মহিমান্বিত কুরআন

সমগ্র জীবনের তিন ভাগের এক ভাগ আমরা ঘুমিয়ে কাটাই !

তাই ঘুম কে অবধারিতভাবে এবাদত এর মধ্যে আনতে হবে। কিন্তু তার জন্য রয়েছে বিশেষ কর্মপদ্ধতি। কি করলে ঘুমকে আল্লাহতালা এবাদত হিসেবে গণ্য করবেন তা জানতেই হবে। আর তাহলে জীবনের একটি মুহূর্তও বিফলে যাবে না।

আখেরাত হবে নিশ্চিত ও নিরাপদ। বিস্তারিত বর্ণনা বইয়ে সহজ ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে।

ফিকাহ শাস্ত্র সম্পর্কে আমাদেরকে আসলে অত্যন্ত সীমিত।

নিজের মনগড়া কথাবার্তা আর চিন্তা ভাবনা নিয়ে আমরা আমাদের জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই এবং মনে করি আমরা ইসলামের উপর আছি।

আমাদের ভ্রান্ত ধারণার এই কাচের দেয়াল কবে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে আর আমরা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবো সে বিষয়ে আমাদের কি কোন খেয়াল আছে?

যদি সঠিকভাবে ইসলাম পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। সে নিরিখেই বইটি লেখা।

সুন্নত তরিকায় জীবন সাজাতে চান?

তাহলে প্রিয় নবীজীর হাদিস পড়তে হবে এবং আমল করতে হবে। কিন্তু হাদিসতো অনেক এবং হাদীসের কিতাবও তো অনেক বড়।

শুরু করবেন কিভাবে? কোথায় গিয়েই বা শেষ করবেন? অনেক কঠিন হয়ে যায় না- তার থেকে অল্প কয়েকটি হাদীস দিয়ে শুরু করলে কেমন হয়?

৩১ টি বাছাইকৃত হাদিস নিয়ে কিতাবটি রচনা করা হয়েছে যেখানে হাদীসের মর্মকথা সন্নিবেশিত আছে। শুধু গড়্গড় করে পড়লেই হবে না , সঠিকভাবে হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করতে হবে এবং তদানুযায়ী আমল করতে হবে।

সেই নিরিখে কিতাবটি হতে পারে একটি ভালো স্টার্টিং পয়েন্ট…।

ইতিহাস বিস্মৃত একটি জাতিকে সঠিক পথে আনা অত্যন্ত কঠিন কাজ। যে জাতি ইতিহাস কে মূল্যায়ন করেনা তার ভবিষ্যতের গন্তব্যর কোন ঠিক থাকেনা, এলোমেলো ভাবে চলতে থাকে। আমরা উপমহাদেশের বাঙালিরা মনে হয় ঠিক এরকম একটি জাতি। বই পড়তে ভালোবাসি সত্য অনেক ক্ষেত্রে কিন্তু মহা মনীষীদের জীবন কাহিনী পড়তে আমাদের রাজ্যর অনীহা সর্বজনবিদিত। কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় এ বাংলা ওপারের বাংলার শ্রেষ্ঠ কয়েকজন মনিষীদের নাম বলতে তখন আমরা ভ্যাবাচাকা খেয়ে যাই।

“জাতি হিসেবে লজ্জা আমরা কোথায় রাখবো”?

লেখক এই অভাববোধ থেকেই দুই বাংলার শ্রেষ্ঠ মুসলিম মনীষীদের নিয়ে একটি বই রচনা করেছেন �

আমাদের সাধারন মানুষের ভেতরে একটি ভুল ধারণা ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে তা হচ্ছে আমাদের চার প্রধান ইমামগন যেই চার মাযহাব উপস্থাপন করেছেন তা পরস্পর বিরোধী!

কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে চার ইমামই কোরআন এবং হাদিসকে কথা মাথায় রেখে, পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে যাচাই বাছাই করে উম্মতের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক মাসআলা দিয়েছেন।

বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে ইজতিহাদ করে যে বিষয়ের অবতারনা করা হয়েহে তা নিয়ে অহেতুক ফেতনা দেন? আমরা এই উম্মাহ কি একটি দেহের মত নই ?

তাহলে আমরা আপসে কেন লড়াইয়ে লিপ্ত আছি মাযহাব নিয়ে?

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিয়ে নিজেদের সংশোধন যদি না করি তাহলে ইতিহাসে আমাদের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে।

আমাদের মহান পূর্ব পূর্বপুরুষেরা একমাত্র ইসলামকে আঁকড়ে ধরেই সাফল্যর স্বর্ণশিখরে আরোহণ করতে পেরেছিলেন। আল্লাহর নবী আমাদেরকে এই শিক্ষাই দিয়ে গেছেন।

এছাড়া আমাদের সামনের পথ খোলা নেই। বিদেশী মুশরিকদের অন্ধ অনুকরন ধ্বংসেরই নামান্তর।

ইসলাম মানে কি খালি নামাজ কালাম এবং কিছু হুকুম-আহকাম মানার নাম! না মোটেও না।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা যেখানে সামাজিক জীবন ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে। সামাজিক জীবনে আমাদের অনেক দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে। কিন্তু মনগড়া সিস্টেম এবং মনচাহি জিন্দেগী অনুযায়ী চললে আমরা পথভ্রষ্ট হবো।

অথচ এজন্য আমাদের সামাজিক বিষয়ে দিকনির্দেশনা পালনকর্তার পক্ষ থেকে যথাবিহিতভাবে দেয়া আছে। ইসলামকে সঠিকভাবে মানতে হলে সামাজিক দায়িত্ব গুলো অবশ্যই আমাদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে পালন করতে হবে।

এর ব্যাত্তয় ঘটলে আল্লাহ পাকের কাছে জাবাদিহি করতেই হবে।

যে সহে সে রহে প্রবাদ আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে ।অর্থাৎ ধৈর্য্য এবং সহ্য ক্ষমতা অদ্ভুত কিন্তু স্বামী-স্ত্রীরা ঝগড়ার সময় এইকথা বিলকুল ভুলে যান। কে কার উপর কিভাবে চড়াও হবেন তা নিয়ে প্রতিযোগিতা করেন। এভাবে মারামারি, কাটাকাটি করে কি আর সংসার সুন্দর হয়?

সংসার ঠিক করতে চাই সঠিক দাওয়াই। চাই ইসলামিক অনুশাসন, চাই নবীর সামাজিক এবং পারিবারিক আদর্শের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। নবীর সুন্নাহ মানার মধ্যই আছে মুক্তি আর শান্তি।

আমরা দাজ্জালকে চর্মচোখে এখন দেখতে পাই নি কিন্তু দাজ্জালের ক্ষমতার প্রভাব পুরোমাত্রায় বিদ্যমান!

কি বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে? অসুবিধা হবে না- বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থা বা নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার এর দিকে একবার গভীরভাবে লক্ষ্য দিলেই সব জলবৎ তরল হয়ে যাবে।

যা কালামে পাকে এবং হাদিসে নিষেধ করা আছে এবং যা করতে আদেশ করা হয়েছে তার সম্পূর্ণটাই উল্টা চিত্রেরই বাস্তবায়ন হচ্ছে। কি হচ্ছে না এখনকার সময়ে? অশান্তি, রাহাজানি, কাটাকাটি মুসলিমদের উপর অকথ্য নির্যাতন থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে মিসাইল হামলা করে দেশের পর দেশ ধুলায় মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে।

সময় এসেছে গা ঝাড়া দিয়ে উঠ�