মুসলিমদের জন্য অনুকরণ এবং অনুসরণ দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এই দুটি বিষয়ের প্রয়োগ সঠিক না হলে ঈমান হয় প্রশ্নবিদ্ধ। পৃথিবীর সকল মানুষ মুসলিম নয়, আছে নানা ধর্ম, নানা সংস্কৃতি। যার কারণে অনুকরণ ও অনুসরণ করার বিষয়ে এসেছে সতর্কতা ও নির্দেশনা। সর্বোপরি অমুসলিমদের সংস্কৃতির কতটুকু গ্রহণীয়, এবং কতটুকু বর্জণীয়—তা নিশ্চিত হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে। আর এই বইটিতে এই বিষয়সমূহ পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে।
বিষয়ঃ জীবন গঠন, আত্মোন্নয়ন।
বিশেষত্ত: বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের জন্য সুপরিকল্পিত ক্যারিয়ার গঠনে তথ্য সম্বলিত একটি উপযোগী বই।
আমরা সবাই জীবনে সফল হতে চাই। নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহারের উপর নির্ভর করে আমরা কতটুকু সফল হবো। সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে প্রথমে প্রয়োজন যথাযথ ক্যারিয়ার প্ল্যান তথা ক্যারিয়ার নির্বাচন।
মরীচিকার মায়াজালে বিপর্যস্ত জীবন, ছুটে চলেছি গন্তব্যহীন কোনো প্রান্তরে। কখনো কি মনে প্রশ্ন জাগেনি, কে আমি? আমার গন্তব্য কোথায়? আমাকে কেন সৃষ্টি করা হয়েছে? এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর খুজে পাবেন এই বইটিতে ইনশা আল্লাহ।
বর্তমান যুগ হলো প্রেজেন্টেশানের যুগ। একটা জিনিসকে আপনি কিভাবে, কতোটা সহজে, কতোটা সাবলীলভাবে, কতোটা মাধুর্যতায় প্রেজেন্টেশান করছেন তার উপর কিন্তু অনেক কিছুই নির্ভর করে। ন্যাচারালি, মানুষের একটা স্বভাব হচ্ছে – এরা তত্ত্বকথা খুব কম হজম করতে পারে। এরা চায় সহজবোধ্যতা।
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ এর লেখক আরিফ আজাদ ঠিক এই পদ্ধতিই বেছে নিয়েছেন। তিনি গতানুগতিক লেকচার বা তত্বকথার ধাঁচে না গিয়ে, বক্তব্যের বিষয়গুলোকে গল্পের ধাঁচে ফেলে সাজিয়েছেন। প্রতিটি গল্পের শুরুতেই আছে মজার, আগ্রহ উদ্দীপক একটি সূচনা। কোথাও বা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদের সাথে তাঁর বন্ধু আরিফে
সত্যের প্রতি বিনয়ী সেই যুব সমাজের জন্য আরিফ আজাদ নিয়ে আসে এই বাংলার জমিনে প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ। গল্পের আঙ্গিকে, যুক্তি এবং বিজ্ঞানের আলোকে সংশয়বাদীদের মাঝে প্রচলিত সকল প্রশ্নের জবাব তিনি লিখেছেন বইটিতে।
ইতিপূর্বে পাঠক সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এই বই। ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে মানুষ দলে দলে কেনা শুরু করে বইটি এবং সংশয়ের পথ ছেড়ে ইসলামের পথে ফিরে আসে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২
আমরা কি জানি এই ফেতনাময় জগতে কোনটা সহী আরে কোনটা শরীয়ত মোতাবেক বাতিল? আসলে আমাদের চিন্তা ভাবনা করার সময় কোথায়? আমরা তো আমাদের বিদেশি প্রভুদের নির্দেশনামাকেই সব কথার শেষ কথা বলে ধরে নিয়েছি। অধঃপতিত এই উম্মাহ কে রক্ষার উপায় কি? বইটি আপনার জিজ্ঞাসার একটি ভালো উত্তর।
দ্বীন দ্বারা পরিচালিত জীবন আর নফসের তাড়নায় যাপিত জীবন কি কখনো এক হতে পারে? মনে রাখা প্রয়োজন আল্লাহর নাযিলকৃত শরীয়ত অপরিবর্তনীয় । আর আমরা বিধর্মীদের কথায় প্ররোচিত হয়ে আল্লাহর শরীয়ত কে কাটাছেঁড়া করে নিজের মন মতো সাজিয়ে নিয়েছি। কিন্ত এর ফলাফল কি হচ্ছে তা কি আমরা কখনো ভেবে দেখছি? নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছি নাতো? বইটিতে মিলবে এর উত্তর…
বিজ্ঞানীদের কাছে “ধূমপানে বিষপান”-
কিন্তু ধূমপায়ীদের কাছে ধূমপান মধুপান এর মতো। আপনি কি জানেন , ধূমপানে শুধু আপনি না আপনার আশেপাশের মানুষগুলোকে বিশেষত পড়িবারের সদস্যদের বিপদগ্রস্ত করছেন।
ধূমপান বন্ধে সভা সিম্পোজিয়াম এবং সেমিনারের অভাব নেই। নেই চটকদার বিজ্ঞাপনেরও। কাজের কাজ হচ্ছেটা কি? প্রতি বছর মৃত্যুবরণ করে সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।
আমরা কি নেশার কাছে হার মেনে বসে আছি ? আপনি যদি ধূমপান ছাড়তে না পারেন তাহলে আপনার ধূমপান ত্যাগের জন্য কিছু নিশ্চিত টিপস দরকার ।
সেই লক্ষ্যেই বইটি লেখা । আমাদের বিশ্বাস ধূমপান ছাড়ার ক্ষেত্রে আপনি অনেক দূর এগি
ভাবছেন দোয়া কেন কবুল হচ্ছে না? দোয়া কি আল্লাহ আসলেই কবুল করেন? আসলে হতাশা আমাদের গ্রাস করে নিয়েছে আমরা দোয়া করি, কিন্তু বিশ্বাসের ভিত্তি থাকে নড়বড়ে।আসলে দোয়া কবুল আল্লাহতালা ঠিকই কিন্তু শর্ত সাপেক্ষে। আগেকার আমলের মনীষীদের জীবন পড়লে তার ভুরি ভুরি প্রমাণ পাওয়া যায়। বইটিতে তারই কিছু দেখানো হয়েছে । আশাকরি আমাদের ভেঙে পড়া বিশ্বাস আবার নতুন করে জাগ্রত হবে।
ছোটবেলায় মনে হয় আমরা সবাই একটি প্রবাদ পড়েছি, “সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না” । সময় একটি মহান নেয়ামতের আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলার পক্ষ থেকে। আসলে আমরা মুসলিমরা কিভাবে সময় কাজে লাগাতে হয় তাইই আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। যে সময় একবার জীবন থেকে চলে যায় তার কখনই ফেরত আসে না। ইসলামী অনুশাসন সর্বতোভাবে মানলে আপনি দেখবেন আপনি আপনার সময়ের সর্বোচ্চ ব্যাবহার নিশ্চিত করতে পারবেন। সময় কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর খুব ভালো কয়েকটি টিপস বইটিতে দেয়া আছে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, “হে মুমিনগণ, আমি তোমার জান মাল জান্নাতের বিনিময়ে খরিদ করে নিয়েছি”। অতএব বোঝা গেল নিজের জান, মাল সর্বস্ব দিয়ে হলেও ইসলামকে সবার উপরে রাখতে হবে । মোদ্দা কথা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার মধ্যেই মুমিনের জীবনের সার্থকতা । দুনিয়া এবং আখেরাতে সাফল্য লাভ করতে গেলে আল্লাহকে রাজি-খুশি না করে কোন কিছুই হাসিল করা সম্ভব নয়। শরীয়ত কায়েমের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করার মন মানসিকতা আমাদের থাকতে হবে। আসলে আমরা দ্বীন কে কিভাবে দেখি আর দ্বীনের মূল পরিচয় কি তা বুঝতে বইটি পড়তে হবে।
আমরা আমল করি কিন্ত করে তৃপ্তি পাই না। দোয়া করি কিন্ত কবুল হয় না। রোযা রাখি, হজে যাই কিন্ত এতো কিছুর পরেও সত্যিকারের মুমিন হতে পারি না। কিন্তু কেন? পরীক্ষা করে দেখুন তো আমাদের ভিতরে ইখলাস আছে নাকি রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত আছে…
অলস মানুষের লক্ষ্য পুরনের আকাঙ্খা আর চাটাইয়ে শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা একই কথা। আলস্য কাউকে গ্রাস করলে তার দুনিয়া এবং আখেরাত উভয়ই বরবাদ। তাই লেখক সমস্যার পাশাপাশি সমাধান এর পথও বাতলে দিয়েছেন। এখন এগুলো অনুসরণ করে সামনে এগিয়ে চলার পালা। আলস্য কে ঝেড়ে ফেলুন চিরতরে।
মানুষ সৃষ্টির প্রথম থেকেই যে আমাদের পিছে সার্বক্ষণিকভাবে লেগে আছে তার নাম হচ্ছে শয়তান। তার প্রতারনা এবং ধোঁকার হাত কতটা সুবিস্তৃত তা সাধারন মানুষের কল্পনার বাহিরে । অনেক বড় বড় আলেমও তার ধোকায় পড়ে যায় । শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচতে না পারলে জাহান্নাম অনিবার্য। আল্লাহর রাসূল আমাদের বিভিন্ন পদ্ধতি শিখিয়েছেন কিভাবে শয়তানের হাত থেকে বাঁচা যায়। এই কিতাবটি সেই আঙ্গিকেই লেখা।
হুযুর সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন, “সুসংবাদ গুরাবাদের জন্য”। তিনি আরও বলেছেন ইসলাম গরিব ছিল আবার এটা গরিব অর্থাৎ অপরিচিত হয়ে যাবে এবং মদিনায় ফিরে যাবে- বর্তমান জমানার ইসলামের সাথে মদিনার ইসলামের সাদৃশ্য কতটুকু? মদীনার ইসলাম কি আমাদের জীবনের এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আছে? আমরা যে ভার্সনের ইসলাম মানছি তার কি কোন গ্রহণযোগ্যতা আল্লাহর কাছে আছে? বিস্তারিত জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।
বুজুর্গদের সোহবত উপরে উঠার তথা আল্লাহকে পাওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। মানুষ যদি একজন মানুষ বানানেওয়ালা পেয়ে যায় তবে সে লোহা থেকে সোনায় পরিণত হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। যিনি আল্লাহ তা'আলা মানুষের সংস্পর্শ থাকেন তিনি খুব সহজেই তার মঞ্জিল ভক্তদের পৌঁছে যান অন্যদিকে তেমনি সোহবতের নেয়ামত থেকে বঞ্চিত তারা অন্ধকারে হাবুডুবু খেতে থাকেন। মূলত উড়োজাহাজ যেমন জিপিএস সিস্টেম ছাড়া বর্তমান যুগে চলতে পারে না তেমনি মানুষও আল্লাহ ওয়ালাদের সংস্পর্শ ছাড়া কখনই নিজেকে বিপদ আপদ থেকে তথা শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচাতে পারে না। তাই আল্লাহওয়ালাদের সোহবতে থাকা অতীব জরু
আমাদের ধর্ম ইসলাম এতটাই আধুনিক এবং বিজ্ঞানসম্মত যে বহু সময় তো বিধর্মীরাও এর পরিপূর্ণতা দেখে হতবাক হয়ে যায়। তারই একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ এই কিতাবটি।
লেখক এখানে দেখিয়েছেন সনাতনী হিন্দু ধর্মের সাথে ইসলামের সাংঘর্ষিক একটি চিত্র। তুলে ধরেছেন হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন অসারতা এবং অযৌক্তিক বিষয়গুলো। অন্যদিকে স্বকীয়তা এবং নিজ গুনে মহীয়ান। এই বিষয়টিরই একটি দারুন বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বইটিতে।
কনটেম্পোরারি রিলিজিয়ন নিয়ে যারা ঘাটাঘাটি করেন তাদের জন্য সংগ্রহে রাখার মত একটি বই।
মানুষ, জীবন এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কে ধারনাগুলো মানুষের মাঝে বিশ্বাসের ক্ষেত্র তৈরি করে। যার ভিত্তিতেই সে তার জীবনপদ্ধিতি পরিচালনা করে থাকে। মানব ইতিহাসে একটি গ্রেটেস্ট কোয়েশ্চেন নামে পরিচিত, আমি কোথা থেকে এসেছি? আমার গন্তব্য আসলে কোথায়? আর আমার কাজ কি এখানে? কেউ উত্তর খুঁজে পায়, আবার কেউবা এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয় সাধনে ব্যর্থ হয়ে সংশয়ের বীজ বুনে যায়, ধীরে ধীরে নাস্তিকতার দিকে ধাবিত হয়।
কিছু গ্রিক দার্শনিকের উক্তি রয়েছে,
দ্যা রিভার্টস বা ফিরে আসার গল্প। বইটিতে আমরা জানবো পশ্চিমা দুনিয়ায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে বেড়ে উঠেও কি করে মানুষ শান্তির আশায় হন্যে হয়ে ঘুরছে। আমরা জানবো, কি করে তারা খুঁজে পেলেন জীবনের আসল উদ্দেশ্য, আলোর পথ। জেনে নিবো অতীত মুছে ফেলে নতুন জীবন গড়তে কোন জিনিস তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
By শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
ইলেকট্রনিক গেমস এবং কমার্শিয়াল সেন্টার এর ফেতনা নতুন কিছু নয়…
গত প্রায় দুই তিন দশক ধরে চলছে আমাদের উপর এই ফেতনার মহাসুনামি। ছোট ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে উঠতি বয়সী কিশোর সবার ভবিষ্যৎ যেন তছনছ হয়ে যাচ্ছে এ ফেতনার ফাঁদে পড়ে।
উপায়তো বের করতেই হবে। চলুন বইটি পড়ে আরো বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ইসলাম কায়েম হতে হবে সর্বত্র…।
তাই সেটা শুরু করতে হবে পরিবার এবং ব্যক্তি জীবন থেকেই। পরিবার হচ্ছে জ্ঞানের সূতিকাগার । এই জায়গায় যদি ইসলাম না থাকে উপরে পর্যায়গুলোতে ইসলামের ছিটেফোঁটাও পাওয়া যাবে না।
সুতরাং সময় থাকতে সন্তানকে এবং নিজেকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে ইসলামী শিক্ষায়। এবং সেটা শুরু করতে হবে একদম প্রাথমিক পর্যায় থেকেই।
হাবিজাবি কত কি হোমরা চোমরা মানুষের জীবন কাহিনী তো আমরা গোগ্রেসে পড়ি অথচ কয়জন সাহাবী (রা;) এর জীবনকাহিনী আমরা পড়েছি। হুযুর (সাঃ) নিজে বলেছেন, আমার সাহাবীরা হচ্ছে নক্ষত্র স্বরূপ।
অন্যান্য সাহাবীদের মধ্যে হযরত বেলাল (রাঃ) বিশেষ একটি স্থান রয়েছে।
তিনি ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন, শুধু তাই নয় হাশরের মাঠে হুজুর সাল্লাল্লাহু সাল্লাম যে ঘোড়ায় চড়ে বসবেন তার লাগাম টেনে ধরবেন আমাদের সবার প্রিয় এবং পরম শ্রদ্ধেয় হযরত বেলাল (রাঃ) এবং সবার আগে তিনি প্রিয় নবীজী কে নিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন!
ভাবুন একবার, কেমন হবে সেই দৃশ্য । সুবহান আল্লাহ!!!
নেক আমল ছাড়া কবরে আর কোন কিছুই নেওয়া যায় না। না পড়ালেখা, না চাকরী, না টাকা পয়সা। আসলে আমাদের জীবনে নেক আমলই একমাত্র লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন।
এ নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সতর্কতার অভাব রয়েছে। তাই সময় থাকতেই সাবধান হতে হবে। আখেরাতের সামান সংগ্রহ করতে হবে অত্যন্ত দ্রুত সময় শেষ হয়ে যাবার আগেই।
আমাদের মুসলিম উম্মাহর ডানে বামে উপরে নিচে সবথেকে ফিতনা নাগপাশ এর মত ফিতনা পেচিয়ে ধরেছে।
এই মহা বিপদ থেকে উদ্ধারের উপায় কি? ফিতনা সমুদ্র কিভাবে সাঁতরে মনজিলে মকসুদে পৌঁছে যাবে? আর এর সাথে নির্জনবাসের সম্পর্ক কোথায়?
জানতে হলে বইটি পড়তে হবে এক নিঃশ্বাসে।
ফিতনা এখন সর্বগ্রাসী। নিজের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহল পর্যন্ত ফিতনার জাল সুনিপুণভাবে ছড়িয়ে দেয়া আছে।
দেশি-বিদেশি চক্র তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে নীরবে। এ লক্ষ্যে মুসলমানকে এখনই সচেতন হতে হবে। শুধু নিজের বুদ্ধিতে কাজ করলে সাফল্য আসবেনা,
ইসলামের আলোকে করতে হবে এর সমাধান এবং তা অতি দ্রুত সময় ফুরিয়ে যাবার আগেই।
নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও কিছু কিছু মানুষ ইসলামের স্পর্শ পেয়ে ধন্য হন। তারা তাদের নিজেকে তো বটেই আশপাশের জগতকেও পরিবর্তন করে ফেলেন।
পরিবর্তনের আশ্চর্যজনক একটি ঘটনা উল্লেখ রয়েছে এ বইটিতে। বইটি পুরোপুরি আত্মজীবনীমূলক কিভাবে একটা মানুষ ইসলামের উপর ভরসা রেখে সামনে এগিয়ে যেতে পারে সমস্ত বাধা কে দুপা মাড়িয়ে তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই আত্নজীবনীমুলক বইটি।
হাজারো সমস্যার পাশাপাশি নতুন করে এক ভয়াবহ অশান্তি আমাদের সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে তার নাম আত্নহত্যা বা সুইসাইড।
একজন মানুষ নানামুখী চাপে বিভ্রান্ত হয়ে নিজের জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে অকাতরে!!!! ভুলে যাচ্ছে এই জীবনটা তার নিজের না, আরেকজনের দেওয়া। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নেয়ামত। কিন্তু এই মহা মূল্যবান নেয়ামত ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে নির্দ্বিধায়, কেন?
অধঃপতন কিভাবে বাঁচাতে হবে সমাজকে জানতে হলে বইটি সহায়ক হবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
ঈমান বাড়ানো চর্চার বিষয়, ঈমান ধরে রাখার বিষয়।
এটি এমন একটি মহামূল্যবান রত্ন যা সারাক্ষণ পাহারা দিয়ে রাখতে হয়। পাপ করলে এর পরিমাণ যেমনি কমে যায় তেমনি নেক আমল করলে ঈমান বেড়ে যায়। কিভাবে ঈমান ধরে রেখে ঈমান বাড়াতে হবে সে বিষয়ে জানতে হলে পড়তে হবে বইটি।
জীবন মানে কি পাগলের মতো অর্থের পিছনে ছোটা?
জীবন মানে কি স্ট্যাটাস মেইন্টেইন এর নাম?
আসলে জীবনের অর্থ কি আমরা তাই ভুলে গেছি। মৃত্যুর পরেই আসল জীবন , যেই জীবন আমাদের জন্য অপেক্ষমান- সে সম্পর্কে আমরা একেবারেই বিস্মৃত হয়ে গেছি।
ফলাফল নিজের চোখেই দেখতে পাবো। আরো জানতে হলে পড়তে হবে বইটি।
দাম্পত্য জীবন সুখী করে তুলতে আমাদের গবেষণার অন্ত নেই. এই কনসালটেন্ট, ঐ সাইকোলজিস্ট, এই পুস্তক ঐ কিতাব ইত্যাদি নানারকম সল্যুশন নিয়ে ঘাটাঘাটি করে আমরা দুনিয়া উদ্ধার করে ছাড়ছি। কিন্তু আসল জিনিসটা নিয়ে কখনোই নজর দিচ্ছিনা।
-আর তা হচ্ছে ইসলামিক অনুশাসন। ইসলাম কিভাবে দাম্পত্য জীবন সুন্দর করার টিপস গুলো দিয়েছে তা যদি আমরা না করি আর না মেনে চলি এতো ঢাক ঢোল পিটিয়ে কোনলাভ হবে না এটা নিশ্চিত।
আমাদের দাম্পত্য জীবন সুখী স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে হলে ইসলামের কাছে ফিরে যেতেই হবে, ইসলামের নিয়ম নীতি মানতেই হবে। তবে আসবে কাঙ্খিত শান্ত……।
সবাই বোধ করি জানি যে লজ্জা ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। লজ্জাশীল মানুষের ঈমান মজবুত হয়। অন্যদিকে বেহায়াপনা এবং অশ্লীলতায় নিমজ্জিত লোকের ঈমান নড়বড়ে থাকে, অনেক ক্ষেত্রে সেটা থাকেই না। সেজন্য ইসলামের সাথে লজ্জা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শুধু নিজের শরীরের দিকে নয়, ফেরেশত্ অন্য মানুষ, পরনারীদের প্রতি লজ্জা শরমের একটি বিষয় রয়েছে।
বস্তুত এ বিষয়ে খুব বেশি কিতাবাদি পাওয়া যায় না।
এজন্য কিতাবটি এ বিষয়ে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহায়িকা পুস্তক হতে পারে। কি করলে মানুষের লজ্জাবোধকে জাগ্রত করা যায়, বেহায়াপনা অশ্লীলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় তা বিশদভাবে
আল্লাহকে পেতে হলে নবীকে মানতে হবে সর্বাবস্থায়। যেখানেই থাকি না কেন তাকে কথা কাজে পুঙ্খনাপুঙ্খভাবে অনুসরণ করতে হবে নচেৎ আখেরাত বরবাদ। দুনিয়াতেও হতে হবে লাঞ্জিত- হুজুরের প্রতিটি কথা,কাজ এবং নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করাই তো মুমিনের কাজ।
কাজেই মুমিন যদি হতে চাই তবে হুজুর (সাঃ) এর জীবনকে করতে হবে নিজের লক্ষ্য। তার হাদিস অধ্যায়ন করতে হবে, বুঝতে হবে , কর্ম পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
আর সেজন্যই ইলমের কোন বিকল্প নাই। তার সাথে থাকতে হবে নেক আমল।
তবেই পাওয়া যাবে মহাসাফল্য……।
আমাদের দেশের নারীদের হুজুর (সাঃ) সম্পর্কে হয়তো অনেক কিতাব পড়েছেন, কিন্তু নবীজি সম্পর্কে জানলেও নবীজির জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ উনার পবিত্রা স্ত্রীগণ যারা আমাদের কাছে মহাসম্মানের পত্র অর্থাৎ উম্মুল মুমিনীন উনাদের সাথে খুব একটা পরিচিত হন।
তাদের ব্যাপারে কতটুকু আগ্রহ দেখিয়েছি। পারিবারিক জীবনে কিভাবে শত অভাব-অনটনের মধ্য তারা তাদের জানের টুকরা নবীজি (সাঃ) কে আগলে রেখেছিলেন তার ব্যাপারে আমরা বেখবর।
ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না ঘরের শান্তি বড় শান্তি। তীব্র অভাব অনটনের মধ্যে স্বামীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে, সব কিছু গুছিয়ে ভালোবাসার বন্ধন অবিচ্ছেদ্য রেখে সংসার ক
বাহ্যিক শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আমরা যতটা সচেতন অন্তরের অসুস্থতা নিয়ে আমরা ততটাই বেখবর!
লোভ, হিংসা, ক্রোধ ইত্যাদি আমাদের অন্তরকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। আমরা দিন দিন হারিয়ে ফেলছি হিতাহিত জ্ঞান। সমাজে এত দুষ্টু লোকের প্রভাব আজ অত্যধিক। কেন?
কারণ তাদের অন্তর অসুস্থ। মানুষের অন্তরের রোগ গুলো দূর করতে না পারলে জগত সংসারে সুখ ও শান্তি সুদূর পরাহত। অন্তর পরিশুদ্ধির কাজটা তাই শুরু করতে হবে পারিবারিক বলয় থেকে।
তার জন্য প্রয়োজন ইসলামিক অনুশাসন ও তার সুন্নাহমাফিক যথাবিহিত প্রয়োগ।
শরীরের সমস্যা দেখা যায় বা সহজে নির্ণয় করা যায়। কিন্তু অন্তরের সমস্যা বোঝা বেশ কঠিন। কিছু কিছু মানুষের অন্তরগুলো ভীষণ রকমের কুৎসিত , নেকড়ে বাঘের থেকেও ভয়ঙ্কর- কিন্তু বাহ্যিক হাসি নয়ন ভুলানো।
এই চরিত্রের মানুষগুলো যখন সমাজের উচ্চস্তরে প্রতিষ্ঠা লাভ করেতখন সমাজের সাজানো কাঠামোগুলো একে একে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।
মানুষ এটা সেটা করতে থাকে কিন্তু মূল সমস্যাটা নির্ণয় করা যায় না। মূলত অন্তরগুলোকে পরিশুদ্ধ করতে পারলে সমাজটা অনেক বেশী সুন্দর হতো।
কিন্তু অন্তরের অসুখ সম্পর্কে আমরা কি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল? ইসলাম সর্বপ্রথম এই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছে , সঠিক
আমরা কি ভালো মানুষ হতে চাই যেন সমাজের সবাই আমাদেরকে ভালো মানুষের তকমা দেয়?
যেটাই চাই না কেন, যেই দুনিয়াতেই চাই না কেন সবার আগে কলবকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। নবীজি বলেছেন মানুষ যখন অন্যায় করে তখন কলবে একটি দাগ পড়ে, আবার যখন তওবা করে তখন দাগটি মুছে যায়।
মুলত কলব একটি আয়নার মতো। আয়না সবসময় পরিস্কার রাখতে হয় নিজেকে দেখার জন্য। তেমনি ভালো মানুষ হতে গেলে , আল্লাহকে পেতে হলে কলব পরিষ্কার রাখতে হওঁয়।
যেহেতু কলব দেখা যায় না, ছোয়া যায় না তাই তাকে বিশুদ্ধ করা কঠিন। ইসলামিক তরিকা মতে কলবকে পরিষ্কার করে জ
ঈমান বিধ্বংসী যত রোগ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হচ্ছে শিরক।
আল্লাহ শিরক ছাড়া অন্য যেকোন পাপকে ক্ষমা করে দিতে পারেন কিন্তু এটি তিনি কখনোই ক্ষমা করেন না ।
সুতরাং শিরকের প্রকারভেদ, কিভাবে হয় তা জানা আমাদের ঈমান রক্ষার জন্য একান্ত জরুরি। সময়ের সাথে সাথে আমাদের ধ্যান-ধারণায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমরা এখন ঈমানের সাথে সাংঘরষিক অনেক কিছু চিন্তা করি এবং কাজ করি এবং এতে আমরা মনে করি তা আর এমন কি?
আদতে তা ভয়ঙ্কর শিরক হয়ে যায়। অনেক সময় ছোট শিরকের ভিতরও আমরা জড়িয়ে পড়ি। যেকোনো শিরক ই ঈমান বিধ্বংসী।
এই সম্পর্কিত যাবতীয় জ্ঞান না থাকলে আমাদের অলক্ষ্যেই ঈমা
আমরা অর্থাৎ এই বর্তমান প্রজন্ম বিশেষত খিলাফতের পতনের পরে যে উম্মাহর ধারাবাহিকতা চলছে তারা কেন জানি ইসলামকে সর্বস্তরের জন্য উপযুক্ত মনে করি না!!!
বেছে বেছে ইসলাম ফলো করি যেটা আমাদের কাছে সুবিধাজনক মনে হয় ।
আমরা কি জানি আমরা আসলে নিজেদের সাথে প্রতারণা করছি। বস্তুত, ইসলাম সর্বকালের সর্বযুগের জন্য সত্য। সারাজীবন চলার কোড অফ কন্ডাক্ট।
অথচ ইসলাম কে পিছনে ফেলে মানব রচিত বিভিন্ন তন্ত্র মন্ত্র পিছনে ছুটে বেড়াচ্ছি আমরা।
আমরা আমাদের হুঁশ কবে হবে……।
বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের দেশের নাস্তিক্যবাদের প্রচার বেশ জোরেশোরেই চলছে। এর পালে হাওয়া দিচ্ছে তথাকথিত শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী। তার সাথে যোগ হয়েছে বাম-রাম ঘরানার কিছু মানুষজন।
এদের সম্মিলিত চক্রান্তে এবং বহিঃশত্রুর ছত্রছায়ায় বেশ গরম হয়ে উঠছে দেশের আবহাওয়া। সংস্কৃতি পাড়ায় এদের অবাধ বিচরন। সাধারণ জনগণের মধ্যে তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে বিষবাষ্প।
ইসলামের বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দিচ্ছে, অপব্যাখ্যা সাজাচ্ছে। ফলে সরলমতি মানুষজন সহজেই তাদের কথায় দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে।
এখনই রাশ টেনে ধরতে না পারলে সামনে বিপদ আছে। পেশি শক্তি দিয়ে সব সময় সমভাবে তাদেরকে আটকানো যাব
প্রিয় নবীজি (সাঃ) বলেছেন, “উম্মাহ হচ্ছে একটি দেহের মতো। দেহের কোন এক জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে সমগ্র দেহে ব্যথা অনুভূত হয়”।
আমরা কিভাবে নিজেদের মুসলিম দাবী করি ? যেখানে আমার পাশের দেশের অথবা দূরবর্তী কোন দেশে মুসলিম ভাই-বোনেরা নির্যাতিত ও নিগৃহীত, ধর্ষিত হচ্ছে কিন্তু আমাদের কোন বিকার নেই!
আমরা টিভিতে বসে বিশ্বকাপ দেখি, ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকি, পানশালায় গিয়ে ফুর্তি করি, টাকা উড়াই।
পৃথিবীতে মুসলমানদের দিল মরে গেছে। কিন্তু নিশ্চিত থাকেন আজকে অন্যরা ভুগছে, দুইদিন বাদে আপনার পালা আসবেই আসবে। ইতিহাস তাই বলে….।
চিন্তা করা শুরু করুন
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। চলার পথে কি করতে হবে, কিভাবে করতে হবে তার বিস্তারিত সঠিক বর্ণনা করা আছে ইসলামিক শরীয়তে। আমরা কিছু হুকুম-আহকাম কে পালন করাকেই ইসলাম বলে মনে করছি। আমাদের এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের ফলে আমরা আজকে ব্যাপকভাবে ভুগছি।
ইসলাম প্রারম্ভিক যুগে যেরকম সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগ এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আজও সেই একইভাবে ইসলামের ঝাণ্ডা কে তুলে ধরতে হবে।
By শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ, ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী
নফসের যে দুটি রোগ মানুষকে খুব তাড়াতাড়ি জাহান্নামের দিকে টেনে নিয়ে যায় তা হচ্ছে সম্পদের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও পদমর্যাদা লোভ। আল্লাহ তায়ালা রিজিকের মালিক। তিনি রিজিক অন্বেষণ কে হালাল করেছেন কিন্তু তার জন্য পাগলপারা না হওয়া চাই।
রিজিক তিনি সাধারণভাবে অন্বেষণ করতে বলেছেন কিন্তু আমাদের ভাব দেখলে মনে হয় আল্লাহর উপর ভরসা না করে সব দায়িত্ব আমারা আমাদের কাধে তুলে নিয়েছি। বান্দা যখন আল্লাহ কাজ নিজে নিয়ে নিতে চায় তিনি তাদেরকে দুনিয়ার উপর ছেড়ে দেন যার ফলশ্রুতিতে তারা আরো বেশি হাবুডুবু খেতে থাকে কিন্তু নিজেকে ভাগ্য যতোটুকু আছে তার অতিরিক্ত একটি কানাকড়
আপনারা কি জানেন পর্ণ আসক্তি ড্রাগের থেকেও ভয়ঙ্কর!!!
পর্ণ-আসক্ত মানুষের মস্তিষ্কের নিউরনগুলো বাঁশ পাতার মত থরথর করে কাঁপতে থাকে যতক্ষণ সে পর্ণ মুভি দেখতে থাকে।
চারপাশের মানুষগুলোকে সে সহজভাবে দেখতে পারেনা। কোন নারীর দিকেই সে আর সম্মানসূচক চোখে তাকাতে পারে না। তার মস্তিষ্কের ভিতরে সারাক্ষণ পর্ণ সিনেমার দৃশ্যগুলো ঘুরতে থাকে। অস্বাভাবিক মানসিকতার মানুষের পরিণত হয়ে যায় সে।
সমাজ রাষ্ট্র তথা পরিবার ভেঙ্গেচুরে বরবাদ হয়ে যায়। যুব সমাজ থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধ-বণিতা কেউ বাদ যাচ্ছেনা এই নীল বিষের ছোবল থেকে।
হাল না টেনে ধরলে সমাজ জানোয়ারের সমাজ হতে আর
আখিরাতের পাথেয় সংগ্রহ করতে চান, আখিরাতকে বিপদমুক্ত রাখতে চান, নেকি হাসিল করতে চান?
তবে সবচেয়ে ভাল বুদ্ধি হলো হক্কানী আলেমের সোহবতে থাকা এবং উনার নির্দেশ অনুযায়ী আমল করা। “হুজ্জাতুল ইসলাম” ইমাম গাজ্জালীর কথা সবাই তো জানি। কিন্তু তার মহা মূল্যবান উপদেশ গুলো কয়জন জানি বা মানি!
তাঁর অমূল্য উপদেশমালার রত্নরাজির সমন্বয়ে নিয়ে এই ক্ষুদ্র সংস্করণ যেখানে প্রিয় মুরিদ কে উদ্দেশ্য করে তিনি নসীহত করেছেন। দেরি না করে নিজের হাতে বইটি নিন। নিজের আখেরাতকে ইজ্জতময় করতে আগে বাড়ি।
আঁধার রাতের মুসাফির অনুসন্ধিৎসু চোখে শুধুই আলো খুঁজে ফিরে। কাফেলাকে মঞ্জিলে পৌঁছাতে আলোক মশাল তখন অনিবার্য দিশা। নিকষ আঁধারের দুনিয়া এখন বড্ড দিশেহারা। মুক্তি কোথায়? টলোমলো জাহাজকে কে তীরে ভিড়াবে? আজ বড় প্রয়োজন একঝাঁক দক্ষ নাবিকের। প্রত্যাশিত নাবিকদের উদ্দ্যেশ্যে ‘নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া’।
ছোট ছোট আবেগ, অভিমান, অভিযোগ, খুনশুটি আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসার সমষ্টি হলো পরিবার? যা মানবসভ্যতাকে বহমান রেখেছে সৃষ্টির শুরু থেকে আজতক। পরিবার-কাঠামো দাড়িয়ে থাকে ছোট কিছু ত্যাগ আর সমঝোতার ভিত্তির ওপরে। সম্পর্ক মধুর হয় পারস্পরিক বোকাপড়া এবং দায়িতৃশীল উদার মনোভাবের গুণে। একটি সুস্থ-সাজানো পরিবার উপহার
দেয় একটি সুজনশীল ও নান্দনিক জাতি? সার্থক করে পৃর্ঘিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে। অন্যদিকে বিশৃঙ্খলা ও ঘৃণার চাদরে মোড়ানো পরিবার উপহার দেয় একটি বদ্ধ ও জড় মস্তিষ্কসম্পন্ন জাতি; কলুষিত করে জীবনের সঙ্গত বৈষয়িক
দয়াময় রব গোটা সৃষ্টিজগৎকে সাজিয়েছেন অপরূপ নৈপুণ্যে, সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন অনুপম কারুকার্যের হাজারো নিদর্শন। কত বদল আর বৈচিত্র্যে ঠাসা এ চরাচর! যেন প্রভুর পরম আসমানি স্পর্শ লেগে আছে প্রতিটি কোণে। একেক সৃষ্টিকে তৈরি করেছেন একেক ব্যঞ্জনায়। এজন্যই তো অহংকার তাঁর আপন চাদর। আমাদের যত প্রার্থনা ও স্তুতি—সকলই কেবল তাঁকে ঘিরে। তিনিই মানুষকে পাঠিয়