ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত এক চরিত্রের নাম আব্বাসি খলিফা খলিফা হারুনুর রশিদ। এ নামের সঙ্গে পরিচিত নয় এমন মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য। কারণ তার শাসনামল ছিল ইসলামি সভ্যতা-সংস্কৃতির চরম উৎকর্ষের যুগ। জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি তখন উন্নতি-অগ্রগতির শিখরে পৌঁছে ছিল বলে এ সময়টিকে ইসলামের স্বর্ণযুগ বলা হয়। সে সময়ে বাগদাদ হয়ে উঠেছিল জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের সূতিকাগার। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন জ্ঞান আহরণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সেখানে ছুটে যেত। আরোও জানুন -
তাতার আমাদের মুসলমানদের জন্য সবসময়ই প্রাসঙ্গিক। বর্তমান সময়ে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক। দোয়া করি এটি আমাদের তরুণদের হাতে হাতে উঠে আসুক। ‘ওয়া ইসলা..মা….হ’ বলে আইনে জালুতের মাঠে কুতযের সেই পাষাণ নিনাদ আমাদের রক্তে কাঁপন ধরাক। মাওলানা আবদুল আলীম অনূদিত এই গ্রন্থ তার বিষয় তথ্যশক্তি টার্গেট এবং ভাষার সৌকর্যে আমাদের বাঙলা সাহিত্যে একটি উত্তম সংযোজন বলে বিবেচিত হবে। ইনশাআল্লাহ
তিউনিসিয়ায় পঞ্চাশ বছর ধরে মাত্র দু জন প্রেসিডেন্ট শাসন করার নামে শোষণ করেছে। জনগণের নিজিস্ব সত্ত্বাকে ধ্বংস করতে, জনগণের ধর্ম, তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন যুদ্ধ চালিয়েছেন।
অবশেষে ২০১১ সালের অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। লেখক তিউনিসিয়ার ইতিহাস বইতে এসব ঘটনার চমকপ্রদ এবং লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।
এতোই করুণ সময় পার করছে জাতিটা যে, মাঝেমধ্যে প্রায় চোখে পানি আসার উপক্রম হয়েছিল।
তারপরও বলতে হবে মুসলমান রা তাদের বিপ্লবের ফসল ঘরে তুলতে পারে নি।
আপনি যদি পাশ্চাত্য সভ্যতা ও ইসলামি সভ্যতার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সভ্যতার এপিঠ ওপিঠ বইটি আপনার জন্যই। এছাড়াও বইতে পাবেন পাশ্চাত্য সভ্যতা কিভাবে মুসলমানদের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তরান্বিত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আরো জানতে পারবেন ইসলামি সংস্কৃতি সম্পর্কে যা এমন এক সংস্কৃতি যা কোন দেশ, ভাষা কিংবা বর্ণে সীমাবদ্ধ নয়।
আন্দালুস, শব্দটিও হয়তো অনেকের কাছে অচেনা। অথচ যিনি এর ইতিহাস জানেন, এই ছোট্ট শব্দটিই তার হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট। কিভাবে মুসলিম বীর সেনা তারিক বিন যিয়াদ মাত্র ৭ হাজার সৈন্য নিয়ে এক লক্ষের অধিক সদস্য নিয়ে গঠিত জালিম শাসক রডারিকের বাহিনীকে পরাজিত করলেন তা আজও সবাইকে অবাক করে দেয়। লোভের তাড়নাই সে মুসলিম বাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় ইউরোপ দখল করতে গিয়ে।
আন্দালুস ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভয়ারণ্য। দীর্ঘ ৮০০ বছর মুসলিমরা কিভাবে ইনসাফের সাথে এ অঞ্চল শাসন করেছেন তা জানা যাবে এ বইয়ে।বিজয়ী দলের রণকৌশল সম্পর্কে এ বইয়ে ধারণা দেয়া আ
বইটিতে লেখক শুধু ইতিহাস বর্ণনা করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং এ থেকে অর্জিত শিক্ষা তুলে ধরেছেন। সাথে সাথে ইতিহাস সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি বর্গের পরিচিতি নিয়ে আলোচনা রয়েছে। বইটির দ্বিতীয় খন্ডের শেষে মুসলিম, খ্রিষ্টান উভয় শিবিরের ব্যাক্তিবর্গের পরিচয় রয়েছে। এতে পাঠক কোন ব্যাক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে সেখান থেকে দেখে নিতে পারবেন। এছাড়াও পরিশেষে নির্ঘন্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে পাঠক কোন স্থান সম্পর্কে ভুলে গেছে টীকা দেখে নিতে পারবেন।
পুরো ইতিহাস যেহেতু মোট ছয় খন্ডে হবে তাই প্রকাশনীর সম্পাদনা পর্ষদ কর্তৃক বাকি ইতিহাসগুলো পরিশেষে সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে যেন পাঠক অল্প হলেও প
ইসলামি ইতিহাস গ্রন্থটি মিশরের দুই প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও ইসলামি স্কলার কাসিম আবদুল্লাহ ইবরাহিম ও মুম্মাদ আবদুল্লাহ সালিহ-এর তত্ত্বাবধানে মিশরকেন্দ্রিক ফরিকুল বুহুস ওয়াদ দিরাসাতিল ইসলামিয়া (ইসলামি গবেষণা ও অধ্যয়ন পরিষদ) হতে প্রকাশিত ইতিমধ্যে যা চল্লিশবারের অধিক পুনঃমুদ্রিত হয়েছে।
By মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, আবুল ফিদা হাফিজ ইব্ন কাসীর আদ-দামেশ্কী রহ.
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া মুফাসসির ও ইতিহাসবিদ আবুল ফিদা হাফিজ ইবনে কাসির আদ দামেশ্কী (রহ.) কর্তৃক আরবি ভাষা রচিত একটি ইতিহাস গ্রন্থ। আল্লাহ তায়ালার বিশাল সৃষ্টিজগতের সৃষ্টিতত্ত্ব ও রহস্য, মানব সৃষ্টিতত্ত্ব তথা মানব ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা, নবী-রাসুলদের আগমন ও তাঁদের কর্মব্যস্ত জীবনের ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে এ গ্রন্থে।
দীর্ঘ দুই শতাব্দী ধরে চলা তীব্র রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এ সম্পর্কে কমবেশি সকলেই জানা থাকার কথা ক্রুসেড আর হযরত সালাউদ্দিন আইয়ুবী (র:) একে অপরের পরিপূরক। মুসলমানদের দুনিয়া কাঁপানো এই বিজয় আমরা আজোও গর্বভরে স্মরন করি।
নুয়ে পড়া আত্মবিশ্বাসের একটি উম্মাহকে এখনো আশার আলো জাগিয়ে রেখেছে এই মহান বিজয়। ভবিষ্যতে আমরা আবার সেই সোনালী দিন পাব এই প্রত্যাশা আজও আমরা করি।
এই মোবারক জিহাদ আমাদের শেখায় আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল আর শত্রুর বিরুদ্ধে হার না মানার মানসিকতা।
ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য এটি একটি অনবদ্য উপহার । যারা ইসলাম নিয়ে ভাবেন, ইসলাম পড়তে ভালোবাসেন এবং ইসলামের ইতিহাস নিয়ে যাদের দুর্বলতা আছে তাদের ভাবনার জগতে এটি অনেক বেশি নাড়া দেবে। কারণ এখানে লেখক তুরস্কে গিয়েছিলেন যে একসময় উসমানীয় সালতানাতের রাজধানী ছিল। লেখক বিভিন্ন ঘটনার সাথে তার এই ভ্রমণকে একাত্ম করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। নিঃসন্দেহে পাঠক অনেক কিছু জানার পাশাপাশি নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যাবে।
পাপিষ্ঠ খ্রিস্টানদের কাছে এবং মুশরিক জনগোষ্ঠীর কাছে সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি ছিলেন এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম । বাতিলের বিরুদ্ধে কঠোর হস্ত ছিলেন এই বিশ্ব কাঁপানো সুলতান। ন্যায়ের পক্ষে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য উনি যে উদাহরণ রেখে গেছেন তা বিশ্ববাসী কখনোই ভুলতে পারবে না। আমরা ওনার উত্তরসূরি হিসেবে কতটুকু যোগ্য ? আমরা কি পেরেছি উনার আদর্শকে আমাদের মধ্যে ধারণ করতে ? আমরা কি পেরেছি হারানো বাইতুল মাকদিস পুনরুদ্ধার করতে? আজ আমাদের মধ্যে আরেকটি সালাউদ্দিন আইয়ুবীর বড্ড প্রয়োজন।
প্রিয় নবীজি হুযুর (সাঃ) বলেছেন, “আমার উম্মতেরা একটি দেহের মতো, দেহের কোন এক জায়গায় আহত হলে সারা দেহে ব্যথা অনুভুত হয়”- অর্থাৎ নবীজি এখানে উম্মতের সংহতির বিষয়ে জোর তাকিদ দিয়েছেন। মুলত, উম্মাহের ভিতরে এই বোঝাপড়া থাকলে উম্মতকে কখনোই বিভক্ত করা যাবে না। আর একে অপরের সহযোগিতা করলে, অভাবে পাশে এসে দাঁড়ালে বন্ধন দৃঢ় হয়ে যা সমাজের স্থিতাবস্থা বজায় রাখে। আর সুখ শান্তির পূর্বশর্ত হচ্ছে সমাজের ভালোবাসার বন্ধন।
আমাদের আইডল কারা? কাদের কে আমরা অন্ধভাবে অনুসরণ করছি!! আমাদের ইসলামের জগতে কি কোন বড় মনিষী নেই? আসলে আমরা ইতিহাস ভুলে গিয়েছি। আমাদের সোনালি অতীত কে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে যেন আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিশ্ববিজেতা হতে না পারি। অথচ তারাই আমাদের আলোকবর্তিকা ছিলেন। তাদের সংগ্রামী জীবনের মধ্যই আছে উত্তম আদর্শ যা আমাদের যুগে যুগে অনুপ্রানিত করে এবং সাহস যোগায়।
ইসলামের খোলাফায়ে রাশেদীন কে বলা হয় স্বর্ণযুগ। আর এই স্বর্ণযুগের খলিফা হযরত আলী (রাঃ)। উনার সম্পর্কে কমবেশি তার সম্বন্ধে আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু খিলাফাহ তিনি কতটা বিচক্ষনতার বিষয়ে পরিচালনা করতেন সে সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান খুবই ভাসাভাসা। পাহাড়সম চাপের ভিতরেও তিনি ইবাদত বন্দেগীতে ছিলেন সর্বসেরা। বিচারকার্য পরিচালনায় তার ধীশক্তি ছিলো বিশ্ব নন্দিত। আমীরুল মুমিনিন হযরত আলী (রাঃ) এর জিন্দেগী আমাদের জন্য আদর্শস্বরূপ।
ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিয়ে নিজেদের সংশোধন যদি না করি তাহলে ইতিহাসে আমাদের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে। আমাদের মহান পূর্ব পূর্বপুরুষেরা একমাত্র ইসলামকে আঁকড়ে ধরেই সাফল্যর স্বর্ণশিখরে আরোহণ করতে পেরেছিলেন। আল্লাহর নবী আমাদেরকে এই শিক্ষাই দিয়ে গেছেন। এছাড়া আমাদের সামনের পথ খোলা নেই। বিদেশী মুশরিকদের অন্ধ অনুকরন ধ্বংসেরই নামান্তর।
ইসলামের সোনালী যুগের যেসব আলেমরা ছিলেন তাঁরা ছিলেন সমাজ ও রাষ্ট্রের আলোকবর্তিকা। তাদের মধ্যে যে ইলমী নূর ছিলো তার আলোকচ্ছটায় লক্ষ লক্ষ পথহারা মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিতে পেরেছিল । তারা নেই কিন্ত তাদের কাজ রয়ে গেছে। তাদের মেহেনতের ফলেই 5200 ইসলাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে । তাদের সম্বন্ধে আমরা কতটুকু খবর রাখি? তাদের জীবন এবং কর্মপদ্ধতি কেন আমাদের কাছে অজানা?
আচ্ছা, বলুন , বায়তুল মাকদিস বা আল-আকসা কি শুধু ফিলিস্তিনিদের? এটি কি সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্য লজ্জাকর নয় যে তাদের পুণ্যভূমি ইহুদীরা জোর করে দখল করে রেখেছে আর মুসলমানরা হাতে হাত গুটিয়ে বসে আছে! আমাদের সম্বিৎ কবে আসবে? কি দরকার আসলে বহুবছর ধরে জিইয়ে থাকা এই সমস্যা সমাধান করতে?
জানতে হলে আকসার কান্না বইটি পড়তে হবে। সময় কিন্তু দ্রুত চলে যাচ্ছে।
প্রায় দু'শতাধিক কাল রাজত্ব করা সেলজুক সাম্রাজ্য কাহিনী আমরা কতটুকু জানি? আমরা কি জানি সেই সব বীর সেনানীদের কথা যারা আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য নিজের জান মাল সর্বস্ব ত্যাগ করে জিহাদের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আমরা কি জানি ইসলামী সালতানাত টিকিয়ে রাখার জন্য কি অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষদের যেতে হয়েছে? একটি ইতিহাস বিস্মৃত জাতিকে আলোকিত ভবিষ্যৎ দেয়ার স্বপ্ন আমরা কিভাবে দেখি যখন আমরা ইতিহাস ভুলে গেছি? ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে সামনে আগানো কোনভাবেই সম্ভপর হবে না।
নীতি নৈতিকতা ও মূল্যবোধ যেকোন ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।আমাদের ইসলামে এটি অন্যতম মূল ভিত্তি।
নীতি নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের অস্তিত্ব না থাকলে শুধুমাত্র কিছু আহকাম পালনের মাধ্যমে ইসলাম পরিপূর্ণ তা কখনোই পেতে পারে না । আমাদের জীবনকে আমরা নিজেদের মতো করে সাজিয়েছি যেখানে ইসলামী ছিটেফোটাও নেই। অন্যদিকে বিধর্মীদের নৈতিকতা দেখলে অবাক হয়ে যেতে হয় , আর সত্য ধর্মের অনুসারী দাবি করার পরও আমরা নিজেদের জায়গা থেকে আসলে কতটুকু সহী ?
মুহাম্মদ আল ফাতিহ ছিলেন যুগ শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক, ইসলামিক চিন্তক। তিনি একটি ইতিহাস ।ইসলামের মহান যেসব বিজয় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল কন্সট্যান্টিপোল বিজয় ।
সুলতান মোহাম্মদ ফতেহ এর হাত ধরেই সূচিত হয়েছিল খুলে গিয়েছিল ইউরোপে মুসলমানদের জয়জয়কার। এই মহান ব্যক্তি কে স্মরণ করেই এ কিতাবটি লেখা যেখানে তার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে সে উঠে এসেছে ।
নতুন প্রজন্মের শিক্ষার জন্য একটি অসাধারণ কিতাব। ইসলামের সোনালী দিন আজও আমাদেরকে উজ্জীবিত করে নতুন করে কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য।
প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স
বিষয় : ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য
পৃষ্ঠা : 184, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 2nd Edition, 2019
ব্রিটিশ আর মার্কিন মুল্লুকের দাপটে আমরা ভুলে গেছি মুসলিম সভ্যতা বলে পৃথিবীতে একটি অতি উন্নত নৈতিকতা মূল্যবোধ সম্পন্ন সভ্যতা ছিল ।
বর্তমান জামানার নানা রকম নোংরামি এবং হানাহানির ভিড়ে মুসলমান সভ্যতা ছিলো অনন্য সভ্যতা। কিভাবে সেই জমানার মানুষের চলাফেরা করতেন ,তাদের সমাজ জীবনের নিরাপত্তা কেমন ছিল, কি কি উৎসব উৎকর্ষ সাধিত হয়েছিল সেই সময় আমাদের সত্যিকারের অবস্থা কি ছিলো ইতিহাসের নতুন পাঠকদের কাছে তা এখনও গোলোকধাঁধার মতো।
ইলমী এই ধোঁয়াশা দূরীকরণে কিতাবটি অনেক সহায়ক হবে বলে আশা করছি।
ইসলামের সোনালী দিনের ইতিহাস সম্পর্কে জানা মানুষ হাতে গোনা কয়েকজন।
যারা জানেন তাদের ধারণা অনেকটাই ভাসাভাসা। দুধর্ষ মঙ্গল জাতিকে কিভাবে শায়েস্তা করেছিল আমাদের ইসলামের সেনানীরা সেসব কাহিনী পড়লে আবারো শিহরিত হতে হয়।
ইসলামের কিংবদন্তির সেনানীদের আমরা কি মনে রেখেছি, তাদের প্রতি কি যথাযথ সম্মান দেখাচ্ছি।
খারেজী বা দলত্যাগী সম্প্রদায় আজ নয় সে চৌদ্দশ বছর আগের থেকেই সক্রিয় আছে।
এখনও তাদের ফেতনা সমভাবে বিরাজমান। খিলাফতকে কে টুকরো টুকরো করার পর এখন তাদের টার্গেট মুসলিম উম্মাহ কে শতধা গ্রুপে বিভক্ত করা।
আমাদেরকে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে নতুবা মহাবিপদ সামনে।
ড. আলী মুহাম্মদ আস সাল্লাবী - ইসলামি ইতিহাসে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করা ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি আলাদা আলাদা গ্রন্থ রচনা করেছেন। ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির রচনা শুধু ইতিহাসের গতানুগতিক ধারাবর্ণনা নয়; তাঁর রচনায় রয়েছে বিশুদ্ধতার প্রামাণিক গ্রহণযোগ্যতা, জটিল-কঠিন বিষয়ের সাবলীল উপস্থাপনা ও ইতিহাসের আঁকবাঁকের সঙ্গে সমকালীন অবস্থার তুলনীয় শিক্ষা। এই মহা মনীষী সিরাত, ইতিহাস, ফিকহ ও উলুমুল কুরআনের উপর আশির অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচনাবলি ইংরেজি, তুর্কি, ফরাসি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়ে পৃথিবীর জ্ঞানগবেষকদের হাতে হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। আল্লাহ তাঁকে দীর্ঘ, ন
মুসলমানরা কি বেশি মার খেয়েছে বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে?
একটি বই আপনারা হয়তো পড়েছেন “ব্যাটেল অফ আর্টস এন্ড মাইন্ড”। এই বইটি অনেকটা সেরূপ। কিভাবে মুসলমানরা বুদ্ধির মারপ্যাঁচে আটকে আছে ইহুদি এবং নাসারাদের কাছে এবং কি কি কারনে সামরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে দিনে দিনে…।
বিস্তারিত জানতে বইটি তো আছেই।
কাফের মুশরিকদের বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের শিকার থেকে ইতিহাসও রক্ষা পায়নি। আমরা ইতিহাস থেকে যা শিখি তার অধিকাংশই তাদের রচনা। যার ফলে ইসলামের সোনালী দিনের সঠিক তথ্য গুলো আমাদের কাছে ধরা দেয় না ।
আমরা ইহুদী নাসারাদের বানানো গল্প শুনে ভুল পথে চালিত হচ্ছি । এভাবে চললে কখনই আমরা এই দুষ্টচক্র থেকে বের হতে পারবো না। দিকনির্দেশনা পেতে এই বইটি আপনাকে সাহায্য করবে।
ইমাম হোসেন রাদিয়াল্লাহ সম্পর্কে আমরা যতটুকু জানি উনার বড় ভাই হুজুরের প্রিয় নাতি ইমাম হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহুর সম্পর্কে ততটাই কম জানি। উনার জীবন, কর্মপদ্ধতি আমাদের কাছে অনেকটাই ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা।
অথচ মুসলমান হিসেবে এটা জানা আমাদের অতীব জরুরি ছিল। সে লক্ষ্যেই এই বইটি লেখা যেখানে আমরা আমাদের প্রিয় সাহাবী এবং হুজুরের নাতি সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পারবো ইনশা আল্লাহ।
ফিলিস্তিনকে কি আমরা ভুলতে বসেছি ,নাকি ইহুদিরা অত্যাচার কমিয়ে দিয়েছে?
বরং দিন দিন যেন অত্যাচার মাত্রা বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে আল-আকসা মসজিদ থেকে অসহায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে, হটিয়ে দেয়া হয়েছে মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে।
কি ভয়ংকর , কি নিষ্ঠুর পিনপতন নীরবতা আমাদের!!! এই অবস্থা কতদিন চলতে দেওয়া যায় ?
আমরা মুসলমানরা কি কখনো জাগ্রত হব না, আমাদের নির্যাতিত ভাইদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাবো না? কিভাবে উত্তোরন পাওয়া যায় এ পরিস্থিতি থেকে ?
চলুন জানতে বইটির উপর একনজর বুলিয়ে নেই।
ড. রাগিব সারজানির ইসলামি ইতিহাস: সংক্ষিপ্ত বিশ্বকোষ (১-৫খণ্ড) : সংক্ষিপ্ত বিশ্বকোষ বইটি আপনাকে জানাবে ইসলামের শুরু থেকে নিকট বর্তমান পর্যন্তকার ইতিহাস।
সর্বশ্রেষ্ঠ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব কে মানুষরা ভক্তি করে “জিন্দাপীর” ডাকতো? আপনার কি সেটা জানেন?
বলুন তো কেন?
কারন তিনিই একমাত্র মোগল সম্রাট যিনি ছিলেন সর্বাধিক প্রজাবৎসল, দুনিয়াত্যাগী এবং একইসাথে সফল রাষ্ট্রনায়ক। মোগল সাম্রাজ্যর কথা ভাবতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে হারেমখানা, গান-বাজনা আর রাজাদের অত্যাচারএর চিত্র। পজেটিভ চিত্র খুব একটা আসে না।
কিন্তু সম্রাট আওরঙ্গজেব এর রাজত্বকালে এই জিনিসগুলো সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। বরং সেখানে দেখা যায় হাজার হাজার মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষার প্রসার, ন্যায় বিচার ইনসাফের জীবন ।
দুনিয়াতে অন্যান্য দশ সুলতানের
জিনিয়াস বা এক্সট্রাঅরডিনারি যে ভাষাতেই ভূষিত করেন না কেন হামমাদ সাফি অনন্যতা বলে প্রকাশ করা যাবে না ।
পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া এ বিস্ময়বালক এখনো মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন তার বিস্ময়কর প্রতিভা দিয়ে। ছটি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ান তিনি। এই বালকের বয়স শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে আপনার।
এমনকি আল্লামা ইকবালের কবিতা সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান তার। করতে চান পিএইচডি ১৫ বছরের ভিতরেই ।
কিভাবে সম্ভব একটু নজর বুলিয়ে নিন বইটির উপর।
সবার একটা কমন প্রশ্ন আজকাল দেখা যায়, দাজ্জাল কি সশরীরে এসে গেছে ?
না কানা দাজ্জাল এখনোও সশরীরে আসেনি। তাই বলে নিশ্চিন্তে ঘুমানো যাবে না। কারণ সে শারীরিকভাবে না থাকলেও সারা বিশ্বময় ছড়িয়ে আছে তার কুটিল ঈমানবিধ্বংসী জাল।
হ্যাঁ এমনকি আপনার পার্সোনাল লাইফ থেকে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত তার অবাধ বিচরন। কিভাবে? বইটি পড়ুন আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
মনে রাখতে হবে সূরা কাহাফ এমনি এমনি নাজিল হয়নি। দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য নাজিল হয়েছে । এটি এমন এক মহা বিভীষিকার নাম যার থেকে সমস্ত নবী রাসূল তাঁর উম্মতকে রক্ষার জন্য আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া চ
যেসব দিগ্বিজয়ী সেনাপতি খিলাফতকে সমুন্নত রেখে ছিলেন তাদের একজন খাইরুদ্দিন বারবারুসা। অটোমান সুলতান সুলেমান এর এই নৌ সেনাপতির উপাধি ছিলো আমিরুল বাহার। শ্ত্রুরা তাকে জানতো সমদ্র ঈগল হিসাবে।
উনার ক্ষিপ্রতা এবং বুদ্ধিমত্তার কাছের ইউরোপের সম্মিলিত হোক শক্তি বারবার পরাজিত হয়েছিলো। হারিয়েছিলো বিশাল সমুদ্রপথের স্বাধীনতা। স্থলপটহে সুলতান সুলেমানের যেমন একটি স্পেশাল ফোর্স ছিল তেমনি নৌপথে তার বিশ্বজয়ী নৌ দক্ষতার নির্ভরতার প্রতীক খাইরুদ্দীন।
লেখক আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছেন সেই পুরনো অটোমান সাম্রাজ্যের দিনগুলোতে যেখানে এই দিগ্বিজয়ী নৌ সেনার বীরত্ব গাঁ
বইটির বিষয়বস্তু বোঝার জন্য নামটিই যথেষ্ট।
এই নামের সাথে পরিচিত নয় এমন মুসলিম মনে হয় পৃথিবীতে পাওয়া দুষ্কর। আমরা হুজুর (সাঃ) প্রিয় নাতির শহীদ হবার শোকে দুঃখে কারবালা দিবস পালন করি। কিন্তু তিনি আসলে আমাদের কি শিক্ষা দিয়েছিলেন?
তাr শাহাদত কি খালি দিবস পালনের জন্য নাকি অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল? ইসলামের জন্য ত্যাগ তিতিক্ষা কুরবানী এগুলোর বিষয় গুলো আমরা কেন জানি আলোচনা করিনা বললে ভুল হবে না।
বইটি পড়লে আরো বিশদভাবে জানা যাবে।
ইতিহাসের বই পছন্দ করেন ?
তাহলে এ বইটি আপনার হাতে নেওয়া উচিত- মদিনা শহর সম্পর্ক আমাদের ধারণা কার কতটুকু? মুসলমানদের জন্য এই শহরের গুরুত্ব কতটুকু সেটা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। ইসলামের সূচনা হয়েছিল নবীজির সময় এই শহরের থেকেই। তারপরে বড় বড় সাহাবীগণ এবং তাবেইয়ী তাবেঈনদের বহু স্মৃতি বিজড়িত এলাকা হচ্ছে মদিনা। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর অন্যতম পুরানো একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
একটি সময় জগৎবিখ্যাত সব ইসলামিক পণ্ডিতেদের পদচারণায় মুখরিত ছিল এই নগর। এই নগরের রয়েছে এক সুদীর্ঘ বৈচিত্র্যময় ইতিহাস।
লেখক আমাদেরকে সেই জগতে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। বইটি সবার
মক্কার ইতিহাস, নববী যুগ থেকে বর্তমান:। বইটির নামই বলে দেয় কী আছে কিতাবটির ভেতরে। পৃথিবীর সর্ব আদি স্থান কোথায় জানেন? জি হ্যাঁ- মক্কা।
হাজার হাজার বছরের পরম্পরায় চির চাঞ্চল্য ও অদম্য গতিশীল এক নগর। মানুষের কণ্ঠে আর কোন স্থানের নাম অতটা উচ্চারিত হয়নি, যতটা হয়েছে মক্কার নাম। কিন্তু কেন?
কী তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে এমন? সূর্যের প্রখর রোদে ঝলসানো পোড়া বিশাল মরুভূমি, সূঁচালো পাথরকণা এবং সারিবাঁধা পর্বতমালা ছাড়া আর কি আছে এই জনপদে? নাকি অতিপ্রাকৃত কিছুর আবেশ আছে এই ভুমিতে?
প্রাণঘাতী যুদ্ধ, জীবন সংগ্রাম, বল্লম ,তীর, ধনুক, রক্ত ও লাশের রোমাঞ্চ কি নেই এ জনপদের? সময়ের
নবিজি আলমে বরযখে বিশেষ ব্যবস্থায় জিন্দা আছেন। যে জীবনকে কেউ বলেন হায়াতে বারজাখি, কেউ বলেন উখরবি। নবিজির এই বিশেষ জীবনকে বলা হয় ‘হায়াতুন নবি’। যারা হায়াতুন নবি অস্বীকার করেন, সেইসব হতভাগাদের বলে মমাতি। হায়াতুন নবির আকিদা কুরআনুল কারিম, হাদিসে রাসুল ও ইজমায়ে উম্মতের অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত।
গ্রন্থটি পড়ার পর আশা করি আকিদায়ে হায়াতুন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ে সকল ধোঁয়াশা দূর হবে।
আমীরুল মুমিনীন হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) কথা আসলেই সুন্নি মুসলমানেরাও কেমন জানি আনমনা হয়ে যায়!!!
আসলে মোদ্দা কথা সবার মাথাতেই কেন জানি বিষাদসিন্ধুর কাহিনী ঘুরতে থাকে উনার ব্যাপারে কোন বিষয় আসলেই!!!
এসব বিভ্রান্তি ছড়ানো বাজারের লেখকদের কিতাব ইচ্ছা পড়ে মুসলমানদের আজ দুর্দশার অন্ত নেই। রাসুল (সাঃ) এর সাহাবারা নক্ষত্রস্বরূপ। নবীজীকে সাহাবী থেকে বেশী চিনতেও পারে নাই, ভালবাসতেও পারে নাই, পারবেও না।
উনাদের থেকে বেশি ঈমানদার নবী-রাসূল ছাড়া আর কেউ হতেও পারে না। এতোসব জানার পরও আমাদের কি নিয়ে পেরেশানী? কোন কিচ্ছা কাহিনী উপর ভরসা করব নাকি রাসুলের হাদিস এবং আল্লাহ
খুলাফায়ে রাশেদীনের চার খলিফার ব্যাপারে আমরা সম্যক অবগত….
কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় ইসলামের পঞ্চম খলিফা কে ?
সম্ভবত বেশিরভাগ মানুষের মাথা চুলকানো শুরু করবো? উত্তরটা বলে দিচ্ছি। বেশিরভাগ অইতিহাসিকদের মতে ইসলামের পঞ্চম খলিফা হচ্ছে ওমর বিন আব্দুল আজিজ(রহঃ)।
কেনো জানেন? কারন চার খলিফার পরে তার সময়ে সবচেয়ে বেশি ইনসাফ কায়েম হয়েছিল মুসলিম জাহানে। আগের উমাইয়া শাসকেরা যেখানে ছিলেন উদ্ধত এবং প্রজাদের উপর জুলুমকারী সেখানে ওমর বিন আব্দুল আজিজ(রহঃ) সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তার শাসনামলে মানুষজন কি পরিমান নিশ্চিন্ত ছিল, কতটা খিলাফত সুরক্ষিত ছিল তা জানতে পারবেন ব
মুসলিম সভ্যতার চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে……।
স্পেন আমাদের হাতছাড়া হবার পর থেকেই আমরা ক্রমেই অধঃপাতে যাচ্ছি।
মুসলিম সভ্যতার খিলাফতের পতনের পর আমাদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছেন বিধর্মীরা। এ শতাব্দীতে ভয়াবহ পৃথিবীর এমন কোন স্থান নেই যেখানে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছেনা। পৃথিবীর সবচেয়ে অবহেলিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত জাতির নাম মুসলমান!!!
অথচ এই জাতি ১১০০ বছর সারা পৃথিবীর দোর্দণ্ড প্রতাপে রাজত্ব করেছিলো।
কি হয়েছে আমাদের?
কেন আমাদের অধঃপতন? এই কেন এর বিশদ উত্তর জানার উপায় বইটি…।
যুব সমাজকে যদি প্রশ্ন করা হয় তাবেঈন কারা?
বাজি ধরে বলতে পারি হাতে গোনা কিছু মানুষ ছাড়া বেশির ভাগই উত্তর দিতে পারবে না! তাদের রোল মডেল সালমান খান, শাহরুখ খান, টম ক্রজ, লেডি গাগার মত মানুষরুপী শয়তান। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই উল্টা পথে ধাবিত হচ্ছে।
যেখানে আমাদের রোল মডেল হওয়া উচিত ছিল হযরত হাসান বসরী (রহ), আব্দুল কাদের জিলানী(রহ) রাবেয়া বসরী প্রমুখের মতো বিশ্ব বিখ্যাত অলি আল্লাহ। তাদের বাদ দিয়ে আমরা শয়তান পুজারীদের আমাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছি!!!
একটা জাতি ধ্বংস হওয়ার জন্য এই একটা উদাহরনই যথেষ্ট। সময় থাকতে ফেরত আসতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম
দীর্ঘ দুই শতাব্দী ধরে চলা তীব্র রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এ সম্পর্কে কমবেশি সকলেই জানা থাকার কথা ক্রুসেড আর হযরত সালাউদ্দিন আইয়ুবী (র:) একে অপরের পরিপূরক। মুসলমানদের দুনিয়া কাঁপানো এই বিজয় আমরা আজোও গর্বভরে স্মরন করি।
নুয়ে পড়া আত্মবিশ্বাসের একটি উম্মাহকে এখনো আশার আলো জাগিয়ে রেখেছে এই মহান বিজয়। ভবিষ্যতে আমরা আবার সেই সোনালী দিন পাব এই প্রত্যাশা আজও আমরা করি।
এই মোবারক জিহাদ আমাদের শেখায় আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল আর শত্রুর বিরুদ্ধে হার না মানার মানসিকতা।
মহাবীর, মহান বিজেতা, বিপ্লবী সিপাহসালার, ইসলামি ইতিহাসের মহানায়ক, সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবি রহ.-এর হাতে ৫৬৭হি. সনে ফাতেমি সাম্রাজ্যের কবর রচিত হয়। এ সাম্রাজ্যের সময়কাল ছিলো প্রায় তিন শতাব্দী।তাদের প্রথম শাসক ছিল মাহদি। সে সালমিয়ার হাদ্দাদ বংশীয় লোক। তার নাম উবায়দ। সে মূলত একজন ইহুদি ছিলো। পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্যে এসে উবায়দুল্লাহ নাম ধারণ করে প্রতিক্ষিত ‘মাহদি’ পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করে এবং ফাতেমি বংশীয় হওয়ার দাবি করে।
গায়রুল্লাহ নাকি ইলাল্লাহ? কাকে বেছে নেবেন?
জন্মসূত্রে আমরা অনেক ভাগ্যবান বলতে হবে, যে মুসলমানের ঘরে আমরা জন্মেছি। আমরা বিধর্মী তথা হিন্দু,বৌদ্ধ,শিখদের পরিবার এও জন্মাতে পারতাম যারা অনেকেই বহু ঈশ্বরবাদে বিশ্বাস করে। আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করা চাই । একমাত্র বানানেওয়ালাকে যে চিনতে না পারার লোকে দুর্ভাগ্য মনে হয় আর কিছু হতে পারে না।
আমাদের উপমহাদেশে কত শত কোটি মানুষ এই মহা নেয়ামত থেকে বঞ্চিত তা জানেন? এগুলো আমার কথা নয়, ইসলামের মহান আদর্শে বদলে যাওয়া নও মুসলিমের হৃদয় হতে উৎসরিত…
আপনি কয়জন সিরিয়াল কিলারকে চেনেন? এই জগতের ইতিহাসে ভয়ংকরতম খুনীর সাথে কি আপনার দেখা হয়েছে?
‘সানজাক-ই উসমান: অটোমানদের দুনিয়ায়’ আপনাকে তার সাথে দেখা করিয়ে দিতে চলেছে। তাকে দেখতে হলে আমাদের উঁকি দিতে হবে আট শ বছর আগের পৃথিবীতে।ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতেই মঙ্গোলিয়ান স্তেপ থেকে যেন স্বয়ং আজরাইল হয়ে নেমে এলেন চেঙ্গিজ খান এবং তার মোঙ্গল বাহিনী। মাত্র কুড়ি বছরের ভেতর যেন নরকে পরিণত হলো সারা পৃথিবী। প্রথমে চীন, তারপর তুর্কিস্থান আর খোরাসান হয়ে মোঙ্গল ঝড় ধেয়ে এল ককেশাস, আনা
আতাতুর্ক এবং এরদোয়ান- দুটি বিপরীত আদর্শের মানুষ। দুই কিংবদন্তি। এই দুজন মানুষ তুরস্কের একশো বছর সময়কালের দুই প্রান্তে বসে ইতিহাস গড়েছেন। দুটি ভিন্ন ধারার, ভিন্ন চিন্তার ইতিহাস। একজন ছিলেন খিলাফত পরবর্তী তুরস্ককে চরম জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মহীন সমাজব্যবস্থা গড়ার কারিগর। আর অপরজন উদারপন্থী জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামি মুল্যবোধ ফিরিয়ে আনার রূপকার। এই দুই কিংবদন্তির মধ্যখানে রয়েছে বহু উত্থান-পতনের গল্প। রয়েছে আদনান মেন্দেরেস এবং মিল্লিগুরুশের জনক নাজিমুদ্দিন আরবাকানের সংগ্রামী জীবনের গল্প। একশত বছর আগে যে বিশ্বাসী মানুষদের আশা ভঙ্গের সূচনা হয়ে