মাকতাবাতুন নুর

মুসলমান হয়ে জন্মেছি সত্য, কিন্তু কুরআন শরীফ হাতে কয়দিন নিয়ে দেখেছি?

কালামে পাকের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমরা আসলে কতটুকু ওয়াকিবহাল? মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলেদের কথা বাদ দিলে অধিকাংশ আমজনতারই কুরআনের মর্মকথার ব্যাপারে একদমই অন্ধকারে আছে।

শুধুমাত্র আরবি পড়তে পারার নামই কুরআন জানা নয়। কালামে পাক এক মহাসমুদ্রের নাম! আপনি আমি সেই মহা সমুদ্রের ভিতর থেকে কয়টি নূড়ি, পাথর, রত্নরাজি কুড়োতে পেরেছি?

কুরআনকে যদি বুঝতে না পারি আল্লাহকে কিভাবে জানবো, তার সৃষ্টি জগত, তাঁর বিশালতার কথা কিভাবে জানবো?

জ্ঞানের এই দীনতা থেকে মুক্তিলাভ করা আমাদের জন্য জরুরী নয়?

যে নামায খুশু-খুযুর সাথে পড়া হয়না তা পুরাতন কাপড় ন্যায় গুটিয়ে ফেরেশতারা বান্দার মুখের উপর ছুঁড়ে মারেন- মানে বুঝতেই পারছেন খুশু খুজু নামাজে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ।

নামাযে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থাকলে আসলে নামাজ ঠিক মত হয় না। যেহেতু নামাজ বেহেস্তের চাবি এবং আল্লাহকে পাওয়ার মাধ্যম- কাজেই নামাজে খুশু তাই রাখতেই হবে ।

চলুন দেখে নেই কিভাবে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পৌছানো যায় এবং নামাজকে সুন্দর করা যায় এবং খুশু-খুযুর সাথে আদায় করা যায়।বইটি নিঃসন্দেহে দারুন হাতে লেখা।

যে সহে সে রহে প্রবাদ আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে ।অর্থাৎ ধৈর্য্য এবং সহ্য ক্ষমতা অদ্ভুত কিন্তু স্বামী-স্ত্রীরা ঝগড়ার সময় এইকথা বিলকুল ভুলে যান। কে কার উপর কিভাবে চড়াও হবেন তা নিয়ে প্রতিযোগিতা করেন। এভাবে মারামারি, কাটাকাটি করে কি আর সংসার সুন্দর হয়?

সংসার ঠিক করতে চাই সঠিক দাওয়াই। চাই ইসলামিক অনুশাসন, চাই নবীর সামাজিক এবং পারিবারিক আদর্শের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। নবীর সুন্নাহ মানার মধ্যই আছে মুক্তি আর শান্তি।

ফিতনা এখন সর্বগ্রাসী। নিজের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহল পর্যন্ত ফিতনার জাল সুনিপুণভাবে ছড়িয়ে দেয়া আছে।

দেশি-বিদেশি চক্র তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে নীরবে। এ লক্ষ্যে মুসলমানকে এখনই সচেতন হতে হবে। শুধু নিজের বুদ্ধিতে কাজ করলে সাফল্য আসবেনা,

ইসলামের আলোকে করতে হবে এর সমাধান এবং তা অতি দ্রুত সময় ফুরিয়ে যাবার আগেই।

কুরআনে এসেছে যে চুপ থাকলো সে মুক্তি পেল- আমরা কী করে মুক্তি পাবো?

পরনিন্দা, গীবত ইত্যাদি করার মাধ্যমে আমাদের কষ্টার্জিত আমল বরবাদ করে ফেলছি কিন্তু সেদিকে আমাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। আমাদের জবান হয়ে গেছে পাগলা ঘোড়ার মতো!

লাগাম হাত থেকে ছুটে গেছে অনেক আগেই যার কারণে আমরা বেদিশা হয়ে আবোল তাবোল বকেই চলেছি কোনরূপ বাছ বিচার না করেই।

আমাদের সুবুদ্ধি কবে হবে? কবে আমরা নিজেদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো?

তাবিজ বা ঝাড়ফুঁকের বিষয়টি কুরআন দ্বারা স্বীকৃত, কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই বিষয়টি বেমালুম অস্বীকার করে বসে। কিন্তু সাহাবীদের মধ্যে এর ব্যাপক প্রচলন ছিল।

কোরআন সবচেয়ে বড় চিকিৎসক এ বিষয়ে কারও কোন সন্দেহ থাকলে তার ঈমান নিয়েই টানাটানি পড়বে। তাহলে কুরআনের কালাম দিয়ে চিকিৎসা করতে সমস্যাটা কোথায়?

কুরআনী চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বইটি আপনাদের দারুন সাহায্য করবে ইনশা আল্লাহ।

শিশুদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে অল্প বয়স থেকেই নীতি নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের শিক্ষা দেওয়া একান্ত জরুরি ইসলাম এ ব্যাপারে যথেষ্ট দিক নির্দেশনা দিয়েছে।

বিষয়টা হচ্ছে, আমরা সঠিকভাবে ইসলামের নির্দেশ পালন করি না যার কারণে ছেলেরা বড় হয়ে যাওয়ার পর অবাধ্য হয়ে যায়। সমাজ হয়ে যায় কলুষিত।

তাই সময় থাকতে ইসলামী সিস্টেম মোতাবেক ছেলেমেয়েকে গড়ে তুলতে হবে।

মহাবীর, মহান বিজেতা, বিপ্লবী সিপাহসালার, ইসলামি ইতিহাসের মহানায়ক, সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবি রহ.-এর হাতে ৫৬৭হি. সনে ফাতেমি সাম্রাজ্যের কবর রচিত হয়। এ সাম্রাজ্যের সময়কাল ছিলো প্রায় তিন শতাব্দী।তাদের প্রথম শাসক ছিল মাহদি। সে সালমিয়ার হাদ্দাদ বংশীয় লোক। তার নাম উবায়দ। সে মূলত একজন ইহুদি ছিলো। পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্যে এসে উবায়দুল্লাহ নাম ধারণ করে প্রতিক্ষিত ‘মাহদি’ পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করে এবং ফাতেমি বংশীয় হওয়ার দাবি করে।