ড. আবুল কালাম আজাদ (বাশার)

নেক সুরতে শয়তানের ধোকা বোঝেন?

না বুঝলে উদাহরণ দিয়ে বুঝাই । শয়তানের যত অস্ত্র আছে তার মধ্যে অন্যতম সূক্ষ্ম হাতিয়ারের নাম “বেদাআত”।

আপাতদৃষ্টিতে অনেক কাজ অনেক সুন্দর মনে হলেও তা অনেকক্ষেত্রে বেদাআত যা অনেকটা স্লো পয়জন' এর মতো। আস্তে আস্তে মানুষ,সমাজ,রাষ্ট্র তথা পুরা উম্মাহকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। আমাদের সমাজে অনেক প্রচলিত বিদআত এবং কুসংস্কার আছে যা আমরা বছরের পর বছর ধরে লালন পালন করে আসছি । কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে বলে থাকি বাপ-দাদারাও করেছে-আমাদের কুরআন এবং কোন হাদিসে তো এর বিরুদ্ধে কিছু পাই নাই।

আসলে কোরআন হাদিস সম্পর্কে ধারণা না থাকায় আমাদের �

ঈমান বিধ্বংসী যত রোগ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হচ্ছে শিরক।

আল্লাহ শিরক ছাড়া অন্য যেকোন পাপকে ক্ষমা করে দিতে পারেন কিন্তু এটি তিনি কখনোই ক্ষমা করেন না ।

সুতরাং শিরকের প্রকারভেদ, কিভাবে হয় তা জানা আমাদের ঈমান রক্ষার জন্য একান্ত জরুরি। সময়ের সাথে সাথে আমাদের ধ্যান-ধারণায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমরা এখন ঈমানের সাথে সাংঘরষিক অনেক কিছু চিন্তা করি এবং কাজ করি এবং এতে আমরা মনে করি তা আর এমন কি?

আদতে তা ভয়ঙ্কর শিরক হয়ে যায়। অনেক সময় ছোট শিরকের ভিতরও আমরা জড়িয়ে পড়ি। যেকোনো শিরক ই ঈমান বিধ্বংসী।

এই সম্পর্কিত যাবতীয় জ্ঞান না থাকলে আমাদের অলক্ষ্যেই ঈমা�

মিরাজ শুধু নবীজি সাল্লাল্লাহু সালামের জীবনী নয় সমগ্র মানবজাতির জন্য এক মহান বিস্ময়কর ঘটনা। বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগে এসেও বিজ্ঞানীরা মিরাজ নিয়ে চিন্তা করলে খেই হারিয়ে ফেলেন। পৃথিবীর সর্বাধুনিক রকেটযান যেখানে যাওয়াতো দূরে থাক, যাবার কল্পনাও করতে পারেনা প্রিয় নবীজি (সা:) তার থেকেও লক্ষ-কোটি যোজন যোজন দূরে আরশে মুয়াল্লায় গিয়ে মহান আল্লাহ পাকের সহিত দেখা করে এসেছেন।

সাধারণ বৈজ্ঞানিক বাস্তবতার নিরিখে মিরাজ অবাস্তব মনে হলেও কোরআন প্রমাণ করেছে হুজুর (সাঃ) ঊর্ধ্বাকাশে গমন সত্য। আসলে ইসলাম সবসময়ই যুগে থেকে অধিকতর অগ্রগামী।

বিস্তারিত বইয়ের মলাটের ভ�

কোরআন-হাদিসের চর্চার ব্যাপারে আমরা বরাবরই খুব দুর্বল। এই সুযোগে কিছু দরবারী আলেম এবং কুচক্রী মহল আমাদের ঈমান হরণের জন্য সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করেছে।

বিভিন্ন হাদিসের সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর কথা ছড়াচ্ছে। নানাবিধ জাল হাদিসের কবলে পড়ে আমরা ঈমান হারা হচ্ছি নিজের অজান্তেই।

তাই সময় থাকতেই হতে হবে সচেতন। জানতে হবে হাদীসের মর্ম কথা।

ইসলাম কায়েম হতে হবে সর্বত্র…।

তাই সেটা শুরু করতে হবে পরিবার এবং ব্যক্তি জীবন থেকেই। পরিবার হচ্ছে জ্ঞানের সূতিকাগার । এই জায়গায় যদি ইসলাম না থাকে উপরে পর্যায়গুলোতে ইসলামের ছিটেফোঁটাও পাওয়া যাবে না।

সুতরাং সময় থাকতে সন্তানকে এবং নিজেকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে ইসলামী শিক্ষায়। এবং সেটা শুরু করতে হবে একদম প্রাথমিক পর্যায় থেকেই।