• English
  • ৳ BDT

01407070266 Customer Support


                            মিশর ও ইখওয়ান

মিশর ও ইখওয়ান

হাসানুল বান্নার নেতৃত্বে ১৯২৮ সালে মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিনের যাত্রা শুরু হলেও ২০১২ সালে সংগঠনটির কোনো নেতা দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তবে এক বছর যেতে না যেতেই সামরিক হস্তক্ষেপে ক্ষমতাচ্যুত হন। ইখওয়ানুল মুসলিমিনের প্রতিষ্ঠাতা হাসানুল বান্না সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর।

৳ 150.00 | ৳ 220.00 /
Save: 70 ৳

মিশর ও ইখওয়ান বইয়ের বিবরণী

প্রারম্ভিক কালে যে সকল দেশ ইসলামের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছিল প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিশর তার অন্যতম। ফারাওদের আদিভূমি থেকে রোমকদের হটিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইসলামি আধিপত্য। তারপর নীলনদের বুকে গড়িয়েছে অনেক স্রোত। এক পর্যায়ে মিশরই পরিণত হয় ইসলামি সভ্যতার প্রাণকেন্দ্রে। কালের বিবর্তনে এখানে জেঁকে বসে পাশ্চাত্য বেনিয়াগোষ্ঠী আর তাদের ভোগবাদী সংস্কৃতি। পশ্চিমাদের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতিগত ও ভৌগোলিক জাতীয়তাবাদ এবং বস্তুগত জাগতিকতা মিশরকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলে।

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনের চরম অবক্ষয়ে মিশরীয় জনগণ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মূহুর্তে ইমানদীপ্ত এক মর্দে মুজাহিদ শহীদ হাসান আল বান্নার হাত ধরে মিশরের মাটিতে আবির্ভাব ঘটে ইখওয়ানুল মুসলেমিন বা মুসলিম ব্রাদারহুডের। যাত্রা হতে শুরু করে কখনোই সংগঠনটির চলার পথ মসৃণ ছিল না

শুরুর দিকেই ইখওয়ানের অগ্রযাত্রায় ভীত হয়ে ইখওয়ানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং মুর্শিদে আম শায়খ বান্না ছাড়া দলের উর্ধতন সকল নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। শায়খ বলতেন তাকে গ্রেফতার না করার অর্থই হচ্ছে তার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। একদিন সত্যি সত্যিই প্রকাশ্য দিবালোকে ইমানদীপ্ত তেজসী প্রাণ শায়খ আল বান্নাকে হত্যা করা হয়। শায়খ আল বান্নাকে হত্যা করে বিরুদ্ধবাদী শক্তি ইখওয়ানের যাত্রাকে চিরদিনের জন্য থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু নতুন মুর্শিদে আম উস্তাদ হাসান আল হুদায়বীর নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ায় ইখওয়ান।

নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে উস্তাদ হুদায়বীর পরিবারসহ পুরো ইখওয়ানের উপর। তবুও এগিয়ে যায় ইখওয়ান। নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগ তুলে আধুনিক যুগের ফেরাউন খ্যাত নাসের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার ইখওয়ান নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে এবং তাদের উপর নির্যাতনের যে স্টিমরোলার চালায় তা ইতিহাসের যে কোন কালো অধ্যায়ের চেয়েও বর্বর এবং ভয়ংকর। তবে খাব্বাব আম্মার বেলাল সুমাইয়া রাঃ এর উত্তরসূরিরাও ত্যাগের সর্বোচ্চ নজরানা পেশ করে স্বীয় আর্দশের প্রতি অটুট থাকেন।

জল্লাদের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাসতে হাসতে জীবন বিলিয়ে দেন সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ, ইউসুফ আলআত,শায়খ আবদুল কাদের আওদাহসহ অসংখ্য ঈমান দীপ্ত প্রাণ। ধ্বংসের মুখে দাড়িয়েও ফিনিক্স পাখির মতো বারবার জেগে উঠেছে ইখওয়ান। এ এক বিস্ময়কর পথ চলা। চূড়ান্ত সফলতা এসেছিল দলটির রাজনৈতিক অধ্যায়েও। দলটির মনোনীত প্রার্থী হাফেজ ড.মুহাম্মদ মুরসি মিশরের হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো জনগণ কতৃক প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু চতুর্মুখি ষড়যন্ত্রে মাত্র এক বছরের মাথায় ক্ষমতাচ্যূত হন।

Title মিশর ও ইখওয়ান
Author ড. সায়ীদ ওয়াকিল
Publisher বিন্দু প্রকাশ
Edition 1st Published June, 2021
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা
No Review

Your rating