মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় খিলাফতের পতন !! জাস্টিস তকী উসমানী একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি আঙ্গিকে বইটি লিখেছেন। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে খিলাফতের পতন আমাদের জীবনের নিয়ে ডেকে নিয়ে এসেছে নির্মম পরিণতি। কিভাবে একটি বিশ্ববিজয়ী বিজয়ী জাতি থেকে আমরা হয়ে পড়েছি রিক্ত, নিঃস্ব এবং শক্তিহীন জাতিতে। আজ বিধরমীরা যেমন ইচ্ছ সেরকমভাবে আমাদের উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে। কিভাবে এ থেকে উত্তরণ সম্ভব? সবকিছু বিস্তারিত পাবেন এই বইতে। লেখক বিভিন্ন গল্পের সমাহারের মাধ্যমে এ বইটি উপস্থাপন রচনা করেছেন যা পাঠকদের মনে দাগ কাটতে বাধ্য।
জীবন যেন এক আলো আঁধারের গল্প । সেখানে ইসলাম যেন এক আলোকবর্তিকা। যারা ইসলামের আলোয় ধন্য হয়েছেন তারা পেয়েছেন সুপথের প্রাপ্তি।
অন্যদিকে যারা ইসলাম থেকে নিজের জীবনকে বিছিন্ন করেছেন তাদের জীবনে নেমে এসেছে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। সমাজের উঠতি বয়সের ছেলেরা যখন দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তারা আস্তে আস্তে পশুতে পরিণত হয়।
অপরপক্ষে, ইসলামের সুশীতল স্পর্শে লোহাও তামা হয়ে যায়। আমাদের চারপাশে জীবনের বিভিন্ন ঘটনাকে উপজীব্য করে রচিত হয়েছে এই কিতাবটি যেখানে বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে দ্বীনহীন পশুসুলভ জীবন কিভাবে মানুষকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়।
শিশুদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে অল্প বয়স থেকেই নীতি নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের শিক্ষা দেওয়া একান্ত জরুরি ইসলাম এ ব্যাপারে যথেষ্ট দিক নির্দেশনা দিয়েছে।
বিষয়টা হচ্ছে, আমরা সঠিকভাবে ইসলামের নির্দেশ পালন করি না যার কারণে ছেলেরা বড় হয়ে যাওয়ার পর অবাধ্য হয়ে যায়। সমাজ হয়ে যায় কলুষিত।
তাই সময় থাকতে ইসলামী সিস্টেম মোতাবেক ছেলেমেয়েকে গড়ে তুলতে হবে।
আমরা ক'জন জানি ইসলাম এর সঠিক ইতিহাস? স্কুল-কলেজে সেখানে কিছু গদবাধা গল্প পড়ানো হয় তার বাইরে আমাদের এসব মহা মনীষীদের অবদান সম্পর্কে আমরা একদমই ওয়াকিবহাল না।
যখন আমরা আমাদের পূর্ববর্তী মহা মনীষীদের জীবন, কর্মপদ্ধতি সঠিকভাবে অধ্যয়ন করবো তখনই আমরা ঠিক করতে পারব আমাদের ভবিষ্যতের চলার পথ।
তাই আমাদের জানতে হবে আমাদের পিছনের ইতিহাস।
জীবন এর মানে এক একজনের কাছে একেকরকম।
কারো কাছে জীবন মানে “বিপুল অর্থ কামাই করা” ,কারো কাছে জীবন মানে “আল্লাহ প্রাপ্তির উপলক্ষ”। আসলে ইসলাম এবং আমাদের বর্তমান জীবন পরস্পর সাংঘর্ষিক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।
কিভাবে পেতে পারি আমরা এর থেকে উত্তরণ? আর এই ইসলামবিহীন জীবনের কুপরিনতি কি জানতে হলে এ বইটিতে পড়তেই হবে।
আপনি কি সাহিত্য ভালোবাসেন অথবা আপনি কি সাহিত্য সমালোচক ? তবে এই বইটি আপনার বেশ ভালোই লাগবে। তৎকালীন সমাজের সাহিত্য চর্চা এবং সাহিত্য সমালোচকরা কিভাবে একটা সাহিত্যর নমুনাকে মূল্যায়ন করতেন স্থান-কাল-পাত্রের বিবেচনায় তা জানা যাবে এ বইটি পড়লে।
যারা একটু বিদগ্ধ পাঠক অর্থাৎ কোন জিনিস এনালাইসিস করতে বেশি পছন্দ করেন বিশেষত সাহিত্য তাদের জন্য এটি একটি দারুন চিন্তার খোরাক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষ কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “তারা কি চিন্তা গবেষনা করে না?”- আসলে কেন জানি আমাদের চিন্তা করার শক্তি আশংকাজনক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। আমরা কেন জানি বিধর্মীদের শিখানো বুলি আওরাতে আওরাতে তোতা পাখির মতো হয়ে গিয়েছি। আমাদের নিজস্ব শোধ বুদ্ধি লোপ পেয়েছে।
এই অবস্থা থেকে শিগগিরই পরিত্রানের উপায় না বের করতে পারলে আমাদের কপালে অনেক দুঃখ আছে।
মানব সভ্যতার শুরু হয়েছে বহু বছর আগেই…
বিজ্ঞানীরা না জানলেও পবিত্র কালামে পাকে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়া আছে। তারপর ঘটে গেছে হাজারো ঘটনা, লক্ষাধিক , কোটি কোটি!!!!!
আর মানব সভ্যতার গোড়াপত্তনের আগে?
সে ইতিহাস তো অনেক অনেক লম্বা……।
সব ঘটনাকে এক কলেবরে আনা অসম্ভব। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ঘটনাকে যদি পাঠকের সামনে নিয়ে আসা যায় তাদের চিন্তাজগতে পরিবর্তনের নিমিত্তে কেমন হয়?
প্রিয় লেখক রশীদ জামিল মানেই অন্যরকম সাসপেন্স…।
অতি অবশ্যই এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ইসলামিক কিছু চিরন্তন সত্য ঘটনা সমূহকে নতুন করে বিভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন বিভি
নৈতিক অবক্ষয় আমাদেরকে নিয়ে গেছে ধ্বংসের অতল গহবরে । ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা আমাদের ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক আগেই। যার ফলে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভয়াবহ নৃশংসতা প্রবেশ করেছে। মানুষ পরিনত হয়েছে পশুতে।
রসাতলে যাওয়া এই নষ্ট সমাজ কে কিভাবে বাঁচাবো আমরা? কিভাবে এই জনপদের মানুষদের সম্বিৎ ফিরে আসবে?
ভাবতে হবে দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই।
নবিজির সম্মানিতা স্ত্রীগণ কেমন ছিলেন? কেমন ছিল নবিজির পারিবারিক জীবন? বয়স, মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা কিংবা আচরণের ভিন্নতা সত্ত্বেও তাঁরা কীভাবে নবিজির জীবনকে পূর্ণতা ও প্রশান্তিতে ভরিয়ে রেখেছিলেন? এই মহীয়সী পূত স্ত্রীগণের জীবনচরিত আজকের দিনেও কেন আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক? শাইখ ইয়াসির ক্বাদি ‘Mothers of Believers’ নামের এক ধারাবাহিক লেকচার সিরিজে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন; যা গার্ডিয়ান পাবলিকেশন বিশ্বাসীদের মা শিরোনামে বাংলায় আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছে।
মানুষের মনের চেয়ে বেশি রহস্যময় আর কিছু কি এই পৃথিবীতে আছে? কোথাও তাজমহলের শুভ্রতাকেও ম্লান করে মন, আবার কোথাও হিমালয়কেও হার মানায় মনের উচ্চতা। কোথাও বা আবার তা মিশরের মমির অজানা রহস্যকেও ছাড়িয়ে যায়। মানুষের মন আটলান্টিকের গভীলতাকেও লজ্জা দেয়।
প্রতিটি মানুষেরই একটা করে মন আছে, আছে একটা করে বিচিত্র জগৎ। আমরা কয়টা মন চিনি, কজনকে জানি? যাদের জানি বলে মনে করি, আসলেই কি তাদের জানি? মানুষের মনের গভীরে নামতে পারা, তার গভীরতা মাপতে পারা, সেই গভীরতার চিত্র-বিচিত্র রূপ দেখতে পাও
কবি ও সাহিত্যিক আসাদ বিন হাফিজ রচিত ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘দুর্গম পথের যাত্রী’। এই উপন্যাসের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে মহাবীর হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রা.-এর ইসলামে ফিরে আসার চমকপ্রদ ঘটনাসমূহ নিয়ে।
আবাবিল পাখির মতই মুক্তির দুত হিসাবে পৃথিবীতে এসেছিলেন নবীজি (সাঃ)। আরবের অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগে আবির্ভাব ঘটেছিলো উনার। তার পরেই ঘটে যায় পৃথিবীর সবচেয়ে মিরাকল ঘটনা।
পাপ-পঙ্কিলতায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত একটি জাতিকে তিনি পরিবর্তন করে বানিয়েছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষরূপে যাদের সমকক্ষ আর কেউ কোনদিন হবে না।
কীভাবে তিনি এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন! এই গল্পই আমরা জানবো বইটিতে। নবীজির সম্পর্কে জানতে আগ্রহী পাঠকদের জন্য এই কিতাবটি অবশ্য পাঠ্য।
আরবী ভাষা কঠিন, কাঠখোট্টা, দুর্বোধ্য, পড়ে মজা নাই, স্বাদ পাওয়া যায় না- তাই কোরআন শরীফ পড়তে মন চায় না। কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণ উল্টো।
আপনি যদি সঠিক নিয়মে আরবি চর্চা করেন এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়াশোনা করেন আপনার কাছে আরবি আর রসকষহীন থাকবে না, মনে হবে পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি ভাষা!
বিশ্বাস না হলে “আরবি রস” এই বইটি হাতে নিন, পাতাগুলো উল্টান দেখবেন পরতে পরতে লুকিয়ে আছে আরবী ভাষার সুমিষ্টতা।
ইসলামের নির্ভর সাহিত্য অনেকটাই বিরল একটি বিষয় আদতে। কিন্তু সাহিত্য তো আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাহিত্যর স্পর্শ ছাড়া জীবনের রূপ রস গন্ধ কিছুই আমরা অনুভব করতে পারি না।
কিন্তু যে সাহিত্যর অভ্যন্তরে ইসলামমুখী আদর্শ থাকে না সেখানে শয়তান শরীক হয় এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দস্যুতা চালিয়ে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে। তাই তো আমরা দেখি পাশ্চাত্যর বেশীরভাগ সাহিত্যিক নাস্তিকতায় বিশ্বাসী।
তাইতো শয়তানের চক্রান্ত থেকে বাঁচতে সাহিত্যেকে ইসলামের সাথে যুগপৎভাবে জড়িয়ে ফেলতে হবে। এই সাহিত্য হবে জীবনমুখী, এই সাহিত্য হবে কল্যাণকর।
কাহিনির যথাস্থানে গিয়ে পাঠকের মনে হতে পারে নামকরণে কিঞ্চিত ভুল হয়েছে। ‘স্বপ্ন’-এর জাগায় রক্ত হলে ভালো হতো। বইটির নাম হওয়া উচিত ছিল ‘একটি রক্তভেজা সন্ধ্যা’। পারফেক্ট হতো। তবু কেন ‘স্বপ্নভেজা সন্ধ্যা’!