো হয়েছে ‘বিয়ে’ নামক বইটি।
Title |
বিয়ে |
Author |
রেহনুমা বিনতে আনিস |
Publisher |
গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস |
Edition |
তৃতীয় সংস্করণ, ২০ মার্চ, ২০১৮ |
Country |
বাংলাদেশ |
Language |
বাংলা |