রশীদ জামীল

দেশ গোল্লায় যাচ্ছে …।

ধ্বংস হয়ে পড়ছে একে একে সমস্ত রাষ্ট্রের কাঠামো। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?

যদি উত্তরণের পথ খুঁজে না পাই তাহলে এখানেই ধ্বংস অনিবার্য। আমাদের ১৮ কোটি মানুষ নিঃশেষ হতে থাকবে আর আমরা কী এখনো চেয়ে চেয়ে থাকবো নাকি কোন ধরনের ব্যবস্থা নেব?

এ অবস্থা থেকে বের হতেই হবে।

চলুন বইটি হাতে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শিখি।

পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় নাদান বেওকুফ হচ্ছে খুব সম্ভব নাস্তিক-মুরতাদরা!!!

আল্লাহর দুনিয়ায় থেকে যারা আল্লাহকে চিনেনা তাদের মত হতভাগা আর কূপমুণ্ডক আর পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি কেউ নেই নিঃসন্দেহে।

আমাদের দেশে এই শ্রেণীর মানুষ কিন্তু খুব একটা কম নয়। এদের মধ্য তথাকথিত শিক্ষিত মানুষও আছে। মাঝেমধ্যে মন চায় যদি সামর্থ্য থাকতো তবে এদেরকে এক হাত দেখে নিতাম।

তবে বুদ্ধিবৃত্তিক তথা লেখনীর মধ্যে শাসানোর মধ্য মনে হয় অন্যরকম আনন্দ পাওয়া যায়……।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য সে সুযোগ বেশীরভাগেরই কপালে জুটে না। প্রিয় এবং প্রথাবিরোধী লেখক রশীদ জামিলের বইটি পড�

নবিজি আলমে বরযখে বিশেষ ব্যবস্থায় জিন্দা আছেন। যে জীবনকে কেউ বলেন হায়াতে বারজাখি, কেউ বলেন উখরবি। নবিজির এই বিশেষ জীবনকে বলা হয় ‘হায়াতুন নবি’। যারা হায়াতুন নবি অস্বীকার করেন, সেইসব হতভাগাদের বলে মমাতি। হায়াতুন নবির আকিদা কুরআনুল কারিম, হাদিসে রাসুল ও ইজমায়ে উম্মতের অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত।

গ্রন্থটি পড়ার পর আশা করি আকিদায়ে হায়াতুন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ে সকল ধোঁয়াশা দূর হবে।

মুসলমান হিসাবে নামাজ তো মাশাআল্লাহ অনেকেই পড়ি কিন্তু নামাজের হুকুম-আহকাম মাসলা-মাসায়েল গুলো সম্বন্ধে যথেষ্ট অবগত আছি কি?

যদি প্রশ্ন করা হয় ওযুর ফরজ কয়টি, নামাজের ফরজ কয়টি, সুন্নাত কয়টি - তাহলে অনেকের মাথা চুলকানো শুরু হয়ে যাবে।

এই অবস্থা চলতে থাকে আমরা নামাজ পড়বো কিন্তু তা গ্রহণযোগ্য হবে না আল্লাহর দরবারে। আসলে নামাজের বিষয়াদি সম্পর্কে জানা প্রত্যেক মুসলমানের ফরজে আইন।

সেই নিরিখে এই কিতাবটি অবশ্য পাঠ্য।

মানব সভ্যতার শুরু হয়েছে বহু বছর আগেই…

বিজ্ঞানীরা না জানলেও পবিত্র কালামে পাকে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়া আছে। তারপর ঘটে গেছে হাজারো ঘটনা, লক্ষাধিক , কোটি কোটি!!!!!

আর মানব সভ্যতার গোড়াপত্তনের আগে?

সে ইতিহাস তো অনেক অনেক লম্বা……।

সব ঘটনাকে এক কলেবরে আনা অসম্ভব। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ঘটনাকে যদি পাঠকের সামনে নিয়ে আসা যায় তাদের চিন্তাজগতে পরিবর্তনের নিমিত্তে কেমন হয়?

প্রিয় লেখক রশীদ জামিল মানেই অন্যরকম সাসপেন্স…।

অতি অবশ্যই এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ইসলামিক কিছু চিরন্তন সত্য ঘটনা সমূহকে নতুন করে বিভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন বিভি

স্বপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।

স্বপ্ন মানুষকে পথ চলতে শেখায়। স্বপ্নের ভিতরে মানুষ তার সুখের নীড় রচনা করে।

কিন্তু স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় অনেক সময় মানুষ হতাশায় মুষড়ে পড়ে। আবার হয়তো নতুন করে উঠে দাঁড়ায়। কিছুকিছু স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়, আবার কিছু কিছু স্বপ্ন হঠাৎ তার চোখের সামনে আবির্ভূত হয় বহু বছর পরে!

কি হয় মানুষের তখন? কেমন হয় তাদের অনুভূতি?

প্রিয়মুখ, প্রিয় লেখক রশীদ জামীল সেই অনুভূতির গল্প শোনাতে এসেছেন এই বইটিতে।

দেওবন্দী ঘরানার আলেম যারা,অর্থাৎ যাদের আমরা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাহ হিসাবে চিনে থাকি তাদের উপর বুদ্ধিবৃত্তিক আক্রমণ নতুন কোন বিষয় নয়।

বিভিন্ন ভ্রান্ত আকিদার মানুষগুলো তাদের বিরুদ্ধে সবসময় অপপ্রচার চালিয়েছে। কিন্তু এর সময়োচিত দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতেই হবে নচেৎ ইসলাম পৃথিবীতে আর থাকবে না।

তারই ধারাবাহিকতায় হুমুল্লাজিনা কিতাবটির শক্তিশালী প্রকাশ যা আপনাকে ইলমী লড়াইয়ে সাহস এবং অনুপ্রেরনা যোগাবে বাতিলের বিরুদ্ধে।

রাজনীতিকে আমরা একদম পচিয়ে ফেলেছি অনেক দিন আগেই। প্রচলিত রাজনীতিতে সততা নৈতিকতা, মূল্যবোধ এর কোন স্থান নেই ইসলামের আলোকে শরীয়াহ আইন তো বহু দূরের কথা ।

ইসলাম বিবর্জিত হয়ে রাজনীতি আমাদের সর্বনাশের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। সব হারিয়ে তাই আজ আমরা হয়েছি ভিক্ষুকের জাতি, আমরা হয়ে গেছি অপাংক্তেয়, আমরা হয়ে গেছি ধ্বংসপ্রাপ্ত।

উপায় কি উত্তরণের?

জানতে হলে বইটি পড়তেই হবে।

কাহিনির যথাস্থানে গিয়ে পাঠকের মনে হতে পারে নামকরণে কিঞ্চিত ভুল হয়েছে। ‘স্বপ্ন’-এর জাগায় রক্ত হলে ভালো হতো। বইটির নাম হওয়া উচিত ছিল ‘একটি রক্তভেজা সন্ধ্যা’। পারফেক্ট হতো। তবু কেন ‘স্বপ্নভেজা সন্ধ্যা’!

জিনিস যত ভালো, নষ্ট হলে তত বেশি গন্ধ ছড়ায়। একড্রাম ঘিয়ের মাঝে একফোঁটা কেরোসিন পড়ে গেলে ড্রামের পুরো ঘি-ই নষ্ট হয়ে যায়।

একপুকুর ভালোর মধ্যে একচিলতে কালোর মিশ্রণে পুকুরের সব পানি নাপাক হয় না; কিন্তু জেনেবুঝে সেই পানি কেনই-বা পান করতে হবে!

কখনো মসিহ কখনো মারইয়াম,

কখনো মাহদি কখনো কৃষ্ণ,

কখনো কবি কখনো নবি,

কখনো মানুষ কখনো পুরুষ,

সব মিলিয়ে বড়ো আজিব এক চিজ,

মির্জা গোলাম কাদিয়ানি 'বেত্তমিজ'।

পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া মিথ্যাবাদী, নবুওয়তের মিথ্যা দাবিদার মি�