অন্যান্য ইসলামি বই

সমাজের বেশিরভাগ মেয়ে যেখানে অশ্লীলতা ও পঙ্কিলতার মধ্যে ডুবে যাওয়াকে জীবনের সার্থকতা যেখানে মনে করছে সেখানে কিছু সংখ্যক নারী স্রোতের প্রতিকূলে পাগলের মতো সাঁতরে যাচ্ছে ইসলামকে আঁকড়ে ধরে…।

তারা কি পারবে ইসলামের চেতনাকে সমুন্নত রেখে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে ? পারবে কি তারা সমাজকে বদলাতে?

এত সব প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে কিভাবে তারা মঞ্জিল মকসুদে পৌঁছুবে -

দারুন ব্যতিক্রমী একটি বই মাহিন মাহমুদ এর ।

না পড়লে পুরাই মিস।

আমরা কি জানি গুনাহ করলে কলবে একটি কালো দাগ পড়ে। কোন ব্যক্তি গুনাহ করতে থাকলে একটু একটু করে দাগ পড়তে পড়তে একসময় অন্ধকার হয়ে যায়।

সেই কলব ভালো মন্দ বিচারের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে পাপ চলতেই থাকে এবং সে আল্লাহর কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়ে জাহান্নামের অতলে নিক্ষিপ্ত হয়ে যায়।

এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে গুনাহকে গুনাহ এবং ধ্বংসকারী বলে চিহ্নিত করতে হবে ।

নচেৎ সামনে সমূহ বিপদ। কবীরা গুনাহ থেকে সবাইকে সবসময়ই সতর্ক থাকা চাই।

যে নামায খুশু-খুযুর সাথে পড়া হয়না তা পুরাতন কাপড় ন্যায় গুটিয়ে ফেরেশতারা বান্দার মুখের উপর ছুঁড়ে মারেন- মানে বুঝতেই পারছেন খুশু খুজু নামাজে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ।

নামাযে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থাকলে আসলে নামাজ ঠিক মত হয় না। যেহেতু নামাজ বেহেস্তের চাবি এবং আল্লাহকে পাওয়ার মাধ্যম- কাজেই নামাজে খুশু তাই রাখতেই হবে ।

চলুন দেখে নেই কিভাবে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পৌছানো যায় এবং নামাজকে সুন্দর করা যায় এবং খুশু-খুযুর সাথে আদায় করা যায়।বইটি নিঃসন্দেহে দারুন হাতে লেখা।

দেশ গোল্লায় যাচ্ছে …।

ধ্বংস হয়ে পড়ছে একে একে সমস্ত রাষ্ট্রের কাঠামো। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?

যদি উত্তরণের পথ খুঁজে না পাই তাহলে এখানেই ধ্বংস অনিবার্য। আমাদের ১৮ কোটি মানুষ নিঃশেষ হতে থাকবে আর আমরা কী এখনো চেয়ে চেয়ে থাকবো নাকি কোন ধরনের ব্যবস্থা নেব?

এ অবস্থা থেকে বের হতেই হবে।

চলুন বইটি হাতে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শিখি।

রাজনীতিকে আমরা একদম পচিয়ে ফেলেছি অনেক দিন আগেই। প্রচলিত রাজনীতিতে সততা নৈতিকতা, মূল্যবোধ এর কোন স্থান নেই ইসলামের আলোকে শরীয়াহ আইন তো বহু দূরের কথা ।

ইসলাম বিবর্জিত হয়ে রাজনীতি আমাদের সর্বনাশের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। সব হারিয়ে তাই আজ আমরা হয়েছি ভিক্ষুকের জাতি, আমরা হয়ে গেছি অপাংক্তেয়, আমরা হয়ে গেছি ধ্বংসপ্রাপ্ত।

উপায় কি উত্তরণের?

জানতে হলে বইটি পড়তেই হবে।

“নারী অবলা” সে কিছু করতে পারে না, শুধু ঘরকন্না ছাড়া- কথাটি পুরোপুরি মিথ্যা।

তার প্রমাণ এই বইটি । ইসলামী সংগ্রাম এর প্রধান পুরোধা ইখওয়ানুল মুসলিমিনের সংগ্রামী নারীদের জীবন পর্যালোচনা করলে তা জানা যায়। সেরকমই এক সংগ্রামী নারীর কঠোর আত্মত্যাগ, সাধনা, তিতিক্ষা এবং ইসলামের জন্য ভালবাসার এক অদ্বিতীয় আত্মজীবনী উঠে এসেছে এই বইটিতে।

আমাদের সবার জন্যই বইটি দারুনভাবে শিক্ষণীয়।

হুযুর (সাঃ) ভবিষ্যৎবানী করেছিলেন যে শেষ জমানার উম্মতেরা মসজিদ সুন্দর করবে কিন্তু তাদের অন্তরগুলো হবে কুৎসিত ।

অর্থাৎ মসজিদের চাকচিক্য দিলে ঢুকে যাবে কিন্তু একদম ঈমান থাকবে না । আসলে আমরা দিল আবাদ করা বাদ দিয়ে মসজিদে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে লেগে গিয়েছি।

আমাদেরমুসলমানদের জন্য সপ্তাহের সবচেয়ে সর্বশেষ্ঠ দিন জুম্মা। কিন্তু এর সম্বন্ধে আমরা একদমই বেখেয়ালী ।

মসজিদকেন্দ্রিক জীবনধারা আমাদের এখন আর নেই। মসজিদকে আমরা শুধুমাত্র কোনরকমে সালাত আদায় একটা স্থান মনে করি, আসলে কি মসজিদে সেটাই ?

আমরা যদি জুম্মাহ এর গুরুত্ব বুঝতাম তবে উক্ত দিবসের হক আদায় করার জন্য স�

যে দেশে আযান চালুর দায়ে প্রধানমন্ত্রীকে ফাঁসিতে ঝোলানে হয়েছিল, সে দেশে আপনি জন্ম নেননি, আমি নিয়েছি। যে দেশে মসজিদ নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করার জন্য মেয়রকে জেলে দেয়া হয় সে দেশে আপনি জন্ম নেননি আমি নিয়েছি। আজকের তুরস্ক আর আগের তুরস্ক আপনি দেখে যান। আমি আপনাকে তুরস্ক ভ্রমনের আমন্ত্রণ জানাই। কি করতে হবে তা আমি ভালভাবেই জানি। আপনার মত লোকের সমালোচনা আমি ডাস্টবিনে ছুড়ে মারি। কোন মূল্য নেই আমার কাছে। আমি যেটা করছি সেটা করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

প্রিয় নবীজি (সাঃ) বলেছেন ৭২ কাতার যাবে জাহান্নামে আরেকটি যাবে জান্নাতে।

তাহলে মোট ৭৩ কাতার এর ভিতরে একমাত্র সহী দল কারা?

তারা হচ্ছেন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত , যারা সাহাবীদের অনুসারী।

আমরা কি সেই দলে থাকতে চাই? তাহলে তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা উচিত।

চলুন বইটি পড়ি।

একদিকে লাগামহীনভাবে করতে থাকবো পাপ, অন্যদিকে চাইতে থাকবো মাফি…।।

এভাবে কি দোয়া কবুল হওয়া সম্ভব?

আসলে আমরা আত্মপ্রবঞ্চনার শিকার। দোয়া কবুল করতে গেলে কতক শর্ত পালন করা আবশ্যক। এ বিষয়ে জ্ঞান লাভ করা তাই অতি জরুরি।

এজন্য পড়তে হবে বইটি কিভাবে দোয়া কবুল করাতে হয়। মনে রাখতে হবে ভাগ্য পরিবর্তন হয় দোয়া দিয়েই।

ফিকাহ শাস্ত্র সম্পর্কে আমাদেরকে আসলে অত্যন্ত সীমিত।

নিজের মনগড়া কথাবার্তা আর চিন্তা ভাবনা নিয়ে আমরা আমাদের জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই এবং মনে করি আমরা ইসলামের উপর আছি।

আমাদের ভ্রান্ত ধারণার এই কাচের দেয়াল কবে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে আর আমরা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবো সে বিষয়ে আমাদের কি কোন খেয়াল আছে?

যদি সঠিকভাবে ইসলাম পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। সে নিরিখেই বইটি লেখা।

মুসলমানের কি বিজ্ঞান চর্চা করতে জানে না?

বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা সাধনে অবদান খালি কি পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানীদের?

আসলেই আমাদের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা সাধনে মুসলমান বিজ্ঞানীদের বিশেষ অবদান আছে যা পৃথিবী কখনো ভুলবে না। আমরা না জেনে থাকলেও পাশ্চাত্যর মানুষেরা তা ঠিকই জানে।

মুসলমান হিসেবে এটা কি আমাদের ব্যর্থতা নয় যে আমাদের সোনালী প্রজন্মকে আমরা চিনতে পারিনি?

আরও জানতে হলে বইটি পড়ে দেখতে হবে।

ভীতু কাপুরুষ দুর্নীতিবাজ এক পাল নামধারী মুসলিম নামধারী রাজনৈতিক নেতাদের ভীড়ে এরদোগান অবশ্যই একটি ব্যতিক্রম।

তিনি ভবিষ্যৎ পড়তে পারেন, দেশকে ভালোবাসেন, মুসলিম উম্মাহর প্রতি তার নিদারুন দরদ। তিনি এগিয়ে নিতে চান মুসলিমদেরকে ।ফিরিয়ে আনতে চান অতীতের সেই সোনালি খেলাফত।

বইটি বর্তমান জমানার পরিপ্রেক্ষিতে চিত্তাকর্ষক। সবারই ভালো লাগবে।

এরদোগানকে নতুন করে চিনার এটি একটি অনন্য সুযোগ।

ব্যবসা কি খালি করলেই হবে, আর টাকা কামালেই চলবে ?

নাকি হালাল তরিকায় করতে হবে? মুসলমান হিসেবে, ব্যবসায়ী হিসেবে আমার দায়িত্ব কতটুকু? কিভাবে আমার লেনদেনকে পরিশুদ্ধ করবো? ইনসাফ কি লেনদেন এর ভিতরে করতে পেরেছি ?

এত সব প্রশ্নের উত্তর কয়জন ব্যবসায়ী আমরা জানি ? আমরা কি বিজনেস নিয়েই পড়েছ আছি কিন্তু হালাল তরিকায় তো ব্যবসা করতে হবে, তাই না?

না হলে তো আখিরাত যে বরবাদ হবে তা নিশ্চিত। তাই জানার কোন বিকল্প নাই, আর জানতে হলে পড়তে হবে এবং ইসলামী মাসআলা-মাসায়েলগুলো আয়ত্ত করে পড়তে হবে।

তার জন্যই আপনাদের খেদমতে এই বইটি।

পবিত্র মাহে রমজান আসে মাহে রমজান আবার চলেও যায়, আমাদের দিলে কোন রূপ পরিবর্তন আসেনা।

এই সিয়াম সাধনার অর্থ কি ? এর ফজিলত যদি আমার নাই পাই তাহলে আমাদের জীবন ষোল আনাই বৃথা। তাই রামাদানের থেকে আমাদের সওয়াব হাসিল করার পাশাপাশি গুনাহসমুহ মাফ করিয়ে নিতে হবে এবং বাকী মাসগুলোতে রামাদানের শিক্ষা প্রয়োগ করতে হবে।

এই লক্ষে বইটি দারুন সহায়ক হবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

আমরা কি জানি যে পবিত্র কালামে পাক সর্বোত্তম শেফা!!!

এখানে বিভিন্ন দোয়া এবং পদ্ধতি বাতলানো আছে যার মাধ্যমে অনেক অসুস্থ রোগীর সুস্থতা লাভ করতে পারে। কিন্তু এর জন্য চাই একাগ্রচিত্তে এটি সাধনা করা এবং নেক আমল রাখা এবং হক্কানী কোন আলেমের সোহবতে থাকা।

জিনিসগুলো শিখার জন্য চাই নিবিড় একাগ্রতা। কিতাবটি এ ব্যাপারে আপনাদের একটি নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে।

কোরআন-হাদিসের চর্চার ব্যাপারে আমরা বরাবরই খুব দুর্বল। এই সুযোগে কিছু দরবারী আলেম এবং কুচক্রী মহল আমাদের ঈমান হরণের জন্য সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করেছে।

বিভিন্ন হাদিসের সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর কথা ছড়াচ্ছে। নানাবিধ জাল হাদিসের কবলে পড়ে আমরা ঈমান হারা হচ্ছি নিজের অজান্তেই।

তাই সময় থাকতেই হতে হবে সচেতন। জানতে হবে হাদীসের মর্ম কথা।

আজকালকার জমানায় সহী এবং হক্কানী আলেম পাওয়া খুবই দুস্কর। একটা সময় ছিল যখন আলেমরা সমসাময়িক শাসকদের থেকেও অনেক বেশী সম্মানী ছিলেন। কোন অবিচার দেখলে তারা বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যেতেন ।

ইমাম ইজ্জুদ্দিন(রহঃ) তারই একটি জ্বলন্ত প্রমান। তার জীবন থেকে আমাদের নেওয়া আছে অনেক শিক্ষা।

শুধু আমরা নয় সমগ্র আলেমসমাজই শিখতে পারে তার কাছ থেকে।

কিতাবটি এক কথায় অসাধারন।

“জোর যার মুল্লুক তার”- প্রবাদটি আমরা ছোটবেলা থেকে অনেক শুনেছি এবং পড়েছি কিন্তু দেখেছি কী ?

হ্যাঁ দেখেছি- টিভিতে অথবা সামনা-সামনি। চর দখল দেখেছেন অথবা জমির কেসের চক্করে পড়েছেন? তাহলে বুঝতে পারবেন জোর করে কিভাবে ভূমি দখল করা হয়?

এতো আমাদের দেশের চিত্র । বিদেশীরাও কিন্তু লুটপাটে কম যায় না কিন্তু আমাদের তুলনা সেটা অনেক কম।

এই ক্ষেত্রে ইসলামের বিধি-বিধান কি ? ইসলাম ভুমি সংক্রান্ত আইনগুলো কিভাবে একজন মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে এবং তাদের নিরাপত্তা দেয়?

ইসলামী আইন কায়েম করা গেলে ভূমি নিয়ে কোন ঝামেলা এদেশে থাকবে না এক রত্তিও। চলুন বইটি পড়ি এবং জা

মু্ক্তচিন্তা মানে কি লাগামহীন চিন্তার ঘোড়া , নাকি মুক্তিচিন্তা মানে ইসলাম কেন্দ্রিক স্বাধীন চিন্তা করার অবাধ সুযোগ?

বিষয়টি তাত্বিকতাপূর্ণ এবং কিছুটা গোলমেলে বটে তবে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।

যেখানে দেখানো হয়েছে ইসলাম কিভাবে মুক্তচিন্তাকে প্রমোট করে সেই সাথে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির ভিতর মানুষকে চিন্তাকে সীমিত রেখে তা আরোও অধিক পরিশীলিত করে।

মানুষকে বিভ্রান্ত করে ব্যবসা করাটা এখন আমাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে । তারই ধারাবাহিকতায় নতুন যোগ হয়েছে কোয়ান্টাম মেথড নামক এক ফিৎনা যা মানুষের কাছ থেকে সুকৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ সেই সাথে সুকৌশলে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের ঈমান।

কিন্তু সরলমতি মানুষ এখনো ঘুমের ঘোরে ঘুমিয়ে আছে। সুতরাং জেগে উঠবে এখনই।

জানতে হবে এর আসল স্বরূপ। পড়তে হবে বইটি।

শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ একথা সকলেই জানি- কিন্তু তার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে কি?

আমরা আমাদের শিশুদেরকে ফিতনার সমুদ্র ছুড়ে ফেলে দিয়েছি যেখানে ইন্টারনেট, অশ্লীলতা এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে একদম পরিপূর্ণ। আজকালকার শিশুরা না শিখছে ইসলামের মূল্যবোধ, না শিখছে নীতি-নৈতিকতা!

তাই ছেলেবেলা থেকেই তাদের ইসলামের আলোকে গড়ে তুলতে হবে যদি আমরা একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তাদের জন্য আসলেই চাই।

কেন লা-মাযহাবীরা হানাফী হয়ে যায় ?

কিসের জাদুর কাঠি মানুষের বিশ্বাসে পরিবর্তন আনে? কেন মাজহাব নিয়ে এতো হানাহানি? এর মূলে কি আছে ?

দুনিয়াবী ফায়দা , অজ্ঞানতা, নাকি আখেরাতের লাভের ইচ্ছা? পৃথিবীর মানুষগুলো এত কেন হানাফী মাযহাবের ভক্ত?

কি কারনে শত শত বছর পরেও , সমস্ত চক্রান্ত সত্ত্বেও হানাফী মাযহাব সূর্যের মত চিরজলজ্বলমাণ! কেন লক্ষ-কোটি ভক্ত ঘুরে বেড়ায় হানাফী মাযহাবের মোহময় ছায়ায়?

জানতে হলে পড়তে হবে মাযহাব সম্পর্কে এই তথ্যবহুল এবং জীবনঘনিষ্ঠ এই বইটি যেখানে হানাফী মাযহাবের শ্রেষ্ঠত্ব বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে ।

আমাদের সমাজে কিছু নতুন গজিয়ে উঠা মোল্লা আছেন যারা সুদীর্ঘকাল ধরে চলে আসা দেওবন্দী ধারাকে রীতিমতো অস্বীকার করে বসেছেন। শুধু তাই না এই ঘরানার আলেমদের নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছেন।

আল্লাহর অলিগন, সাহাবীদের, তাবেয়ী বা তাবে- তাবেঈনদের উসিলা দিয়ে মহান আল্লহ পাকের দরবারে চাওয়া নতুন কোন বিষয় নয়। কিন্তু দুনিয়ালোভী এবং দরবারী কিছু আলেম এগুলোকে ভুল ফতোয়া দিয়ে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানো অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।

সেই নিরিখে কিতাবটি রচনা যেখানে কোরআন হাদিসের আলোকে বোঝানো হয়েছে দোয়ার ক্ষেত্রে উসিলা দেয়ার বিষোয়টি। এটি জায়েজ তো বটেই বরং এতে দোয়া কবুলের সম্ভাবনাও বেড়ে যা�

উত্থান-পতনের এক আজব লীলা খেলার নাম জীবন। জীবনের সুখের গল্প গুলো যেমন আমাদেরকে আলোড়িত করে, যোগায় সামনে এগোনোর প্রেরণা, তেমনি দুঃখ-কষ্টের নীল বেদনাগুলো আমাদের অনেক পিছিয়ে দেয়।

কিন্তু কোনটাই স্থায়ী নয়। সুখ যেন চিরস্থায়ী নয় তেমনি দুঃখের সাগরে চিরকাল হাবুডুবু খেতে হয় না। বস্তুত জীবন মানেই সুখ-দুঃখ এক অনন্য মিলনমেলা। তবে সুখ-দুঃখের ব্যবস্থাটি আখেরাতের তুলনায় কিছুই নয়, এগুলো একটি নমুনা মাত্র।

তবে দুনিয়ার জীবনে চলতে গেলে কিছু সহায়তা প্রয়োজন। কোরআন এবং হাদীস সেই সহায়ক ভূমিকা পালন করে যেখানে আমাদের কিছু প্রেস্ক্রিপশন দেওয়া আছে এই পথ পরিক্রমনের যে�

মিরাজ শুধু নবীজি সাল্লাল্লাহু সালামের জীবনী নয় সমগ্র মানবজাতির জন্য এক মহান বিস্ময়কর ঘটনা। বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগে এসেও বিজ্ঞানীরা মিরাজ নিয়ে চিন্তা করলে খেই হারিয়ে ফেলেন। পৃথিবীর সর্বাধুনিক রকেটযান যেখানে যাওয়াতো দূরে থাক, যাবার কল্পনাও করতে পারেনা প্রিয় নবীজি (সা:) তার থেকেও লক্ষ-কোটি যোজন যোজন দূরে আরশে মুয়াল্লায় গিয়ে মহান আল্লাহ পাকের সহিত দেখা করে এসেছেন।

সাধারণ বৈজ্ঞানিক বাস্তবতার নিরিখে মিরাজ অবাস্তব মনে হলেও কোরআন প্রমাণ করেছে হুজুর (সাঃ) ঊর্ধ্বাকাশে গমন সত্য। আসলে ইসলাম সবসময়ই যুগে থেকে অধিকতর অগ্রগামী।

বিস্তারিত বইয়ের মলাটের ভ�

পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় নাদান বেওকুফ হচ্ছে খুব সম্ভব নাস্তিক-মুরতাদরা!!!

আল্লাহর দুনিয়ায় থেকে যারা আল্লাহকে চিনেনা তাদের মত হতভাগা আর কূপমুণ্ডক আর পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি কেউ নেই নিঃসন্দেহে।

আমাদের দেশে এই শ্রেণীর মানুষ কিন্তু খুব একটা কম নয়। এদের মধ্য তথাকথিত শিক্ষিত মানুষও আছে। মাঝেমধ্যে মন চায় যদি সামর্থ্য থাকতো তবে এদেরকে এক হাত দেখে নিতাম।

তবে বুদ্ধিবৃত্তিক তথা লেখনীর মধ্যে শাসানোর মধ্য মনে হয় অন্যরকম আনন্দ পাওয়া যায়……।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য সে সুযোগ বেশীরভাগেরই কপালে জুটে না। প্রিয় এবং প্রথাবিরোধী লেখক রশীদ জামিলের বইটি পড�

পারিবারিক অশান্তি এখন যেন মহামারীর রূপ ধারণ করেছে…।।

হেন কোন পরিবার নেই, কি উচ্চবিত্ত কি নিম্নবিত্ত- সবজায়গাতেই মারামারি কাটাকাটি আর ঝগড়া বিবাদের ছড়াছড়ি। এ অবস্থা কেন?

আমরা কি বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছি ব্যক্তিগত পর্যায়ে? সমাজবিদরা নানারকম থিওরি দাঁড় করাচ্ছেন বিস্তর টকশো চলছে, কিন্তু সমস্যা আঁতুড় ঘরেই থেকে যাচ্ছে। সহসা সমাধানের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আসলে ইসলাম বিবর্জিত জীবন এমনই হয়। শান্তি বিদায় নেয় আরে সেই জায়গা দখল করে নেয় অশান্তি, রাহাজানি মারামারি কাটাকাটি।

সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা হোক আর পারিবারিক জীবনে প্রশান্তি হোক সর্বক্ষেত্রে ইসলাম�

যতগুলো কঠিন কাজ আছে যা নফসের জন্য ভারী মনে হয় তারমধ্যে বোধকরি সবচেয়ে কঠিনতম হলো নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা!!!

বিষয়টি আরো বেশী জটিল হয়ে যায় যখন রাগের যথোপযুক্ত কারণ থাকা সত্ত্বেও রাগকে নিয়ন্ত্রন রাখতে হয়। এটি আসলে কোনো সহজ বিষয় নয়।

এটি অনেকটা মহামানবদের গুণের মধ্যে পড়ে।

আমরা ইসলামের যতগুলো বড় বড় মনীষীদের দেখি প্রত্যেকেই নিজের রাগের উপরে অস্বাভাবিক রকম নিয়ন্ত্রণ ছিল। কিন্তু আমাদের জামানাতে আমরা ছোটখাটো বিষয়েই রেগে যাই। শয়তান একদা নবীজি (সাঃ) কে বলেছিলো যে যখন কোন মানুষ রেগে যায় তখন সে তার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং শয়তান তার উপরে সবচ�

নেক সুরতে শয়তানের ধোকা বোঝেন?

না বুঝলে উদাহরণ দিয়ে বুঝাই । শয়তানের যত অস্ত্র আছে তার মধ্যে অন্যতম সূক্ষ্ম হাতিয়ারের নাম “বেদাআত”।

আপাতদৃষ্টিতে অনেক কাজ অনেক সুন্দর মনে হলেও তা অনেকক্ষেত্রে বেদাআত যা অনেকটা স্লো পয়জন' এর মতো। আস্তে আস্তে মানুষ,সমাজ,রাষ্ট্র তথা পুরা উম্মাহকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। আমাদের সমাজে অনেক প্রচলিত বিদআত এবং কুসংস্কার আছে যা আমরা বছরের পর বছর ধরে লালন পালন করে আসছি । কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে বলে থাকি বাপ-দাদারাও করেছে-আমাদের কুরআন এবং কোন হাদিসে তো এর বিরুদ্ধে কিছু পাই নাই।

আসলে কোরআন হাদিস সম্পর্কে ধারণা না থাকায় আমাদের �

বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা আমরা আসলে আল্লাহতালা কাছ থেকে চাইতে জানি না!!!!

যদি জানতাম তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজের সময় নাক ডেকে কখনোই ঘুমাতাম না। আচ্ছা কোন নবী, সাহাবী বা ওলীআল্লাহ তাহাজ্জুদ নামাজের সময় ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন বলতে পারেন?

আল্লাহতালা তাহাজ্জুদের সময় বান্দার কাছে জিজ্ঞাসা করতে থাকেন, তার কাছে চাওয়ার জন্য বারবার তাগিদ দিতে থাকেন কিন্তু সেই সময় আমরা চাই না!!

আসলে চাইতে না জানলে, দরখাস্ত লিখতে না পারলে তা কিভাবে গ্রহণযোগ্য হবে ?তাই মনের আশা পূরণ করতে হলে তাহাজ্জুদ নামাযে পাবন্দি করতে হবে। আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে চাইতে হবে ঠিক তরিকায়, তাহলেই না স

ইসলামের উপর চলতে গেলে সর্বপ্রথম যে জিনিসটা করা প্রয়োজন তা হচ্ছে প্রয়োজনীয় ইলম হাসিল করা অর্থাৎ পর্যাপ্ত ধর্মীয় জ্ঞান রাখা। সেটি আরো ভালোভাবে করা সম্ভব যদি একজন হক্কানী আলেমের সোহবতে করা যায়।

তবে সবসময় হক্কানী আলেম সবার ভাগ্যে জুটেনা। তাই বলে পড়াতো বন্ধ করা যাবে না। আপনি যদি নাই জানেন যে, কি আল্লাহ পছন্দ করেন, কি অপছন্দ করে্‌ কোন আমল করলে বেশি গ্রহনযোগ্যতা পাওয়া যায় তাহলে আল্লাহর কাছে প্রিয় বান্দা হবেন কিভাবে?

তাই আমল করবার ১২ মাসের একটি ক্যালেন্ডার সবারই বানিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।

মুসলমান হিসাবে এটা তো আমাদের স্মরণে রাখা উচিত , তাই না?

স্বপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।

স্বপ্ন মানুষকে পথ চলতে শেখায়। স্বপ্নের ভিতরে মানুষ তার সুখের নীড় রচনা করে।

কিন্তু স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় অনেক সময় মানুষ হতাশায় মুষড়ে পড়ে। আবার হয়তো নতুন করে উঠে দাঁড়ায়। কিছুকিছু স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়, আবার কিছু কিছু স্বপ্ন হঠাৎ তার চোখের সামনে আবির্ভূত হয় বহু বছর পরে!

কি হয় মানুষের তখন? কেমন হয় তাদের অনুভূতি?

প্রিয়মুখ, প্রিয় লেখক রশীদ জামীল সেই অনুভূতির গল্প শোনাতে এসেছেন এই বইটিতে।

আল্লাহ তাআলা দ্বীনকে করেছেন আমাদের জন্য সহজ আর আমরা বানিয়েছি কঠিন।

মনগড়া বিভিন্ন তথ্য আর আলসেমির কারণে আমরা দ্বীনের থেকে ছিটকে পড়েছি অনেক আগেই। সহী ইসলাম আমাদের মাঝে আর পাওয়া যায় না। ইসলামের কথাগুলো, নির্দেশগুলো আমাদের কাছে পাহাড়-ডিঙ্গানোর থেকেও বেশী কঠিন মনে হয়!

কারণটা কি?

কারণটা হচ্ছে দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা এবং দ্বীনের সম্পর্কে না জানা। তাছাড়া সমাজে নানাধরনের ফেতনা তো আছেই। তাই দ্বীন পালনের জন্য সহজ সহজ কিছু আমল দিয়ে নতুন করে যাত্রা শুরু করতে হবে।

সেই লক্ষ্যেই এই রচনা যেখানে সহজসাধ্য কিছু আমলের মাধ্যমে আমরা যেন নতুন করে পথ চলতে পারি। আ�

পাইলট নেই এমন উড়োজাহাজের চড়বেন? অথবা ক্যাপ্টেন নেই এমন কোন জাহাজে উঠে সমুদ্র পাড়ি দেবেন?

ভাবছেন, এ কেমনতর প্রশ্ন….।

আপনার উত্তরগুলো যদি “না” হয় তবে ইলম শিক্ষা করতে গিয়ে ওস্তাদ ছাড়া কেন শিক্ষার মহাসমুদ্রে একাই ঝাঁপ দিচ্ছেন!!!! আপনার ইলম শিক্ষার যাত্রায় যদি কোন দিকনির্দেশক না থাকে তবে আপনার প্রত্যাশার জাহাজ খুব তাড়াতাড়ি ডুবে যাবে।

ভুলে যাবেন না শয়তানের ইলম আপনার থেকে অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী। সে ছিলো ফিরিশতাদের শিক্ষক। আপনার রাস্তায় সে কিন্তু ঘাপটি মেরে বসে আছে। হক্কানী আলেমের সোহবত ছাড়া ইলমের মহাসমুদ্রে নামলে শয়তান আপনাকে পিছন থেকে জাপটে �

মুসলমান হিসাবে নামাজ তো মাশাআল্লাহ অনেকেই পড়ি কিন্তু নামাজের হুকুম-আহকাম মাসলা-মাসায়েল গুলো সম্বন্ধে যথেষ্ট অবগত আছি কি?

যদি প্রশ্ন করা হয় ওযুর ফরজ কয়টি, নামাজের ফরজ কয়টি, সুন্নাত কয়টি - তাহলে অনেকের মাথা চুলকানো শুরু হয়ে যাবে।

এই অবস্থা চলতে থাকে আমরা নামাজ পড়বো কিন্তু তা গ্রহণযোগ্য হবে না আল্লাহর দরবারে। আসলে নামাজের বিষয়াদি সম্পর্কে জানা প্রত্যেক মুসলমানের ফরজে আইন।

সেই নিরিখে এই কিতাবটি অবশ্য পাঠ্য।

অধুনা বিশ্ব রাজনীতিকে ইসলামের সাথে মেলানো হয় না অথবা বলা যায় ইসলামকে রাজনীতির ভিতরে প্রবেশ করানো হয় না। অত্যন্ত চতুরতার সাথে পুরো সমাজ এবং বিশ্বকে বুঝানো হয়েছে যেন ধর্ম এবং রাজনৈতিক পরস্পর পৃথক জিনিস। রাজনীতি কি জীবনের বাইরের কোন জিনিস?

আমরা তো মুসলমানেরা বিশ্বাস করি ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। তাহলে ইসলাম রাজনীতিতে নেই কেন?

আর যারা ইসলামের নাম ভাঙিয়ে রাজনীতি করেন তারা ইসলামকে আসলে কতটুকু নিজেরাই মানেন? ইসলামকে সত্যিকারভাবে কায়েম করার চিন্তা-ভাবনা কি তাদের আছে? তাদের কাজকর্ম দেখলে সেরকম তো মনে হয় না!

বিস্তারিত বইয়ের ভেতরেই।

বিধর্মীদের দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন এনজিও এবং তথাকথিত মিশনারীরা সেবার নামে প্রবল দাপটের সাথে মানুষদেরকে ধর্মান্তরিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসলামকে দমিয়ে রাখার জন্য বিশেষত দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলোতে তাদের অর্থাৎ মিশনারীদের অপতৎপরতা চোখে পড়ার মতো। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে সাধারণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে সুকৌশলে ।

ফলে দলে দলে মানুষ যোগ দিচ্ছে খ্রিস্টানদের কাতারে। ধর্মের বুনিয়াদগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে অবিরত, সমাজকে করছে কলুষিত।

এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। ধ্বংসের লাগাম টেনে ধরতে হবে এখনই।

সামাজিক নিয়ম-নীতি কি ইসলামী অনুশাসনের থেকে বেশী পরিনত? নাকি ইসলামকে প্রতিস্থাপন করতে পারে? তাহলে কেন এই ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ! ইসলামকে এক পাশে সরিয়ে দিয়ে হিন্দু সংস্কৃতি এবং বিজাতীয় সংস্কৃতিতে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাহ কে কলুষিত করে ফেলছি। বিবাহ নামক পারিবারিক বুনিয়াদকে আমরা শয়তানের প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছি বিধর্মীদের অন্ধ অনুসরণ করে।

“ফলাফল” ?

বিবাহবিচ্ছেদের হার বেড়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। সংসারে হাজারো অশান্তি। আসলে গোড়ায় গলদ থাকলে সমস্যা তো কখনই নিরাময় হবে না। তাই না?

আমাদের যুব সমাজ কি জানে বিবাহ আল্লাহ কেন সক্ষমদের করতে বলেছেন? কোন কোন সময় বিবাহ ওয়াজিব, কোন সময় নফল? বিবাহের মূল উদ্দেশ্যই বা কি, বিবাহে পাত্র বা পাত্রীর পৃথক দায়িত্ব কি কি ? যুব সমাজ কেন অনেক মুরুব্বিদের জিজ্ঞেস করল তারা আমতা আমতা করবেন। আসলে ইসলাম সম্পর্কে আমাদের ধারণা আদতে খুবই অস্পষ্ট।

বিবাহ নামক সুন্নাহ পালনে সঠিক ইসলামিক রীতিনীতি কি আছে সে সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না, জানার প্রয়োজন মনে করিনা। কোনরকমে হুজুরদেরকে দিয়ে কবুল বলানোর কাজ সারাতে পারলেই ইসলাম কায়েম হয়ে গেল আর বাকি সব কাজকর্ম বিধর্মী রীতিতে করলেও কোন সমস্যা নাই।

যখন কোন জাতির প্রতিটা কাজ�

সন্তানকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান?

নেককার বান্দা হিসেবে তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান?

তাহলে তাকে ইসলামিক অনুশাসন এ অভ্যস্ত করে তুলুন। আপনার সন্তান আপনার জন্য হীরার টুকরা হবে । আপনি পৃথিবী থেকে চলে গেলেও তার নেক আমলে বদলে সদকায়ে জারিয়া পেতে থাকবেন আপনি!!!

এই সৌভাগ্য কয়জনের হয়???

কাজটি খুবই সহজ- যদি আমরা জানি এবং মানি।

পড়তে হবে, জানতে হবে, আমল করতে হবে । এটাই একমাত্র রাস্তা।

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা পবিত্র কালামে পাককে নাযিল করেছেন মানবজাতির বিভিন্ন সমস্যার প্রেসক্রিপশন হিসাবে।

কোন রোগ বা সমস্যার কোরআনে সুস্পষ্টভাবে পাওয়া না গেলে সে ক্ষেত্রে হাদিস দেখতে বলা হয়েছে। সেখানেও না পাওয়া গেলে ইজমা এবং কিয়াস করতে হবে।

করোনা একটি নতুন বিশ্বময় সমস্যা।

ইসলামের দিকনির্দেশনা কি করোনা মোকাবিলার ব্যাপারে? প্রসিদ্ধ আল্লামা আব্দুস সালাম সাহেবের নেতৃত্বে একটি ফতোয়া জারি করা হয়েছে যার মাধ্যমে করোনা মহামারী ইসলামের আলোকে কিভাবে সামলাবো তার বিষয়ে জরুরি আলোচনা করা হয়েছে।

হাদিস অনুযায়ী আমরা কিন্তু সবসময়ই আমাদের নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খেয়ে চলেছি!!!

কি বিশ্বাস হচ্ছে না? কেন বিশ্বাস হচ্ছে না- আমরা তো গীবতের সুনামিতে ভেসে যাচ্ছি। আর গীবত করা মানেই তো নিজের মরা ভাইয়ের গোস্ত খাওয়ার সমান গুনাহর কাজ করা।

সময় ফুরিয়ে যাবার আগেই সতর্ক হতেই হবে। নচেৎ আখিরাতে সর্বস্ব খুইয়ে জাহান্নামী হওয়া ছাড়া কোন গত্যন্তর থাকবে না।

ইমাম মাহদীর আবির্ভাব এর বিষয়টি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

এই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগার কোন অবকাশ নেই। আবার এই নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করাটা মনে বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। ইমাম মাহাদীর কাছে কোন জাদুর কাঠি থাকবেন না। তিনি খিলাফত দুনিয়াব্যাপী খিলাফত কায়িম করবেন সেটি যেমন সত্যি তেমনি তার সাথে যুক্ত হতে হলে মেহনত করতে হবে এবং মেহনতের মাধ্যমে খিলাফত কায়িম করতে হবে। কোনো অলৌকিক কিছুর মাধ্যমে সহসা সবকিছু রূপকথার মাধ্যমে বদলে যাবে না।

হ্যাঁ এটা ঠিক যে, আল্লাহ তায়ালার সাহায্য থাকবে ইমাম মাহদী এবং তাঁর সহযোগীদের সাথে ।অন্যদিকে যারা ইমাম মাহাদী কথা শু�

আপনি যদি আপনার চারপাশের মানুষদেরকে জিজ্ঞাসা করেন মানব সভ্যতার বাইরে কোন প্রাণী জগৎ আছে কিনা অধিকাংশই ঘাড় নাড়িয়ে না সূচক উত্তর দিবে।

কিন্তু জিন ও শয়তানের জগত সম্পর্কে আমরা কি একদমই ভুলে গেছি!!! মুসলমান হিসেবে অন্তত বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরী ছিল। শয়তান আমাদের প্রকাশ্য শত্রু- আল্লাহতাআলা অনেকবার কালামে পাকে এই কথা বলেছেন। সূরা জিন নামক আস্ত একটি সূরা কুরআনে আছে।

কিন্তু আমরা পুরাই বেখবর!!! প্রকাশ্য শত্রুর ব্যাপারে সতর্ক থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। এখন সিদ্ধান্ত আপনার…

আপনি প্রমাণিত শত্রু সম্পর্কে জানতে অধিকতর আগ্রহী হবেন নাকি বিষয়টা হেঁয়ালি করে এমনিই ছ

কেন সালাত আদায় করি- বই এর বিবরনী

সালাত তো আমরা আদায় করি কিন্তু অবচেতন মনে কখনো ভেবে দেখেছি কি এটি আমরা কেন প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি?

সালাত এর মূল উদ্দেশ্য কি? নামাযে দাঁড়ালে আমরা দুনিয়ার হিসাব-কিতাব, রাজ্যের চিন্তা মাথায় এসে হাজির হয়। কোন রকমে সেজদা দেয়া আর উঠাবসা মধ্য দিয়ে কোনরকমে নামায শেষ করে আবার দুনিয়াবী কর্মকাণ্ডে আবার ঝাঁপিয়ে পড়ি!

আল্লাহ কি আমাদের নামাযের মুখাপেক্ষী নাকি আমরা আল্লাহর রহমতের ভিখারী। আল্লাহকে পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে সালাত পড়ছি নাকি আল্লাহর গজব অসন্তুষ্টি কে ডেকে আনছি।

আসলে আমরা আত্মপ্রবঞ্চক একটি জাতি। নিজেকে প্রতিনি�